ছিলো রুমাল, হয়ে গেলো বেড়াল!
মানিস্কোয়ারের এসকালেটরে এক ফিল্ম-স্টাডির ছাত্র মানিকদা বা রে-র বাবা বলে চিনে ফেলাতে সুকুরেকে তাৎক্ষণিক ডানপিটে ছেলে হয়ে কপ-কপ মাছিময় হাফ-টপিকে আকাশের গায়ের টক টক গন্ধ নিয়ে কবন্ধ-ক্যালানোতে অংশ নিতেই হল। আলতা-মাখা চোখে চালতাগাছে কুমড়োপটাশের ঝুলন্ত ছবি এঁকে শিশুদের হাসাতেও তিনি বোরড হননি। হিজিবিজবিজ-গণ পাশে তুমুল গিজিগিজগিজ করাতেও তিনি হোমড়া-চোমড়া বা গোমড়া থেরিয়ামের থেরাপি অ্যাপ্লাই করেননি। রাজার ঠোঙা-ভরা বাদাম ভাজা খাওয়ার গল্প পর্যন্ত অনেকেই খিল্লিথেরিয়াম হয়ে ছিল। কিন্তু একুশে আইন বলা শুরু হতেই কিছু জে ইউর ছাত্র একুশে ফেব্রুয়ারি বলে বাংলা-বি-পক্ষ জয় বাংলা মাড়ানোয় বিপ্লবের জন্মদাতা পিতা রূপে আইডেনটিফায়েড হয়ে যান সুকু-রে।
লণ্ডনে তার গুষ্টির গবেষক প্রচণ্ড ভারী বইয়ের এককপি পাঠানোয় তার ভেতরে বিলিতি বন্দুক আছে সন্দেহে সিবিআই-এর এক মোটা শুয়োর ডেকে পাঠান তাঁকে। জেরার মুখে ভেঙে না পড়ে প্রচণ্ড জুড়ে যাওয়ায় সুকু-রে কে ইনটিগ্রেটেড ক্যালকুলাস আখ্যা দেন মানিকের শঙ্কু-ফাকিং ভক্তেরা। তোমার বিচি আমার বিচি… অন্ধকারে নাচানাচি… জেলখানাতে ঘুমিয়ে আছি, রাজা তোমার কেন ঘামাচি টাইপের নব-সুকুমার চলে আসে শহরে। সকলের মুখে মুখে ফাকিং ননসেন্স আর রামগরুড় ক্লাবের কথা শোনা যায়। অনেকে ইহা সিক্রেট সোসাইটি বলে ছড়াতে ও মাড়াতে থাকেন। ভোটের আগে পলিটিক্যাল দলেরা ভয় পেও না ভয় পেওনা তোমায় আমি মারব-না কে তাদের প্রোপাগাণ্ডার জন্য গাণ্ডেপিণ্ড গিলে ওগরাতে চায়।
শহরের অলি-গলি যেন গাঁজা গলি
হ্যালুতে ভ্যালুতে বাঁড়া আনমনে চলি
ধুপধাপ সরকার পড়ে যায় বোকা
ডানপিটে বাম-জিতে দিয়ে গেল ধোঁকা।
ক্ষমতায় সমতার পশ্চাত ফাটে…
মুদি-গরু ছটফট গুজরাটে হাঁটে।
ক্যাও-ম্যাও ঘ্যাঁক করে ধর টিপে টুঁটি…
কাঁচা ঘরে কেঁদে যায় পাকা-লুডো ঘুঁটি।
বাল-রাজা টাল খেল মাল-ভরা ল্যাজে…
শুয়োরেরা রোজ রাতে রোদ্দুরে ভেজে।
ক্রেজি-বেজি সাপ গোনে বাপুরাম নোটে…
আকাশের গায়ে দেখো হনুমান ছোটে।
ব্যাঙ একা ল্যাঙ মারে ফুটবলে দাশু,
পাগলা জগাই করে লাফালাফি হিসু।
ঘুমঘোরে ধুমজ্বরে বিটকেল হাসি,
দূর শালা বোকাচোদা সাদ্দাম-ফাঁসি।
এই সকল কবিতায় প্রচণ্ড ঘাবড়ে গিয়ে সুকু-রে কে দাবড়ানোর চেষ্টা করে ঘাস-ফুলের বাল-সংস্কৃতি সরকার। যাদবপুরে তাকে নকলি ক্যালানোর বন্দোবস্ত করে ফ্যালে তারি সাবোতাজ-ময় ভক্তকূল। দুই বাংলায় সুকু-রে নামে বাংলা কানট্রি লিকার বাজারে ছাত্র ও কবি-লেখকদের মাঝে প্রবল পপুলার ও ছারখার হয়ে যায়।
দূর বাঁড়া হাত মেলে এইখানে দাঁড়া
সরকার তোর ডাকে দিচ্ছে না সাড়া
স্ক্যাম-নোট পোঁদে-গোঁজা ঘ্যাম-চাক কেস
ঘোড়া ছোটে ফুল ফোটে ভোট-কিল রেস
দূর শালা আরশোলা শনশন ওড়ে
বাবরের কবরে কে খবরের ভোরে
দুড়দাড় বাজ পড়ে গাঁড় মারে কেরে?
নাগরিক রাস্তায় হ্যাণ্ডেল মারে
গজেনের লজেনের জেলি ছিল যত
মাথা-ফাটা ভোট-ঘিলু দাঙ্গায় হত
ছেড়ে দেরে ফাক-ফুক হ্যাণ্ডেল মার
পোঁদ মেরে যায় লোধ বাঁড়া-ডাক্তার
চোক্তার-ফ্যাতাড়র চোদনা চুমুতে
তুই কি পারিস শালা রাত্রে ঘুমুতে?
বিপ্লব-রে, বাবা-রে, মা-রে, সুকু-রে হা রে রে রে ধ্বনিতে চারপাশের ছাইপাশের সাথে চলতে থাকে। কে-রে ছদ্মনামে কবিতা লিখতে শুরু করে গজেন। রাস্তায় কবিতার লাইন লিখে তার উপরে বীর্যপাত করে। ব্যাপারটার উত্তর-দক্ষিণ-পূব-পশ্চিম আধুনিকতা ও ক্যাওড়া ক্যালানে ক্লাসিকের এমন এক-মেল-ফিমেল-হ্যাণ্ডেল-বন্ধন ঘটে যায় যে গজেনের নজেনের ফ্যান হয়ে পড়ে প্রচুর বালক-বালিকা। গজেন হ্যাণ্ডেল পার্টি তৈরি হয় ফাকিং ননসেন্স ক্লাবের উৎসাহে। হেহেহে করে অনেকে দাঁত ক্যালায় প্রকাশ্যে হ্যাণ্ডেল মারে কখনো রাস্তায় সস্তায় কখনো বিধানসভার সামনে। প্রচুর গ্রেফতার করা হয়। কোর্টরুমে দাঁড়িয়ে হ্যাণ্ডেল মারার হুমকি দ্যায় তারা। সুকু-রে এ সকল থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখেন। অনলাইন পিডিএফে প্রকাশ করেন তার নবতম কাব্যপ্রন্থ হ্যাণ্ডেল-স্ক্যাণ্ডেল……যা কখনোই আউট-অব-প্রিন্ট হয় না…