গাছ কেটে: সৌন্দর্যায়নের মূর্খতা…
অ্যাসিডিশের লেকচারের ঠিক তিন দিন পরে প্রেসিডেন্সীর অ্যাডমিশনের মেরিট লিস্ট বের হয়। এখানেও বাহাত্তর ঘন্টায় কি হয় ঠিক বোঝা যাচ্ছে না গুজব চলতে থাকে ফেসবুকে। ডিজোরিও সকল বাঙালির অগ্রাধিকার বলে বাংলা পক্ষে কিছু সাপোর্টার জুটিয়ে নেন। বাংলা ভাষার অবমাননার দায়ে নোটিশ বোর্ডে তাঁর অনুগামীরা হনু-পার্টির বিরুদ্ধে বাংলায় বাল-বাঁড়া-বোকাচোদা লিখে যায়। তারো নিচে… বাল-বাংলা খিঁচবে মুদীর পোঁদ ভিজবে… লেখা দেখে হনু পার্টির ক্যাডাররা জমায়েত করে গজেনের কুশপুতুল পোড়ায় গাছকাটা গেটের সামনে। খেঁদির ক্যাওড়া ক্যাডারেরা গাছ কেটে সৌন্দর্যায়নের মূর্খতা করায় প্রাক্তন প্রেসী-ছাত্রছাত্রীরা ফেসবুকে ছিঁড়ে-খিঁচে চোদন-চিৎকার শুরু করে। যথারীতি খেঁদি ও তার গুণ্ডা বাহিনীর তাতে ছেঁড়া যায়। গাছ কেটে তারা পলিটিক্যাল হুল্লোড় মাচিয়ে তোলে। রশিদা কাণ্ডের টাকা লোপাটের পরে খেঁদির গুণ্ডাবাহিনীকে অনেকেই চোর বাহিনী আখ্যা দেওয়ায় খেঁদি কবিতায় তাঁর উল্লাস প্রকাশ করেন:
আমরা চোর ওরা চোর –
মশলা খোর পাতা খোর।
তোর বাবা সিপিএম
আমার মামা বিজেপি –
তোর গাঁড়ে ফুল-ঘাস
আমরা করি ক্যাডার চাষ।
জ্যোতি-বুদ্ধ খুব শুদ্ধ
আমরা চোর টাকা খোর।
গুণ্ডা দল ঝলমল –
শপিং মল কলকল।
কলকাতা ঝকঝকে –
হাসছে বাবাই বার্থ-ডে কেকে
রাস্তাঘাট পরিস্কার –
সাইকেল বেল ব্যারিস্টার –
চড়ছে সবাই কি মজা
আমরা বানাই তেলেভাজা।
তোর জামায় তেলাপোকা
কাঁদছে ঘরে কচিখোকা –
নীল-সাদা তোর পোঁদে
ঢুকেছে দেখ লাল-বোঁদে।
পুরোনো দল আলুর দম –
আমরা কিসের থেকে কম
চোদনা চলে ঝমরঝম
খোকাবাবু ফেল বি-কম।
চলবে দেশ এইতো বেশ –
তিনফলায় রাস্তা শেষ।
আলোর শহর লণ্ডন –
বিগ বেনে বাল-বন্ধন।
রবীন্দ্রনাথ সিগন্যালে –
আমি-তুই খালে-বিলে।
বিলে নোরেন গাঁজা ধরেন
ঘুরে আসি চল ফরেন।।
প্রেসিডেন্সীর অ্যাডমিশন টেস্টের মেরিট লিস্ট বেরোনোয় দেখা যায় অবাঙালিদের কোন জায়গা নেই লিস্টে। সকল বাঙালিকে উচ্চস্থানে উচ্চ মার্কস দেওয়া হয়েছে। লিস্টের উপরে ব্যাঁকাত্যাড়া হাতের লেখায়…বোকাচোদা বাঙালি এ শহর থেকে কি পেলি… লেখা। নিচে গজেনের বীর্যপাতের কার্টুন ছবি।
এ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। হনু-পার্টি খেঁদির গুণ্ডাবাহিনীকে দোষ দেয়। খেঁদি নিজে গিয়ে হাই ডেসিবেলে আইন অমান্য করে নোটিস ছিঁড়ে দিয়ে আসেন। নোটিস বোর্ডের তলায় দাঁড়িয়ে…… এই গজেনের জন্য এত্ত কিছু হচ্ছে। কিন্তু গজেনকে আমরা ভালোবাসি কারণ তাঁকে বাংলার মনীষীরা ভালোবাসে। আমরা মনীষীদের ভালোবাসি তারা সবাই সাদা-নীলের সমর্থনে প্রাণ দিয়েছেন। আমরা যে বৃটিশের ইতিহাস পড়ি তা জঘন্য ভাবে নষ্ট করা ইতিহাস। আসল খবর আমার দলের চোদনা জানে। চোদনাকে ভালো মদ দিলে সে পৃথিবীর সমস্ত খবর এক নিঃশ্বাসে বলে যেতে পারে. এই তো সেদিন আমার শাড়ি মাথায় দিয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে আমায় রাম-হনুমানের হিস্ট্রি বলে গেল গড়গড়িয়ে। এমনি এমনি আমি তাকে ভালোবাসি না।
যারা আমাদের ভালোবাসা নিয়ে হিংসা-কুৎসার কেচ্ছা করেছে তারাও শুনে রাখুক গজেনের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছি। এখানে কোনো দলীয় রাজনীতি নয়। একটা ভালো প্রেমের কথা হচ্ছে। তোরা যারা প্রেম বুঝিস না তারা যাদবপুরে গোলমাল করেছিস।
আমি শুধু সাইকেল না শুধু মদ-মাংস না কণ্ডোম মালা-ডি এসব সবাইকে দিয়ে আসছি সে ছাত্রজীবন থেকে। তখন তোদের এই খেঁচাছেঁড়ার জন্ম হয় নি। তোদের এসবে আমার কিছু এসে যায় না। কেউ সাইকেল পাবি না শালা।
খেঁদির অগ্নিকন্যা মূর্তি দেখে ডিজোরিও দৌড়ে গিয়ে খেঁদি আপনি শান্ত না হলে প্রপারলি চোদাবেন কি করে? এত অশান্তির কেস না শান্তি-চোদনে হও গো সমাগত বলেছেন না রবীন….বলাতে খেঁদি হাউ মাউ করে কেঁদে ডিরোজিওর হাত ধরে বলেন আমার ঝাঁটে আর একটাও বাল নেই ডিরো…..অ্যায়াম জিরো জাস্ট জিরো। ডিরোজিও সকলের দিকে একবার তাকিয়ে চেঁচিয়ে ওঠেন। বাংলা-বি তে খেঁদির ঝাঁটে বনগাঁ বর্ডার থেকে বাল-বৃক্ষ নিয়ে লাগানো হবে। তোরা কে কে আছিস নিশ্চয় সকলে থাকবি থাকতে হবে না হলে অ্যাডমিশন টেস্টের নতুন মেরিট লিস্ট আসতে তিন ঘন্টাও সময় লাগবে না। এখন বল লাগা-বি?
সেদিন সন্ধ্যায় ডিচোরিওর ফোনে উড়ো মেসেজ আসে পৌনে আটটার সময়। বোকাচোদা, খেঁদির পোঁদে ঢুকে ফূর্তি মারছিস। নকশাল আজো আছে। তোর পোঁদে লাগতে চায়। লাগা-বি…?
হনু পার্টি তিন ঘন্টার মধ্যে এক অবাঙালি-হিন্দ-প্রধান মেরিট লিস্ট তৈরি করে নোটিস বোর্ডে আগের নোটিসকে সরিয়ে লাগিয়ে দিয়ে যায়। প্রতিবাদে খেঁদির গুণ্ডা-বাহিনী সকল গাছ কেটে ফেলার প্রবল হুমকি দেয়। অনশনে বসে যান ডিজোরিও পুরোনো কৃষ্ণচূড়া গাছতলায়। হনু-পার্টি কৃষ্ণ আমাদের দেবতা আর তার নামে গাছ বলে ক্যাম্পাস গরম করে তোলে। খেঁদি ক’ষ্ণচূড়ার নাম পাল্টে চোদনচূড়া করে দেন আধঘন্টার মধ্যে। চোদনা গাছতলায় এসে বাংলা মদ ছড়িয়ে ও গিলে নতুন নামের সার্থকতা নিয়ে ডিজোরিওকে কিছু বলতে বলেন। ডিজোরিও শুরু করেন:
আমি বাঁড়া এখানে মোটামুটি বহিরাগত। রশিদা কাণ্ডে খেঁদির টাকা কিছু নষ্ট হলেও চোদনদা যেভাবে আজকে সকলকে বাংলা মদ খাওয়ালেন তা দেখে আমার চোখে ও বাঁড়ায় জল ও মাল এসে গেল। পাশ থেকে এক উজ্জ্বল ছাত্রী যথাক্রমে অ্যাড করায় ডিজোরিও আনন্দে তাকে চুমু খান। চোদন এগিয়ে এসে তাকে চোদনচূড়া ফুল দেন। ডিজোরিও চালিয়ে যান……যাই হোক সাইকেল বা বাংলা মদ-মাংস বড়ো কথা নয়। আসল কথা কজন বাঙালি এই রাজ্যে আছেন আর কজন বাংলা-বি সুন্দর বিকে সত্যি ভালোবাসে। এ ভাষার রাজ্যের ইতিহাস নতুন করে দেখতে গেলে রাম-হনু বলতে আমরা বাংলা রামায়ন ও মহায়ন বুঝেছি।
আকাশের প্রেক্ষাপটে সারি সারি নুনু…তাহাতে দোলায় পাছা মহাবীর হনু…এই বাংলার এই বাংলা মহাকাব্যের কোন বি-কল্প আজ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে পাওয়া যায় নি। যেমন খেঁদির ছবি ও কবিতা। যেভাবে তিনি ছবি এঁকে পার্টি চালান তা ভ্যান গখের বংশধরের কাছে আদর্শ। কদিন আগে আচার্য সুনীতি কুমার প্রণীত একটি গ্রন্থ আমার গাঁড় আলো করে তিয়াত্তর রাত্রি ঢুকেছিল। আমি জানি বাংলা ভাষার প্যাশন কত্ত পোঁদফাটা হতে পারে। আমরা মাথার ওপর আর জ্বলা-ঝাঁটের পাশে খেঁদি ও চোদনদাকে পেয়েছি। আবার শোনা যায় ভিড়ের থেকে যথাক্রমে…। কেউ পেছন থেকে হালকা ফেড-আউটে বলে…ডিরো-ড্যুড….বাঁড়া….লাগা-বি…?