গজেন-খেঁদি-মুদি

গজেন-খেঁদি-মুদি

প্যারিসে গজেনের নজেন-ট্রিক প্রচণ্ড সাড়া ফেলায় কলকাতায় খেঁদি-হনু-বাল সকলে উৎসাহিত-উন্মুখ-উদ্দীপিত ও আলোড়িত হয়ে ওঠে। খেঁদি আমার গজেন তোমার গজেন সবার গজেন নামে কবিতার এক অনবদ্য নৈবেদ্য রচনা করেন। কলকাতার টিভি চ্যানেল সমূহ গজেনের ইন্টারন্যাশনাল চোদা-খালে প্রায়-চোদিত চুলবুলে বাগিচা-বুলবুল ছন্দে দোলিত-আন্দোলিত আকৃষ্ট হয়ে বিকট ডাকে বিনিদ্র করে তোলে চারিধার ধোঁয়াধার ধামাকা রবে। দিদির পাগল গুণ্ডা-সণ্ডা সক্কলে গজেনের ফেসবুক ফ্যান ক্লাবে ছবিতে ছয়লাপ করে বিকারগ্রস্থ ব্যাঙলাফ শুরু করে।

পার্কে-পার্কে নেতা-গজেনের ছবিতে মালা দিয়ে ধূপ ধুনা সহকারে গাঁজার ধোঁয়ায় গজেনের ছেঁড়া বাল রেখে বাল-উৎসব শুরু হয়। কেউ রটিয়ে দেয় গজেন প্যারিসে আইফেল টাওয়ারে চড়ে খিঁচতে ও ছিঁড়তে গিয়ে পাপারাৎজ্জির ধাওয়া খেয়ে হাওয়ায় উড়ন্ত অবস্থায় ফ্যাতাড়ুর ফাকিং-বিপ্লবীর মৃত্য ফ্রি তে করুণভাবে বরণ করেছে। কিছু টিভি চ্যানেল এ নিয়ে সারাদিনরাতব্যাপী প্যানেল-গজরানো-কামড়ানো বিগ-দানো লিটল-ম্যাগ ঘ্যাঁক-ঘ্যাঁক অনুষ্ঠান ফ্যান্টাসি-ফানের আয়োজন করে।

দুই বাংলা জুড়ে বিতর্ক চলে গজেন মহামানব না মহা দানব? সে কি খিঁচছিলো না গে ছিলো? তার কি ধ্বজভঙ্গ বা এইডস ছিলো? তার ছেঁড়া বাল কি এ বাংলার পালে হাওয়া-ধাওয়া রবে নৌকো বাওয়ার চেষ্টা করে গ্যালো? কালে কালে কি বাংলার বালের ডালে ডালে আরো গজেনের জন্ম-মৃত্যু হবে? গজেন তুমি রবে নীরবে নহে সরবে গরবে নামে মরণ-সভার আয়োজন করে খেঁদি পার্টি। হনু পার্টির আই টি সেল চ্যানেলে চ্যানেলে অন-লাইনে ক্যাডার-ক্যাওড়ামি করে গজেনকে ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়াল করতে থাকে। ভোট এসে যায়।

গজেন-আইটেম ভোটের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার খেঁচাছেঁড়া আর্ট কতটা শিল্প আর কতটা বাংলার অপসংস্কৃতির আষাড়ে-শ্রাবণের মধুবনের ভাদ্দরে-কুত্তার গল্প… তা নিয়ে হনুর লোম ছেঁড়া যায়… না, দুই বাংলার মুখ দেখে ফনিমনসার বনে ফোঁস-ফাঁস করা যায়… তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা নানা স্তরে চলতেই থাকে।

বাংলার মনীষীদের দলে গজেনের ঠাঁই হবে কিনা? ল্যাম্পপোস্টে পোস্টমডার্ন-মাড়ানো যাবে কি না? লেকটাউনের বিগ বেনের পাশে গজেন-মিনার বানানো যাবে কিনা? যাদবপুর-প্রেসিডেন্সি-ক্যাম্পাসে গজেনের নামে ভিসি-চোদানো রোজ চলবে না বছরে চারবার তা নিয়ে বারবার সরকারী বৈঠকে কফিকাপের ঠকঠকে শব্দের মাঝে গুরু-গম্ভীর ধীর-অধির ভীতু-বীর খেঁচা-ক্ষীর খাওয়া-ধাওয়া আলোচনা এক রাজনৈতিক দুধে এক ফোঁটা গোচনার মত চলতে থাকে।

চেনা ছকের ফেলো-টাকা কলকাত্তা-ঢাকা লেন-এর পলিটিক্সের জোয়ারে গজেন-মোটিভেশন দুই বাংলার ছেঁড়া পালে বালের ওড়া হাওয়া লাগাবে কিনা তা নিয়ে সমকামী-প্রেম-বিয়ে সংবাদে কেন কাঁদে গজেনের বাল তা নিয়ে তা-তা-থৈ-থৈ গজেন-রবীন-র‌্যাপে র‌্যাম্পে খেঁচা-যুবকের বুকের লোম ও ঝাঁটের লোম দেখিয়ে হনু পার্টি দাঁত কেলিয়ে গোমাংসো-মিডিয়া-দলিত ব্যবসা চালাইবে কিনা তা নিয়ে……সক্কল কাজে সক্কাল-সাঁঝে ক্যালাও-চোদালো চালাতে থাকেন সক্কল চোদনা-মদনা।

কেন্দ্রীয় সরকার কাজ বন্ধ করে গজেনের নজেন নাড়ানোতে পেট্রোল-ডিজেল-ডলারের দাম বাড়তে থাকে। মুদি-হনু জোট দুই বাংলা আক্রমণ করে গজেনের নজেনের মাপের গো-সংরক্ষক-যান তৈরি করে। গজেন তরী ভেসে যায় ইছামতীর জলে। ভাসতে থাকে গজেনের ছেঁড়া বাল। হাল ভাঙা পাল ছেঁড়া বাল-ছেঁড়া ব্যাথায় কেঁদে ওঠে বাংলার মা-মাটি-মানুষ-ফ্যাতাড় ফানুস। মুদি আচ্ছে দিন গো-জেন বিন নামে রেডিও-টিভি-ইন্টারনেট অভিযান শুরু করে। …গোমূত্রের বিকল্পে গজেন-বালে ক্যানসার সারে না… বলে চলেন মুদি…। খেঁদি নীল-বাল সাদা বাল কবিতায় মরণ করেন গজেনকে –


গজেন গজেন নীল
গজেন গজেন সাদা –
তুমি হনু মুদি
আমি বাংলা গাধা।
তিড়িং খিঁচি দিনে
মশা উড়ছে রাতে
গজেন ব্যথা দাঁতে
ছিঁড়ছি বাল হাতে।
খোকা বলেছে গজেন
বুড়ো ফেলেছে মাল –
বাংলা নদীর তীরে
গজেন চোদা খাল –
নারকোল আর তাল।
ধপাস ধপাস পড়ে
পড়ে ধপাস করে
না ধপাস করে পড়ে
খিঁচবি তোরা জোরে
গজেন আমার ওরে!
কোথায় গেলি বাছা
ভালোই হল খেঁচা
এখন বালের বেচা
কেনা যাবে ভোট
দুই বাংলার জোট
ফোট হনুরা ফোট…।।

ঢাকা শহরের বুদ্ধিজীবি ও ভারতের সক্কল বালপন্থী বর্ষীয়ান সেয়ানারা গজেনের স্টাইলে ব্যাপক বিপ্লব চোদানোর ফর্মুলা নিয়ে গোপন বৈঠক করে উত্তেজনায় ঠকঠক কাঁপতে থাকেন। তাঁদের ঘরে ঘরে ডানা মেলে হানা দেয় হনু পার্টির উড়ন্ত ড্রোন। গোপন ছবিতে দেখা যায় গজেনের ছবির সামনে তারা প্রচুর ডকুমেন্ট জড়ো করে রাতদিন খেঁচাখেঁচি করছেন। হনু পার্টি সকলকে পাকি উগ্রপন্থী বলে গ্রেফতার করে জেল হাজতে ঢুকিয়ে দেয়। জেলে সবাই প্রবল খিঁচে-ছিঁড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পড়ে থাকে। তাদের বুকে ইসিজির তার লাগাতে গিয়ে দেখা যায় গজেনের ছবি ও ছেঁড়া বালের অংশ। তারা ইসিজির টেকনিশিয়ানকে দেখে চেঁচিয়ে ওঠেন লাগা-বি?

মুদির টুইটারে উড়ো মেসেজ আসে ডারবান দার-এস-সালাম থেকে……নকশাল আজো, আচ্ছে দিনে আছে। তোকে তারা আচ্ছে কাম পে লাগাতে চায়….লাগা-বি?

এক কালকা বারিশ কি রাত মে মুদি-হনুর গাঁড়ে সুড় সুড় করে কি যেন…..। ইয়ে ওহি গোজেন কি বাল হ্যায় কেয়া? ইধার ক্যায়সে আ গিয়া শালা! বলে মুদি ধড়াম করে উঠে বসেন….দেওয়ালে দুলতে থাকে লাল-কিলার ছবি। হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়ায় দুলে যায় তাঁর প্রাসাদোপম বাংলো। চোখ ও গাঁড় কচলে নিজেই চা বানাতে যান কিচেনের পানে মুদি। চা পাতার কাচের স্বচ্ছ-ভারত লেখা ডাব্বা খুলে ঝুটি গাঁড়ের কূট-কূটি সামলে হতবাক হয়ে যান। টি-ব্যাগের মধ্যে লাল অচেনা প্যাকেট। বাইফোক্যাল চশমা পরে ভালো করে দেখেন। হোলোগ্রাম চিক চিক করে। পড়েন মুদি ধীরে ধীরে….গোধরার আগুনের মত জ্বলতে থাকে গ্যাস-ওভেন মুখের সামনে। আগুনের গনগনে আলোতে পড়ে ফেলেন ছোট্ট প্যাকেটের ওপরে লাল লেখা…..মোক্সা মারিজুয়ানা….যো পিতা ওহি মাতা….ও হি সিকন্দর আউর বেশরম বে-ফিকর! ফিক করে হেসে গম্ভীর হয়ে যান মুদি-হনু! গাঁড় কুটকুট তীব্র হয়ে ওঠে হঠাৎ….. অস্ফূটে

বলে ওঠেন…মেরা গাঁড়ৎ মহান….ওয়ে গোজেন….সা…লললল্লে তেরিত্তো….ইয়ে বংগাল….!

1 Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *