তরুণের স্বপ…

তরুণের স্বপ…

প্রেসিডেন্সীর করিডরে ব্রিটিশ ফ্যাকাল্টি ওটেনকে সিম্বলিক উদোম ক্যালানোর পরে দেশের ছাত্রসমাজে প্রবল সাড়া পড়ে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি একজন উজ্জ্বল তরুণ ছাত্রের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ ঠিক কোন দিকে যেতে পারে? ওটেন-চোদানি দিয়ে আত্মপ্রকাশ করা থেকে হিটলার-খেঁচানোর বিশাল রেঞ্জের এমন সার্থকতা নিয়ে ব্যাপক ঘেঁটে যায় বীরত্ব-প্রকাশে আগ্রহী স্বপ্নিল বাঙালি।

শুধু লাশ না পাওয়া বা সাধু হয়ে বিপ্লব-চোদানোর কেসটা যথেষ্ট চির-ধোঁয়াশায় অবগুন্ঠিত হয়ে থাকে। শতাধিক বৎসর কাল সকল রাজনৈতিক ও অনৈতিক ক্যালাকেলি, ছেঁড়াছেঁড়ি ও দলাদলির গেরিলা কায়দায় হিটলার টু আল-কায়দা ইনক্লুডিং ভিয়েতনাম-আমেরিকা গাঁড় মারামারিতে সুবার্স্টের সাঙ্ঘাতিক অবদান লেজেণ্ডাধিক-লেভেল টাচ করে যাওয়ায় তিনি সর্বকালের সেরা ছাত্র-বিপ্লবী তা সকলের হার্ট-ভালভে রক্ত-পাঞ্চিত হয়ে চলে দিবারাত্র। জাপানি স্ত্রী-কন্যার কাহিনি বেচা-কেনা বসু-বাড়ির শিশু তারকার উর্ধ-গগনে সবেগে ধাবিত হওয়া হারভার্ডে আজো বসু বাড়ির ডিএনএ চিহ্নের বহনে ব্যাপক রোমাঞ্চকর রোমহর্ষক প্রচণ্ড আবেগ-মথিত ক্যাওড়া-কেত্তন সে ব্যাপারে ইতিহাস-পাতিহাস বা রাজহাঁস বিশেষজ্ঞের ন্যাজ-বাঁড়া-পশ্চাৎ-শক্ত-দাঁত সকলি হিলহিলিয়ে নড়ে যায় কত-শত বৎসর কাল। আজো দেশিয়-বিদেশিয় কলোনিয়াল-পোঁদমারামারির উজ্জ্বল-অনুজ্জ্বল ইতিহাসে সুবার্স্ট ইজ সুবার্স্ট। নোরেনের আদর্শে ভাবাবেগে ভাবিত সুবার্স্ট ভাবিয়ে গ্যাছেন, গাঁড়ে বিকট লাথি কষিয়েছেন গান্ধীনেহেরু-কংগ্রেসের। আজাদ হিন্দ বাহিনী, ঝাঁসির নারীবাহিনী সর্বত্র সুবার্স্টের সম্যক বিজয়পতাকা।

অল্টারনেটিভ নেটিভ হিরো গুমনাম বাবা হয়ে তাঁর নিজস্ব নামাঙ্কিত বিমানবন্দরে অবতরণ করে আপন মনে বলেন। গ্রেট! এ প্লেন অ্যাট লিস্ট অ্যাকসিডেন্ট হয় নি, শাল্লাঃ। ক্যাব নিয়ে সোজা পাঁচমাথার মোড় শ্যামবাজারে। অনেকদিন সচক্ষে দেখবার শখ ছিল কি বালের ঘোড়া আর তাঁর মূর্তি বানিয়েছে বাংলা। এলগিন রোডের বাড়িতেও একবার ছদ্মবেশে টাকলা-কেশে যাবার ইচ্ছা মনোগোপনে পোষণ করেছেন সুবার্স্ট। শ্যামবাজারে দাঁড়িয়ে হঠাৎ দেখলেন খেঁচার দাবিতে গণ-আন্দোলন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। প্রথমটা কোনো পোস্টমডার্ন ফিল্মের ক্যাওড়া শুটিং ভেবে হুম মেরে গুম হয়েই ছিলেন একপাশে। তারপর ব্যাপারস্যাপার এক হিন্দিভাষী ফল-বিক্রেতার কাছে আদ্যন্ত শুনে নেন সুবার্স্ট। চট করে একটা ক্যাব ধরে পৌঁছান প্রেসিডেন্সীর গেটে।

