গজেন ব্যাক…?

গজেন ব্যাক…?

বাংলা-বি এর হুজ্জতি বেড়ে ওঠে দুই বাংলা এক করার প্রচণ্ড ইমো-ন্যাশনাল পয়েন্টে। ধর্ম-মিথ-দেশের কপিরাইট নিয়ে আপন ল্যাজে বেঁধে প্রবল প্রোপাগাণ্ডা-ময় বিচিত্র আণ্ডা আণ্ডার-ওয়্যারে বেঁধে চিল চিৎকারে দেশ ঝেঁটিয়ে স্বচ্ছ করে তোলে হনু পার্টির পালের গোদার গরম ভাইয়োঁ-বহেনো-ভাষণ।

ধর্মীয় সুড়সুড়ি আপন গোপন-সাম্পদায়িক গুহ্যদ্ব্যরে মেখে তিড়িং বিড়িং করে ওঠে জনগণ। মন দিয়ে তারা হনু-হনু বলে লাফালাফি করে রেপ বা ধর্ষণে মেতে ওঠে দলিত-ব্রাহ্মণ-হিঁদু-মুসলিম-ভারত-পাক ইত্যাদি বিপরীত-রীতির বিপ বিপ ডাকে। সকলে গাঁড় মারতে চায় অন্য কারো। খেঁদি সকলকে আহ্বান করে হনু-পার্টির ল্যাজে আগুন দিতে উৎসাহিত করেন। ভবানী পাঠকের লিডারশিপে ফুল হনু-ক্যালা দল তৈরি হয়। ওদিকে হনুগণ ক্যালাকেলি নামে ছাত্রদল তৈরি করে ক্যাম্পাসে ক্রিকেট ব্যাট ও টিভি সিরিয়ালের গদা নিয়ে ল্যাঙট পরে ঘোরাঘুরি করতে থাকে।

গন্ধক গাঁড়গুপ্ত বিদেশে বসে র‌্যাডিক্যাল ছাত্রদের স্যানিটরি ন্যাপকিন সাপ্লাই করেন। হনুখিস্তি রক্ত-রঙে ন্যাপকিনে লিখে ছাত্র-ছাত্রীরা রাতদিন গজেনের গান গেয়ে ভিসি চোদায় ক্যাম্পাসে। অনশন হাওয়া বহে শনশন। ডিজোরিও খুব ব্যস্ত হয়ে কলকাতা-ঢাকা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেন। ঢাকার রাস্তায় আমরা বাংলা-বি, জয় বাংলা (মদ্য নহে) লেখা পোস্টার নিয়ে খালিগায়ে …কাঁদানে বুলেট মার… পিঠে লিখে পুলিশের প্যান্ট ধরে টানাটানি শুরু করে ডিজোরিওর চেলাগণ। পুলিশ হালকা ক্যালালে গুরুতর জখম হয়ে সক্কলে হাসপাতাল থেকে অনশন শুরু করে। যাদবপুর, মেডিকেল কলেজ ও ঢাকার রাস্তায় গণ-চকোলেট অনশন শুরু হয়।

সকলকে চকোলেট সাপ্লাই করেন খেঁদি তার স্যাণ্ডুইচ অনশন আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে পড়ে সকল ছাত্র-ছাত্রী। তারি মাঝে দু চারজন মন দিয়ে অনশন করে আধমরা হয়ে পড়ে। তাদের ফুল মারার ফুল দায়িত্ব নিয়ে নেয় মিডিয়া ও ফেসবুক-লাইভ-পাব্লিক। অ্যাসিডিশ ফ্রি-ডাইমেনশনে এনার্জি চার্জ করে বাঁচিয়ে তোলেন সকলকে। বেঁচে যাওয়ার উল্লাসে রাজনীতি ভুলে যায় বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী। কবি দুখুরুল এসব দেখে অস্থির হয়ে ইউটিউবে অস্তির চ্যানেলে ভিডিও আপলোডাতে থাকেন নিত্য –

না খেয়ে মরবি যদি দেখ না শালা –
ধরবি যদি নোংরা-রাস্তা নদী নালা –

খাচ্ছে রশিদা-টাকা বালের খেঁদি
পি-এমের গাঁড়ে গজায় ধম্ম-নদী।

ওই দ্যাখ চাঁদ উঠেছে খোদার কোলে
ন্যাড়া-সব নাচছে কত হরিবোলে।

এ বালের প্যাঁচ-পয়জার জঘন্যতা
তোদের ঝাঁটে ঝালের ছাতা দেশ-মাতা।

কিযে সব তরুণ-দলের করুণ-দশা
আমিও উড়ছি সুরে অ্যাসিড-নেশা –

ঝমাঝম ঝরছে রক্ত আকাশ থেকে
মেঘেরা পরির ডানায় ডিং-ডিঙা-ডিঙ
ফাক ইউ ওরে চি-চিং ওরে চিচিং।

