জানি বন্ধু জানি… তোমার আছে তো হাতখানি…
গজেন্দ্র আবার ওষুধ খেতে ভুলে গেছে। সে কি সত্যি পাগল? ছাতা-মাথা ছাতিম-বকুল জুড়ে আবার কুল-হট স্বপনমদির নেশায় উন্মত্ততা জেগে ওঠে। ওঠাপড়া করে তার গোপনাঙ্গ। হস্ত নিশপিশ করে। অমলের পিসে পাশের বাড়ি থেকে উঁকি মারেন তার আঁখির পানে মনে হয়। পানু সাইটের ডাকসাইটে পিঁপড়েরা সূদূরের পিয়াসী হয়ে সারিবেঁধে চলতে থাকে রৌদ্রমাখানো অলসবেলায়। মাখানো ও ছড়ানোর ছলছল ঝর্ণাতলার নির্জনে কে একাকী বসে থাকে গজেন্দ্রর তরে সক্কল নিয়ে অন্য কারো সব্বোনাশের আশায়। তবু মনে রাখে গজেন্দ্র যে দিন ভেসে গেছে বারে বারে চোখের ও নদীর জলে তার ছায়া দেখে যায়। ছাতিমতলে গ্রামছাড়া রাঙামাটি বীরভূমের পথে পথভোলা এক পথিক হেঁটে যায় গজেন্দ্রর সুখস্বপনে। ধড়াম ভেঙে যায় দুয়ার মাঝরাতে।
সকালবেলা কেউ এসে দাঁড়ান সে ছায়া ঘর-ভরা শুন্যতায় বুকের পরে। ওরে ওরে গজেনের মন মেতেছে তাকে আজ থামায় কে রে! ছাতিমতলে ছড়িয়ে শান্ত-হিসি করেন রবীন। বলাকা উড়ে যায়. বালের বলাকায় পুনশ্চ আঁখি মেলে গজেন। কে বাঁড়া করিছ হিসি ছাতিম-তলে বলে গেয়ে ওঠে, যদিও কি গাবে বা শোনাবে তা ঠিক করতে পারে না গাণ্ডু গজেন। ফুলে ফুলে গাঁড় মেরে যায় মাধবীলতায় লতপত করে তার গোপনাঙ্গ, ঝড়ের বেলা। রবীন ভোরের বেলা ডাক দিয়েছে কত গজেনের আপন দাদু-সখার মতো। দিগন্তে ওড়ে রবীনের বোকাচোদা উত্তরীয়……।
মাটির বুকের বন্দি লুকোনো জলে নিজেকে ছায়া-মদির মায়ায় দেখবার আধো-অছিলায় উবু হয়ে রাঙামাটির পরে মাথা ঠেকিয়ে বসে পড়ে গজেন। মাঠের পারে রবীন দাঁড়িয়ে ছিল একা। কুটির হতে ত্রস্ত বেরিয়ে আসে শ্যামা-মেয়ে ব্যস্ত-ব্যাকুল পদে। একটু দূরে ডেকে ওঠে শ্যামল-ধবল গরু। দেখি নাই, কভু দেখি নাই এমন ধবল গাই… ইয়া…। গজেন বিড়বিড় করে। শ্যামা-মেয়ে ঘ্যামা হাঁটে সিডাকটিভ সিল্যুটে শরৎ-কাশের ব্যাকড্রপে।
কোপাই-নদী আপন বেগে পাগলপারা হয়ে বয়ে যায়। নড়ে যায় গজেনের বাঁড়া অনেক জাগরণে বিভাবরী কাটানোর পরে। শ্যামা গজেনের পানে দেখলো কিনা চেয়ে তা জানে গজেন-রবীন আর সে শ্যামা মেয়ে। শ্যামার অঙ্গে অঙ্গে দোলা লাগে। রবীন বাজায় বাঁশি দিগন্তে কালো আঁখি মেলে চেয়ে থাকে সাঁওতাল-বালক অপলক। ময়না পাড়ার শ্যামা মেয়ে যত্তই কালো হোক, কালো তারে যতই বলুক লোক, সে ফুল-কনফিডেন্সে এগিয়ে আসে রবীনের পানে। বনের প্রান্তে ওড়া আঁচল-বাঁধা গিঁট্টু- থেকে চল্লিশ গ্রাম গাঁজার প্যাকেট তৃষ্ণা-চোখে অশান্ত বৈশাখী-দিনে রিক্ত-ডালি সম তুলে দেয় রবীনের বিজন-ঘর হাতে। নিচু স্বরে বলে, তোমার আছে তো হাতখানি।
গজেন ছাতিম-তলে জ্যোৎস্না-বন-ছায়া দেখতে পায়। আছে তো হাত খানি আছে তো হাত-খানি বলে আড়াল দিয়ে লুকিয়ে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলে রবীন-শ্যামা-সনে। মুষ্ঠিবদ্ধ হাতখানি তার কাঁপে। অঙ্গে প্রবল বাল-পুলক জাগে। বারে বারে হাত ফিরে আসে, বারে বারে ফিরে যায়। ছাতিমতলা সিক্ত-গন্ধ-বেদনে ভরে ওঠে। সকল রসের আংশিক ধারা মাটির বুকের মাঝে বন্দি। রবীন…ওগো কাতর ওগো হতাশ, আর খিঁচো না অমল! তুমি এমনিতেই মারা যাবে কদিন পরে বোকাচোদা… বলে গাঁজার প্যাকেট এগিয়ে ধরেন। গজেন পড়ে ব্যাণ্ডেট স্টাফ…লাল রঙের হোলোগ্রাম……মোক্সা মারিজুয়ানা…।।
লাবণ্য বন্য-ভাবে বসেছিলেন জানালার পাশে। এই ক্যাম্পাসে কাহারো আশে। তার অঙ্গে অঙ্গে বেজে ওঠে বাঁশি। শারদ-প্রাতে কার হাতে দিয়ে যাবে সে তার মধুর-হাসি। মাটির পরে জানু পেতে ক্ষণে ক্ষণে মনে অতল জলের আহবান শোনে লাবণ্য। এই ক্যাম্পাসে সে বিরহী বিনোদিনী দাসী নামে খ্যাত। ঝড়ের রাতে অভিসারে বেরোতে হয় রোজ। অমিতাচারী অমিত মেতেছে আজকাল কোন এক ফেসবুক ছবিতে। ডিজিট্যাল-পটে লিখা সে ছবিকে বুকে রেখে বকবক করে শোনায় শুরুর ও মাঝের কবিতাগুলি। তাই লাবণ্যের আনন্দ তাহার পরে। লাবণ্য বৈশাখকে ডাকে হোয়াটস-অ্যাপের মেসেজে। এসো হে বৈশাখ এসো… এসো। আমি তোমার যত চুদিয়েছিলেম প্রাণ তার বদলে আমি চাইনে বালের দান। বলে মেসেজ ব্যাক করে বৈশাখ। লাবণ্যের দিনগুলি সোনার খাঁচা-ছেড়ে বেরিয়ে খ্যাঁচ-খ্যাঁচ শব্দ রোটেট করে চারিধারে। তার স্বপ্ন-ঘিরে অনেক সেক্সি মাতাল জোটে। কোন বাদল দিনে প্রথম গাঁজার কলি-ফুলে ডিল্ডোর অনির্বচনীয়-সুন্দর সুধারস-গন্ধ পায় লাবণ্য। বাঁশিতে তবু কেউ যেন ভাইব্রেটর-ছন্দ-রাগে ডেকে যায় তারে। ওরে ঝড় নেমে আয়…আয় রে আমার শুকনো গাঁজার ডালে….বলে রাত তিনটে তিরিশে চেঁচিয়ে ওঠে লাবণ্য।
বিশু পাগল শিশু-গাছে উঠে গাঁজা খায় আজকাল। নন্দিনী রাজার সাথে অ্যানার্কি মাড়ায় ও ডিস্কে যায় মিচকে হাসতে। রাজার প্রচণ্ড অ্যাকিউট ধজভঙ্গের কারণে উনসত্তরের ফ কে ফাকিং আউটসোর্স করেন। নন্দিনী উৎসবে উপহারে নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার করে তাকে। রঞ্জন গঞ্জিকার ছিলিম রঙিন করে তোলে তিরঙা জাতীয় পতাকা-সম। ক্ষমা না করতে পারার বানচোদীয় ডিপ্রেশনে হতাশ শ্যামা-বজ্রসেন চলন্ত নৌকায় সিক্সটিনাইনে প্রেমাদি করতে গিয়ে জলে পড়ে ও ওঠে। প্রেমে পড়ার সিক্ততায় তারা রিক্ত-প্রায় হয়ে যায়।
রঞ্জন রঙ করে যায় যত ব্যবহৃত কণ্ডোম ঝরঝর মুখর বাদর দিনে। লেগেছে আগুন আজি কোরিয়া-চিনে। এই নব বসন্তের দিনে তার মন বলে চাই চাই গো। অন্ধপ্রদীপ-সম শূন্য পানে চেয়ে থাকে রঞ্জন। পাশের গাঁয়ের রঞ্জনার পালন করা ভেড়াগুলি খেলে বেড়ায় লাল-করবী-তলে।
খঞ্জনা গ্রামে কুঞ্জবিহারী কুঞ্জে কুঞ্জে পানু গান গায়। গানের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকেন রবীন। কোপাই পাড়ে খোয়াই তীরে রাঙা-মাটিতে পড়বে না একদিন পায়ের কোন চিহ্ন তবু জ্যোতিষ্ক-লোকের পথে ছায়া-মদির চোখে তাকিয়ে থাকেন রবীন। কত-শত হাজার বছরের ছায়া-আঁকা-ছবি চোখে পড়ে। সে কি কেবলি ছবি? শুধুই ফোটোশপে আঁকা বা ইন্সট্যাগ্রামের পথে পথে ছড়ানো পাথরের পাথর? ভাবেন আনমনে রবীন কবি। গাছের পেছনে লুকিয়ে রাঙা-মাটির বুকে বীর্যপাত করে গজেন্দ্র। ওষুধে তার হয়তো কাজ হচ্ছে না। অথবা আবার ভুলে যায় সে ওষুধ খেতে…। অজগর তেড়ে আসে. তার প্রাণের পরে বসে পেঁচিয়ে ধরে…গজেন চেঁচিয়ে ওঠে…..অগ্নিলতা ঘিরিয়াছে পাঁকে পাঁকে মোরে…এ কী তৃষ্ণা এ কী দাহ…ভালোবাসা কারে কয়? সে কি কেবলি অজগর-ময়! খিল্লি-হাসিতে ফাঁসিতে কাউকে লটকে দেয় শ্যামা-মেয়ে, তার ঘ্যামা-সেক্সি অঙ্গে ক্ষমাহীন সানাই বাজতে থাকে ছুটির সুরে…। আপন গোপন-দ্বার কুট-কুট করায় করুণ আঁখি মেলে ধরেন বাল্মিকী। তাঁর ট্যালেন্টের সম্মানে মিলিত হয় উড়ন্ত বকপাতী-যুগল। মনে দ্বিধা নিয়ে….ধীরে সরে আসেন রবীন সে দৃশ্য-পট-ফ্রেম হতে।
Nice