এখানেই শুরু হয়েছিল ক্যালাকেলির ছাত্র-রাজনীতি এই বাংলায় যা আজো উজ্জ্বল ভাবে চলছে তবে ফ্যাকাল্টি-ক্যালানোর কেস আর বেশি পাওয়া যায় নি। শিক্ষক-কেলিয়ে রাজনৈতিক কেরিয়ার এখন কেউ ভাবতে পারে না। নিজেদের মধ্যে কেলাকেলি নিয়েই ব্যস্ত থাকে ছাত্রেরা। শিক্ষকরা অনেক সেয়ানা। তারা দূর দেশ থেকে ছাত্রদের ক্যালাকেলিতে প্রচণ্ড মোটিভেট করে যান। একটু ঘোরাঘুরির পরে কলেজ-স্কোয়ারে দেখে ফেলেন বর্ণেশ্বরকে। আবার সরে যান চট করে। শালা সংস্কৃত পণ্ডিত জ্ঞান দিয়ে গাঁড় মারাবে, সিরিয়াস মাল তো পুরো। একটু গিয়ে আবার ঘুরে তাকান সুবার্স্ট বর্ণেশ্বরের পাইপ থেকে মনে হল ভাল স্টাফের গন্ধ পাওয়া গেল। প্লেনে অনেকটা জার্নি করতে হয়েছে। একটু স্টাফ পেলে খারাপ হতো না। একটা সেলফি তুলে নিজের চেহারার হাল একবার দেখে নিলেন সুবার্স্ট। মিদনাপুরিকে ওড়িয়া বলে কাত করা যেতে পারে ভেবে কাছে গিয়ে হিন্দিই বললেন। পণ্ডিতজি থোড়াসা স্টাফ আগর হো যাতে….।

বর্ণেশ্বর একটু চোখ কুঁচকে দেখলেন গুমনাম বাবা-রূপী সুবার্স্টকে। একটু শ্বাস ছেড়ে অস্ফুটে বললেন মাতঃ। বন্দে মাতরমঃ। চোখ বুজে একটু আশ্বাস দেবার ভঙ্গিতে বললেন, আপ বয়ঠো না বাবা…। ক্যায়সা লাগা কলকত্তা আপকা…? সুবার্স্ট একবার সন্দেহ করলেন….পণ্ডিত প্রবর কি বুঝে ফেলেছেন? তারপর সুক্রিয়া আপকি বলে হাত বাড়িয়ে দিলেন। পণ্ডিত ঝোলা থেকে পড়ে থাকা পাঁচশোর প্যাকেটের আধখানায় জমে থাকা স্টাফের একটা-জয়েন্টের পরিমাণ নিয়ে বললেন বহুত আচ্ছা কোয়ালিটি হ্যায় ইয়ার… হামারা ভিশন কো হাই ফ্যাশন মে লে কে যায়েঙ্গে ইয়ে গাঞ্জা…য়েকিন মানো ইয়ার…। সুবার্স্ট প্যাকেটের উল্টো দিক দেখেই চিনে ফেললেন। জার্মান অ্যাকসেন্টে ভারি গলায় বললেন মোক্সা মারিহুয়ানা….জয় হিন্দ……গুটেনবার্গ ওটেনবার্গ ক্যালানবার্গ …

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *