গজেন্দ্র চন্দ্র: কে-রে….?
গজেনের হ্যাণ্ডেল শো চুপে-প্রকাশে ব্যক্ত হতে চায় শহর কলকাতার পথে। ডিজোরিওর উৎসাহে যাদবপুর আর অ্যাসিডিস চন্দ্রের হিড়িকে প্রেসিডেন্সীর সমগ্র ছাত্র ক্ষেপে ওঠে গজেনের নজেন ট্রিকের অমোঘ-উৎসব উদযাপনে। কলেজ স্কোয়ারে সুবার্স্টচন্দ্র-বর্ণেশ্বর জলের ধারে মোক্সা-মারিজুয়ানার সুগন্ধী প্রাণস্পর্শী ধোঁয়াকে সাক্ষী করে প্রতিজ্ঞা করেন এ সময় এ দেশ এ সমাজকে বাঁচাতে তাঁরা সর্বতোভাবে আছেন। গজেনের নজেন ট্রিকের ক্রমবর্ধমান-আসানসোল-চুঁচুড়া-মেদিনীপুর -কল্যাণীব্যাপী তুমুল হুজ্জুতি-বজ্জাতির কারনিভ্যালে। গজেন-ভ্যালু পাবলিক-পলিটিক্যাল লাইফে দিনে দিনে বাড়তে থাকে। কলেজস্ট্রীটের পুরোনো বইয়ের দোকানের পাশের সকল ল্যাম্পপোস্টে গজেনের হাত-অগোপন অঙ্গের স্কেচ বিশালাকারে দেখা যায়। যাদবপুরে গজেন গজেন রব শোনা যায়। কেউ কেউ তাঁর জন্য কল-শোর বন্দোবস্ত করে ফেলেন। কিন্তু গজেনকে পাওয়া যায় না।
কে-রে ছদ্মনামে গজেনের লেখা কবিতা ফেসবুক ও ইউটিউবে সমগ্র বিশ্ববাসী বাঙালির কাছে প্রচণ্ড অণ্ডকোষ আলোড়নময় পাত্তা পাওয়ায় সকলে জানতে চায় কে এই কে রে! কিছু কবিতায় সুরারোপ করে এক অদ্ভূত গজেন-গীতি আর তার সাথে খেঁচা-ছেঁড়া পশ্চারের নৃত্য জুড়ে এক কিম্ভূত নাচের নব-পানু-আনন্দে জাগো গজেন-কালচার তৈরি করে ফেলে গজেন। সমস্ত মনীষীর সাহসী হিসির গাল-গল্প শুনে ও তাদের প্রচণ্ড ও প্রকাণ্ড লোক-দেখানো ও আপনে-গোপনে উৎসাহ দানের ফলে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে গজেন-আর্ট। গজেনের খেঁচা-ছেঁড়াময় বিপ্লবে এক আজব স্টাইলের রাষ্ট্রদ্রোহিতার বীর্যগন্ধ পায় খেঁদি-সরকার। ইন্টারনেটে প্রবল প্রকাশিত এ সকল ছেঁড়া-ছেঁড়ি আর তারিসাথী আকাশে উড়ন্ত উত্তেজনা-আবেগের বকপাতীকে তারা গুলি করে নামানোর পক্ষপাতী হলেও গ্রেট-ম্যান ঘোড়া হাতির বাহিনী ও দুই বাংলার বাল-জনগণ-মনের ভনভন ভয়হীন ভয়ানক ভাষণ-ভণ্ডামিতে ভ্যাবাচ্যাকা-চোদিত খেঁদি-গরমেন্ট একটু কেলিয়ে পড়ে লক্ষ্য করতে থাকে এ খেঁচো-ছেঁড়ো আন্দোলন বা যৌনাঙ্গ উত্তোলনের গতি-ধীরগতি।
যুবক্যালা মন্ত্রক এক প্রচুর মদ্যপায়ী ঢ্যামনা আইপিএস কে অনলাইনে গজেনের পোঁদে লাগানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে মাল আবার যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্র হয়ে লাগা-বি আন্দোলনের সমর্থনে প্রবাসী গায়িকা-কে সকাল বিকেল লাগানোর অনলাইন প্রোপোজালের জালে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। খেঁদি ব্যস্ততার মাঝে খোঁজ নিতে থাকেন গজেনের। কিছুদিন চলার পর তাঁকেও আশ্রয় ও অ্যাটাক করে গজেন-ভাইরাস। গজেন ও খেঁদি দুজনের বাল-কাব্য জনগণের কাছে আদৃত ও আস্কারিত হয়ে যায়। কে-রে ছদ্মনামে খেঁচা-র্যাপ লিখে চলে গজেন…।
কেরে শালা তুই কেরে খিঁচছিস একা?
বাল-পার্লামেন্টে বসে চোদা-মাল বোকা
ওই দ্যাখ ছিঁড়িতেছে তোর পোষা পোকা
পোঁদে-কাঠি টেকনিকে দিচ্ছে কি ধোঁকা?
খিঁচি আর ছিঁড়ি রোজ রাত জেগে আমি –
বামুন চণ্ডীদাস খেঁচে, চাটে রজকিনী রামী
শালা বিজেপির ড্যাস মারি টিএমসির ড্যাস
বাঁড়া সিপিএম নকশালকে করিল ডাউট।
বোকাচোদার সংবিধানের পাতাছেঁড়া হবি –
বদলায় রুল কতো থেঁৎলায় খেঁচা ছবি –
মাল-পড়ে পেনাল-কোডে ছেনালের লোমে
বাঁড়া-খিঁচে বাল-ছিঁড়ে বিখ্যাত ক্রমে…।
গজেনের খেঁচাছেঁড়া বড়ো মধু-ময় –
ডিজোরিও-অ্যাসিডিশ উৎসাহ দেয়…
নিবুকে প্রপোজ করি অপোজে বঙ্কিম
বাল-খেঁচা-মাল মাখো সামাজিক ক্রীম ।।
এ সব কাব্যের প্রবল অনাব্যতায় সৃষ্টিরসে ডুবতে পারে না অনেকেই। তাদের গাঁড়ে ঝরে চলে খিস্তি-রস। ওদিকে খেঁচাছড়ার প্র-বাল সাপোর্টে অ্যাকাডেমিক গাণ্ডুরা একত্রিত না হয়েও এক্কা-দোক্কা খেলতে থাকে। গন্ধক গাঁড়গুপ্ত নামধারী লণ্ডন-প্রবাসী মহান অধ্যাপকের দাঁত-টাক-মাথা ঝকঝক করে ওঠে। বিবিসি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান তিনিই এই খেঁচাছেঁড়ার আসলি হোতা। প্রমাণ-এভিডেন্সের জন্যে ফেসবুকে গজেন খেঁচা ক্লাব তৈরি করেন দুই বাংলার ছাত্র-ছেঁড়া সংগঠনের গাঁড়ে, খেঁচা-খেঁচ ভাবে উদবুদ্ধ করে। ম্যাগসাইসাই না পেলে তিনি থামবেন না মনস্থির করে ফুল গজেন গজেন ধ্বনিতে নিজের নজেনকে নবরূপে খেঁচা-খাড়া করতে থাকেন। কিন্তু তাঁর খেঁচা-দিনের বছর কুড়ি পার হয়ে যাওয়ায় তাঁর খেঁচাঙ্গ তেমন দাঁড়ায় না। ম্যাডিউ-অঁরিয়েতকে ধরার মরিয়া-বাঁচিয়া-জংলি-টিয়া চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। তাঁকে নিয়ে কে-রে লিখে ফেলে….
গন্ধে গন্ধে নাচি আনন্দে প্রোফেসর গাঁড়গুপ্ত…
প্রাসাদের ধারে শুয়ে খিঁচিতেছি সেন্ট উপগুপ্ত
নটী-খেঁদি যদি চুষে দিতো ধরে ডিপ-চুক –
তাহার চোষায় নাচত আমার ফ্ল্যাট-বুক।
বাঁড়া তোমার পোঁদে খিঁচেছিলেম কতো –
আরে চোদনা পরাণে কতো না রাত বসন্ত
আমার ছেঁড়া বালটি উড়িয়েছিলেম বাঁড়া –
আরে বানচোদ, দেখেও তুমি দাওনি তখন সাড়া….।
এ সকল কথা খেঁদির মিনি-স্টার বিশাল-কানে পৌঁছে যায় নানা চোদনা চরের চ-তুর চেষ্টায়। তিনিও পিকাসো-কাতকারী শিল্পের ও রাজ্য-চোদানোর ফাঁকে রচনা করেন বাঙলা সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট কবিতা:
চোদায় খেঁচায় ছেঁড়ায়
গজেন-কবির দাঁড়ায়
কিন্তু হাতার বাঁড়ায়
সরকারি-মাল পড়ায়
অনেক দিন-তো বাকী
সে এক চোদনা পাখি
কলকলিয়ে ডাকে
আমায় না-হলে কাকে
কোথায় বাল-টা থাকে
আন-ধরে আজ তারে
দেখতে ইচ্ছে করে
এমন হাতের জোর
ছিঁড়ছে রাত্রি ভোর
এমন খেঁচার হবি
মোদের বিশ্বকবি
কোথায় লাগে রবি
সবাই হাবিজাবি
গজেনরে তুই আমার
ছিঁড়ব সেলাই জামার
আমার আদর জানিস
বোম মারতে পারিস?
লাশ ফেলতে হলে
রেপের দরকারে
আমার ছেলে লাগে
অনেক ক্যাডার আছে
তারাও সবাই ছেঁড়ে
আমার ঝাঁটের লোম
তাই দিয়ে হয় বোম…।।