কবর

এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।
সোনালী ঊষায় সোনামুখে তার আমার নয়ন ভরি,
লাঙ্গল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত,
এ কথা লইয়া ভাবি-সাব মোর তামাশা করিত শত।

এমন করিয়া জানিনা কখন জীবনের সাথে মিশে,
ছোট-খাট তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা,
আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু উজান-তলীর গাঁ।
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু পয়সা করি দেড়ী,
পুঁতির মালা এক ছড়া নিতে কখনও হতনা দেরি।
দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুর বাড়ির বাটে !
হেস না–হেস না–শোন দাদু সেই তামাক মাজন পেয়ে,
দাদী যে তোমার কত খুশি হোত দেখিতিস যদি চেয়ে।
নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, ‘এতদিন পরে এলে,
পথপানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেঁদে মরি আঁখি জলে।’

আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝ্ঝুম নিরালায়।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ্ দাদু, ‘আয় খোদা, দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’

তার পরে এই শুন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি,
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি
গনিয়া গনিয়া ভুল করে গনি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কতসোনা মুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে লাগায়ে বুক,
আয় আয় দাদু, গলাগলি ধরে কেঁদে যদি হয় সুখ।

এইখানে তোর বাপ্জী ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই ? কি করিব দাদু, পরান যে মানে না !
সেই ফাল্গুনে বাপ তোর এসে কহিল আমারে ডাকি,
বা-জান, আমার শরীর আজিকে কি যে করে থাকি থাকি।
ঘরের মেঝেতে সপ্ টি বিছায়ে কহিলাম, বাছা শোও,
সেই শোওয়া তার শেষ শোওয়া হবে তাহা কি জানিত কেউ ?
গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,
তুমি যে কহিলা–বা-জানেরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?
তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,
সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে।
তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দু হাতে জড়ায়ে ধরি,
তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিত সারা দিন-মান ভরি।
গাছের পাতারা সেই বেদনায় বুনো পথে যেত ঝরে,
ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শুনো মাঠখানি ভরে।
পথ দিয়ে যেতে গেঁয়ো-পথিকেরা মুছিয়া যাইতো চোখ,
চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,
হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।
গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
চোখের জলের গহীন সায়রে ডুবায়ে সকল গাঁ।
উদাসিনী সেই পল্লীবালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধার ঘরে পথ পেয়েছিল খুঁজি।
তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বীষের তাজ।
মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, ‘বাছারে যাই,
বড় ব্যথা রল দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
দুলাল আমার, দাদু রে আমার, লক্ষ্মী আমার ওরে,
কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।’
ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গণ্ড ভিজায়ে নয়ন-জলে,
কি জানি আশিস্ করি গেল তোরে মরণ-ব্যথার ছলে।

ক্ষণ পরে মোরে ডাকিয়া কহিল, ‘আমার কবর গায়,
স্বামীর মাথার ‘মাথাল’ খানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।’
সেই সে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
পরানের ব্যথা মরে না কো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
জোড়-মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এইখানে তরু-ছায়,
গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে গায়ে।
জোনাকি মেয়েরা সারা রাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,
ঝিঁঝিরা বাজায় ঘুমের নুপুর কত যেন বেসে ভাল।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’রহমান খোদা, আয়,
ভেস্ত নাজেল করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়ে।’

এইখানে তোর বু-জীর কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজীদের ঘরে বনিয়াদী ঘর পেয়ে।
এত আদরের বু-জীরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে।
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
খবরের পর খবর পাঠাত, ‘দাদু যেন কাল এসে,
দু দিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।
শ্বশুর তাহার কসাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে,
অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে, ফোটে না সেথায় হাসি,
কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিত ভাসি।
বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
কে জানিত হায়, তাহারও পরানে বাজিবে মরণ-বীণ!
কি জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
এইখানে তারে কবর দিয়াছি দেখে যাও দাদু ধীরে।

ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে বাসে নাই কেউ ভাল,
কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
বনের ঘুঘুরা উহু উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
পাতায় পাতায় কেঁপে ওঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ দাদু,’আয় খোদা দয়াময়!।
আমার বু-জীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।’

হেথায় ঘুমায় তোর ছোট ফুপু সাত বছরের মেয়ে,
রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।
ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কি জানি ভাবিত সদা,
অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা।
ফুলের মতন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,
তোমার দাদীর মুখখানি মোর হৃদয়ে উঠিত ছেয়ে।
বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,
রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।

একদিন গেনু গজ্নার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,
ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায় পথের পরে।
সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে,
কি জেনি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গ্যাছে।
আপন হসেতে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি–
দাদু ধর–ধর–বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।
এইখানে এই কবরের পাশে, আরও কাছে আয় দাদু,
কথা ক’সনাক, জাগিয়া উঠিবে ঘুম-ভোলা মোর যাদু।
আস্তে আস্তে খুড়ে দেখ্ দেখি কঠিন মাটির তলে,
দীন দুনিয়ার ভেস্ত আমার ঘুমায় কিসের ছলে।

ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবিরের রাগে,
এমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।
মজীদ হইছে আজান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুর,
মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দুর!
জোড়হাতে দাদু মোনাজাত কর্, ‘আয় খোদা, রহমান,
ভেস্ত নাজেল করিও সকল মৃত্যু-ব্যথিত প্রাণ!’

56 Comments
Collapse Comments

জসীমউদ্দিনের কবিতা আপডেড করা হচ্ছে…

এটা আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবি ও কবিতা এক. এটা সত্যিই আমার হৃদয় স্পর্শ করে.

amon mormosporshi kobita ami r kono somoy pori nai, ata amar jiboner shobe theke prio kobita

Actualy i most like poet Jasimuddin.so iwant to read his poet.

অসাধারণ একটা কবিতা। আমার পড়া কবিতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের এই কবিতাটা। এখনো যতবার পড়ি চোখ ভিজে আসে।

অসাধারণ একটা কবিতা। আমার সবচেয়ে পছন্দের। দারুন আবেগময়। পড়তে গেলে সবসময় চোখে পানি চলে আসে।

I want read ‘palli janani”

অসাধারণ একটা কবিতা। আমার পড়া কবিতাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের এই কবিতাটা। এখনো যতবার পড়ি চোখ ভিজে আসে। Amito Shom-purno Portei Pari nai. Jokhoni ami porte chesta kori tokhon-ai Chokher jole amer Goler Shobdo Bondho Hoye Ase.

thanks for updating and maintaining this kind of site.
i was in search of this poem for a long time,thanks and plaese keep it up,please let us know if we can help anyway.

মুজতাহিদ July 27, 2010 at 7:55 pm

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বই এ মুদ্রিত কবিতা আর এখানে সংযুক্ত কবিতাটার মাঝে যতি চিহ্ন এমনকি কতগুলো শব্দের পার্থক্যও বিদ্যমান( ছ স্থানে দু, নসিব স্থানে নাজেল-ইত্যাদি)।এগুলোর মাঝে কোনটা সঠিক তা বোধগম্য নয়।এগুলো সংশোধন করা দরকার।

A top class poem & also so touchy that I can never finish fully at a time.

Gboner protom jokon KOBOR kobita pori tokhoni amar 2 chuk kannay bheshe jay.Mone mone tar proti oshim srodda jege ute.Akon r ashob polle kobitar shuk kothaw pai na.Biswanathew nai tar kono sriti………..

Shah Mohammad Azad Ali October 17, 2010 at 3:51 pm

So Nice a poem. It is difficult for any person to hold tears after reading this poem. May Allah place the soul of Kabi Jasimuddin in eternal peace for ever.

When I read it just I feel every spirit of all my family members. It’s a great feelings of relationship. Thanks Jashim Uddin his greatest poet Kabor.

Its a wonderful poem.. i really really like it….

I want to Read Solo ana mise . pls…….

somnath chowdhury May 28, 2012 at 8:56 pm

ashdharan……….knede fellam..

শেখ ফরিদ May 30, 2012 at 5:43 pm

এ কবিতাটা যত বার পড়েছি তত বাররি আমার চোঁকে পানি এসেছে । কবি তার মন প্রান দিয়ে এ কবিতাটা লেখেছন ।মানুষের জীবনে যে কত কষ্ট লুকিয়ে থাকে তাড়ি বর্ণনা এ কবিতাই পওয়া যাই ।

রা‍‍জীব হাসান ‍ June 13, 2013 at 11:47 pm

যত বার প‍ড়ে‍ছি ততবার ‍‍কেেদ‍ছি। এ এক অসাধারণ ক‍বিতা।

রা‍‍জীব হাসান ‍ June 14, 2013 at 12:04 am

যুগ যুগ ধ‍‍রে‍ ………………………………………………………………………………কাঁদবে‍ সবাই । কাঁদত েহবইে। যতদনি এই ক‍বি‍তা র‍‍‍‍‍বে যত বার পড়ব েতত বার কাঁদত েহব।ে

Ai kobita porte gele chokhe pani chole ase.

ato sundhur akta kobita ami are kuthiyo pori nai. Amar mote atay bangaly lekha sera kobita

শাহনাওয়াজ July 8, 2012 at 6:15 pm

আসাধারণ কবিতা, তুলনা নাই,

আল আমিন August 19, 2012 at 2:26 pm

নিসঃঙ্গ বৃদ্ধদের শেষ জীবনের কষ্ট নিয়েই এ কবিতা

it is a good poem……….everybody like it

thnk’s evergreen bangla

অঝর ধারায় কেদেছি…বার বার থামতে বাধ্য হয়েছি…কিন্তু আবার ফিরে গেছি…অসাধারণ কবিতা…সকল জুগের.সকল সময়ের।

আমি যে কবিতা গুল পরেছি তার মদ্ধে সবচেয়ে সুন্দর কবিতা হল কবর কবিতা। এই হল আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা। যতবার এই কবিতা পড়ি ততবার ই আমার চোখে পানি চলে আসে।

AMAR JIBONE SOBCHAYE BEST KOBITA. JA AMAKE APON MANUS ER HARANOR MORMO BUJHIEY
DAI.

oshomvob abegmoy ekta kobita….!!

Heart touching and extra-ordinary Poem. My favourit Poem. I give salute poet Jasim uddin for Writting such a poem.

কবর কবিতাাটি আমার খুব ভাল লাগে

kichu bolar nai……..

mohammed gias uddin sikder March 31, 2013 at 7:06 pm

this is the best poem in my life

সায়ন্তন সাঁতরা April 1, 2013 at 4:08 pm

এই কবিতাটি আমর অন্যতম প্রিয় কবিতা ……………. বিশ্বাস করতে কষ্ট ওয় জসীমউদ্দীন এটি ১৪ বছর বয়সে লিখেছিলেন

Very good

Jasimuddin is one of my favourite poet.tar kobor kobita amar sobchea valo lage.

A kobitar 99%amar jiboner share missrito….

হুসাইনুর রহমান সালাহউদ্দনি October 1, 2013 at 11:30 pm

আমার কাছ েসবচয়ে েভাল লাগ‍ছ েক‍ব িজ‍সমি ইদ্দনিরে কবর কবিতাট িকারণ কবর ক‍বতিা‍টতি ে ফােট েউ‍‍টছে েমানুষরে মরনরে কথা। আর এই কথা সত্য য েমানুষক েএকদনি মরণ যন্ত্রনা বুক করত েহব।ে