এখানে মাল ফেলে দে গজেন-স্টাইল
চাল মেরে লাভ কি হবে হাজার মাইল।

ধুর শালা বিপ্লবে তোর নেই-তো এলেম
আমিও তো একশো বছর ঘুমিয়ে ছিলেম –

গজেনের বাল-খেঁচাতেই ভেঙেছে ঘুম
এখনো রক্ত-কাঁপে বাঘেরা ডাকছে হু-হুম।

ভেঙে-দে লৌহকপাট উলঙ্গ সপাট লাথে
লড়ে যা ল্যাজের জোরে ষাঁড়ের সাথে।।

দুখুরুলের কবিতায় গণ-লাইক পড়ে। গজেনকে কবিতায় সাপোর্ট করায় সকলে গজেনের কাব্য নিয়ে আবার হুজ্জতি শুরু করে যাদবপুরে। দুখুরুল-গজেন-রবীন সন্ধ্যা পালন করেন ডিজোরিও দুই বাংলার বর্ডারে নৌকোর উপরে বাংলা ঢেলে। ডিজোরিওর নেতৃত্বে ইছামতীর নৌকোয় দুই পার থেকে বাংলার ভরা-বোতল নিয়ে ঢেলে ঝাঁকিয়ে মেশানো হয়। মিলিত বাংলা থেকে সবাই ভরপেট গেলে। ডিজোরিও নৌকোর পাটাতনে পা-বেঁধে আটকে রাখেন নিজেকে। টলে পড়ে যান একাত্তর বার।

…নকশাল আন্দোলনের স্মৃতি… লেখা একটি বাঁশে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ান। বলতে থাকেন….এই দুই বাংলাকে বোতলে আটকে না রেখে নিজেকে ডাঙায় বসিয়ে না রেখে আজ এই বয়ে যাওয়া জলের উপর টলায়মান-বিচি দশায় কোনো শালা আনতে পারে নি খেঁদি-হনু-রামধনু যে যেখান থেকে বিপ্লব-ক্ষমতা চোদাচ্ছে শুনে রাখুক এই নদী এই ইছামতীর প্রবল-বেগ ইচ্ছায় বয়ে যাবে বালের বিপ্লব। দুখুরুলকে লাইভে ধরছি…..কেউ বাওয়ালি দিবি না বাঁড়া। সিরিয়াস বিপ্লবকে সিরিয়াস করে করতে শেখ তোরা। জয় বাংলা গেলো বাংলা…..গেলো মাল।

…খেঁচো বাল ফ্যালো মাল… ধ্বনিতে কেউ চেঁচিয়ে ওঠে। মিস ইউ গজেন ধ্বনিতে ইছামতীর ছলাৎ-ছল প্রবল হয়ে ওঠে। দুখুরুল লাইভে এসে ক্যামেরার পানে চেয়ে থাকেন কিছু না বলে। পাশ থেকে কারো কন্ঠ শোনা যায়। ঠাকুর আমি কি পাপ করেছি একবার বলে দাও। ঠাকুর কি কেলো হয়ে গেলো বল। আমার গজেনের পালা…..শালা ব্যান করে দিয়েছে কেন? ঠাকুর তুমি একবার গজেনের নজেনে আবার খেল-তামাশা-গাঁজার আশা জাগিয়ে দাও ঠাকুর।

দুখুরুল চুপ করে ক্যামেরা প্যান করে ধরেন গিরির সামনে… সাতটা খালি মাঝারি বাংলা বোতল দেখা যায়। পাশে বিনুদিনী। লিপস্টিক-আলতা মিশিয়ে সব বোতলে কি লিখে চলেছেন কালো বিকিনি পরে বসে…। দুখুরুল ফোন-ক্যামেরা কাছে নিয়ে যান বোতলের। ফোকাসের পরে দেখা যায় ত্যাড়া-ব্যাঁকা অক্ষরে লেখা…..ছোটবড় মেশানো……জয় বাংলার বালা!

নৌকোয় সমস্বরে কোরাস-গান চলে…..

বাংলার বাল বাংলার খাল
বাংলার মাল বাংলার হাল
বাংলার ঝাঁট বাংলার খাট
ক্ষিপ্ত হউক হে ভগবান!

ডিজোরিও আধবোতল একটানা শেষ করে বাংলার নদী বাংলার জল বলে লাফিয়ে পড়তে চান জলে। হঠাৎ এক মহিলা ডিজোরিওর মাথা বুকে টেনে নিয়ে বাঁচান তাকে। অন্ধকারে চেনা যায় না। দুখুরুলের বাড়িতে গিরি ফোনের ডিসপ্লে চোখের পাতার ঘষে চেনার চেষ্টা করেন……বিড়বিড়িয়ে নিবু মা…..নিবু মা……কোথায় তোমার গজেন ছা…..ও নিবু-মা ওগো বলে ব্ল্যাক-আউট হয়ে বিনুদিনীর বোতলের পাশে ঢলে পড়েন। ডিজোরিও হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠেন …..দূর বাঁড়া সবাই কেলিয়ে পড়ে গেলে কি আর বিপ্লব হয়! তারপরে পাশে তাকিয়ে নিচুস্বরে বলেন….আমার জলে ঝাঁপের সিন টা রেকর্ড করে সেভ করেছিস তো বোকাচোদা…….?

1 Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *