জিজ্ঞাসা
দিলেম বিমুক্ত ক’রে পিষ্টপুষ্প নিকুঞ্জের দ্বার,
অমোঘ প্রয়াণে তার রাখিব না মিনতির বাধা;
কব না উদাস কণ্ঠে জীবনের যথার্থ সমাধা
যৌবনমধ্যাহ্নে আজি অকাতর বিস্মরণে তাঁর।।
বার্ষিক প্রতিজ্ঞা তার ধ্রুবতার মরীচিকা আঁকে
বিচ্ছেদবিধূর লগ্নে পরস্পর যাত্রীর নয়ানে;
জানি অলজ্জিত রাতে, শ্লথনীবি, কম্প্র আত্মদানে,
দেয়নি সে মোরে অর্ঘ্য, খুঁজেছিল বসন্তসখাকে।।
তবুও জিজ্ঞাসা জাগে, নিরুত্তর শূন্যেরে শুধাই
যে-অবেদ্য অভিজ্ঞান, চমৎকৃত যে-অনুকম্পন
বুলাল অমৃতযোগে চারি চক্ষে পরম চেতন,
সে কি মাত্র উপপাত, মূলে তার কোনও অর্থ নাই?
সে-জাদু ছিল কি শুধু ফাল্গুনের অত্যুগ্র মাতনে,
অভিরাম গ্রীবাভঙ্গে, উরোজের অনবগুণ্ঠনে?
২১ জানুআরি ১৯৩১