Amar visson legyce

রাখাল ছেলে November 17, 2013 at 6:59 am

কবিতার বৃদ্ধের নাতির মতো আমার জীবনও অনেক কষ্টের।কবিতা যতো বার পড়ি ততো বার চোখের পানিতে বুক ভাসায় আর ভাবি বৃদ্ধের নাতির জীবন ও আমার জীবন মনে হয় একই শুতোই গাঁথা। যখন হারানো প্রিয়জনের কথা মনে পরে তখন চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি কোন এক মায়াময় হাতছানির অপেক্ষায়।
সহানুভতির জন্য অনুরোধ রইলো:
(রাখাল ছেল)

আমার জীবন এ রকমে

Ei kobita amar prio kobita.
Sarata jibon dhore ei kobita protita manushke nariye jabe. Kobita ta manushke ihokal n porokal somporke socheton korbe. Sallut to our “Pollikobi.” He is great

আশিকুর রহমান December 13, 2013 at 11:22 pm

এই কবিতার সাথে আমার জীবনের অনেক মিল রয়েছে । তাই কবিতাটি আমি খুব পছন্দ করি ।

জে.এইচ. শুভ December 20, 2013 at 5:37 am

একটি অসাধারণ কবিতা। এই কবিতা আপডেট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Amar Education Life r sera Kobita, Ai kobitar Jonno Jashim Uddin amar prio kobi.

এম,এস ফয়সাল January 8, 2014 at 10:15 am

আমার শিক্ষা জীবনের সেরা একটি কবিতা হচ্ছে কবর। যার কারনে কবি জসীম উদ্দিন আমার প্রিয় কবি। ……………

এত দিন জানতাম যে, সুরা ফাতিহার প্রথম আয়াত ”আলহমদু লিল্লাহির রাহমানির রাহিম”। ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”-সূরা নামলের ৩০ নম্বর আয়াত কিন্তু সকল কাজের পূর্বে ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পাঠ করতে হয় তাই সব সুরার শুরুতে ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” লেখা হয়ে থাকে কিন্তু এখানে দেখছি ”বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”- কে সুরা ফাতিহার এক নম্বর আয়াত হিসেবে লেখা হয়েছে এটা কি কোরআনের বিকৃতি নয়? এছাড়া আরও জানতাম যে, ” صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ ” – একটা আয়াত অর্থাত আয়াত নং- ৬ আর ” غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ”- একটা আলাদা আয়াত অর্থাত আয়াত নং- ৭। কিন্তু এখানে দেখছি এ দুটোকে এক আয়াতে লেখা হয়েছে। এটাও কি কোরআনের বিকৃতি নয়? এটা কি ইচ্ছাকৃত ভূল না অনিচ্ছাকৃত প্রিন্টিং মিসটেক? যদি অনিচ্ছাকৃত প্রিন্টিং মিসটেক হয় তাহলে সংশোধন করে দেওয়ার অনুরোধ রইল আর যদি ইচ্ছাকৃত বা স্বজ্ঞানে হয়ে থাকে তাহলে তার হেতু বা ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।

আগে আয়াত আরবীতে। যেহেতু আরবীতে ডান দিক থেকে শুরু হয়, তাই ইংরেজী নাম্বারিংটা এখানে ডানের বদলে নতুন লাইনে চলে গেছে। তারপর বাংলা অর্থ এসেছে।
আপনার বাকি কথাগুলো আরেকবার কোরআন খুলে মিলিয়ে দেখুন তো এখানে ভুল আছে কিনা।
এই লিঙ্কেও দেখতে পারেন-http://www.ourholyquran.com/index.php?option=com_content&view=article&id=54&Itemid=83

মারিলে দণ্ডের বাড়ি পড়িব ভূমিতে।
পিপীলিকা দণ্ডের বাড়ি পড়িব ভূমিতে।।

অসাধারণ কবিতা।

অনেক সুন্দর একটা কবিতা।

অসাধারন একটা কবিতা

অসাধারণ কিবিতা। জীবনে এই প্রথম কোনো কবিতা পরে চুকে জল আসলো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *