ওরে পাগল মা কি তোর একার…?
পুরুত-বামুন সুড়ৎ ঢুকে যান রাসমণির মন্দিরে। ছোট ঠাকুর হয়ে পাগলামির চূড়ান্ত ক্যাওড়ামি ও মা-মা করে আকালীর মূর্ত-মূর্তির সাথে কথোপকথন করে পটিয়ে ফেলেন রাস-রানির রানি-কোমল-হৃদয়। গদা-ঠাকুর বা ছোট-ঠাকুর হয়ে সকল কাজে নিজস্ব পাগলামি উদোম ক্যাওড়া করে ক্ষুদে-পাগলা-লেজেণ্ড মিস্টিক শুরু করেন তাঁর জার্নি। আধ্যাত্মিক জ্ঞানের ভাণ্ডার রচনা করেন তাঁর দিনযাপনের চর্চায়। কখনো গাছতলায় গঙ্গা-ঘাটে সাধুসঙ্গ কখনো ভাগ্নে হৃদয়ের সাথে মস্তিষ্ক জুড়ে গড়ে তোলেন ধীরে ধীরে আপন ব্যাটেলিয়ন।
গসপেলে গসপেলে সকলের মাথার দশা আকালী-নেশাময় করে মায়ের নামে আপন সাধুগিরির প্রচণ্ড প্রতিষ্ঠা করে হুঁকো খেতে থাকেন বারান্দায় প্রায় নগ্ন-দশায়। ভগ্ন-মূর্তি না ফেলে রাস-রানিকে ঠাঁটিয়ে থাপ্পড় মেরে আপন লিডার-শিপের এক মা-মুখী অটোক্রেসি তৈরি করে ফেলেন সুদীর্ঘ সরু-গলার নিরন্তর বকবকে সত্য-বিতরণে। নোরেন-সহ বারো ভূত-শিব নিয়ে তৈরি করেন আপন ক্যাসেল।
পাঁড় মাতাল মহান পশ উচ্চ-নীচ সকলের ঠাকুর ফোকলা দাঁতে সাদা দাড়িতে ম্যাজিক করতে থাকেন কালী-শক্তির উচ্চ-ক্রন্দনজ্ঞান-ভক্তি-মুক্তি যোগে। আজব অসমবয়সী বিবাহে এসে যান রশিদা। তাঁকেই দেবী-ভাবে ইনফেক্ট করে বানিয়ে দেন সকলের মা। নোরেনের গায়ে ঠ্যাং তুলে প্রথম দর্শনেই তার মাথার সমস্ত ঢিলে করে দেন। জম্বি বানিয়ে আপন ধুতির খুঁটে বেঁধে ফেলেন ঈশ্বর-সত্য-সন্ধানী পাগল-ঠাকুর। নানা পথে সাধনা করে যত মত তত পথ বাণী ঝেড়ে ফুল ইতিহাস আপন স্টাইলে। প্রচণ্ড বিতর্ক-বিরোধিতায় অচল ভক্তি-সাধনায় অনঢ় আকালী হং ও স ব্রিদিং এর ফোঁস-ফোঁসে পূর্ণ পরম হংস হয়ে ওঠেন।
উচ্চ-সামাজিক উদগাণ্ডুগণ ল্যাজ নেড়ে সভয়ে-ভক্তিতে তাঁকে ও তাঁর পাগলামিকে মিস্টিকের মিষ্টতা বলে ব্যাপক খেয়ে যায়। কালে কালে গড-শেয়ার মার্কেটে ভ্যালু প্রচণ্ড হাই হয়ে টোট্যাল ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে হয়ে যান আকালী। রোমা রোল্যাঁ রোলার চালিয়ে তাঁর জীবনী সকলের মগজে ঢুকিয়ে দেন। ক্যালেণ্ডার ছবি হয়ে যান, নোরেনের বিশ্ববিজয় ঘটে যায় তাঁরই ছায়ায়-মায়ায়। রদা-ঠাকুরের রদা-বাড়িতে রাস-রানির দর্শনেশ্বর মন্দির কালে কালে তীর্থ-স্থান। তাঁর পৈতৃক বাটি কামার পুকুরের হাঁস-মাছ-পোকা শ্যাওলাও কথামৃত হতে অমৃত গসপেল ঝাড়ে রাত-দিন। গিরির গাঁড়ে লাথি কষানোয় সে মাতাল-লম্পট-নাট্যকার হতে ভক্তি-যোগী-লেজেণ্ড হয়ে যায়। নটী-বিনুদিনীর মাথায় হস্ত রাখবামাত্র সে কেঁদে কঁকিয়ে ঠাকুর আমার ঠাকুর বলে আকূলা-আপ্লুতা রাধিকা-মীরা ককটেল হয়ে যায় সাঙ্ঘাতিক নাটকীয় ন্যারেটিভে।
চারিধারের সক্কল খবর রাখেন রদা-ঠাকুর। নিয়মিত হুঁকো খান। হয়তো বা ক্রিকেট ফুটবল ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্বকাপ-নিম্নচাপ আইপিএল সংসদীয় গাঁড়-মারানো গেম সকলি আকালী মায়ের কোডেড মেসেজ থেকে ডিকোড করে নেন যথা সময়ে। বেলুড় মঠে, পাহাড়ে, অদ্বৈত আশ্রমে, দেশে-বিদেশে মূর্তি-ছবি হয়ে হনহন হেঁটে সকল মাথা চেটে সময় নিয়ে এগিয়ে চলেন আকালী। ফিলিম-টিভি সিরিয়ালে তাঁর টাইপ কাস্টিং-এ প্রচণ্ড বোকা-নাটকীয়তায় অতি-ড্রামা চলতে থাকে। সাকার-নিরাকার সাধনার দোদুল্য দ্যোতনা চোদনা-মদনা সকলে না-বুঝে গিলে যায়, আর, ঠাকুর ঠাকুর তুমি কি পাঁকাল মাছের মতো ছিলে? নাকি বিষাক্ত সাপ-হয়ে ফ্যাঁস-ফোঁস করছিলে? বলে ঘরে কেঁদে দর্শনেশ্বর চত্বরে পুজো দিয়ে গঙ্গা-জলে মাথার চুলের লাউডগা-সম কুণ্ডলিনীর সাপ ভিজিয়ে বাড়ি এসে…..ঠাকুর বলেছেন……ঠাকুর করেছেন বলে নকলি কেঁদে ন্যাকা-বালিশ ভিজিয়ে গাঁড় মারামারির জগতে স্বাভাবিক ঢ্যামনামিতে মেতে ওঠে। লাইন বাড়তে থাকে তাঁর জন্মদিনে তাঁর খাট-বালিশ ঘরে উঁকি মারার।
কল্পতরু উৎসবে কাশীপুর উদ্যান বাটিতে বড়সড় বাটি হাতে কল্পতরুর ফলের আশায় দাঁড়ায় কলকাতার বাঙালি-অবাঙালি শত-সহ ষাঁড় ও গরু। ঠাকুরের কথায় আছে না বলে অনেক দম নিয়ে প্রচুর কোঁতাকুঁতির আকুতিতে কুতকুতে মদ-সোডা-পানুময় ধান্দা মিশিয়ে বালের জ্ঞান জাহির করে কথামৃতের নহে-মৃত গল্প-বাণী হড়বড়িয়ে বা ধীরে বলতে গিয়েও বিষম খেয়ে ভীষণ আপসেট হয়েও আবার দর্শনেশ্বর রেডিমেড টেলর-মেড লেজেণ্ড ঈশ্বরপুরুষের ছবিতে মালা দিয়ে আপিসের বসটাকে এ- ম্যানেজ করে দাও ঠাকুর। শুয়োরটা বড্ড- জালাচ্ছে। ফুল বানচোদ একটা শালা। ঠাকুর এই তো শনিবারে মায়ের পুজো দিলাম থালা ভরা প্যাঁড়া-ভরা জবাফুল। এ তো হতে পারে না ভুল। পুরুতে বারোটার থেকে ছটা প্যাঁড়া মেরে দিলো বাঁড়া। বাকি নিজগুনে পেঁদিয়েছি ঠাকুর। তুমিই তো আছো ঠাকুর। আর কে আছে বলো… বলে লকেটে পার্সে পকেটে পড়ার টেবিল গেলার টেবিল ও চোদার খাটে-ক্যালেণ্ডারে গাড়ির ড্যাশবোর্ডে রেসের মাঠে, বাজারে হাটে ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতে পরীক্ষার হলে নিরীক্ষার ছলে ম্যা ম্যা ঠাকুর ঠাকুর বলে ফুল পাতা ছবি রাখে গুঁজে।
কোমোডেও গোঁজে তাহারা ঠাকুরের ছবি বা ফুল পাতা ভালো হাগু হবার অতি-সেয়ানা গুহ্য-গোপন আশায়। কণ্ডোমে-পোঁদে-যৌনাঙ্গে শিশুজন্মরোধে-অর্শ-নিরাময়ে ও ধ্বজভঙ্গ-শীঘ্রপতন বা লিঙ্গ ছোট সরু বাঁকা পাতলা বীর্য মিলনের অক্ষমতায়। দাম্পত্য ও খানকি-চোদাত্ব সুখের অমোঘ আশায় প্রচণ্ড আশাবাদে শনশন ঝনঝন কাঁদে তাহাদের মুণ্ড-মাথা খুন্তিহাতা গাড়ি-বাড়ি ফাক-ডিভোর্স লটারি-রেসকোর্স স্যাণ্ডেল-হ্যাণ্ডেল বিলেত-বিমান ধাবমান জীবন। ঠাকুর সরু-মিহি গলায় মায়ের কাছে চেয়ে নে রে শালা বলে সকলের মাথা নেড়ে ঘেঁটে ফ্রয়েড-ইয়ুং-গোয়েবলস সাইকোলজিতে কেলানে-খেঁচা বাল-ছেঁড়াদের ছ্যাবলা-ছেঁদো সাইকোপ্যাথ মগজের দশা দেখে সমাধিস্থ হয়ে বা জেগে উঠে কখনো রসিকতার কখনো মোটিভেশনাল স্পিচে বেটিং-ক্রিকেট পিচে-সীবিচে খেলে-ভেসে-হেসে যান… ওরে শালা বলেছি না…ওরে শালা শুনেছিস রে! ওরে বানচোদ কি বললি? ওরে গাণ্ডু কি ভাবছিস মনে……ওরে ছাগল একটা ছাগলের গসপেল শোন….আরে পাঁঠা এই মাকে বলে দিলাম দেখ কি হয় বলে চালিয়ে যান তাঁর আপন কারবার। হুঁকোর বা ধূপের ধোঁয়ায় ঢেকে যায় তাঁর মুখ কখনো।
ধোঁয়াকেই ঠাকুর বলে তুমি তো ঠাকুর সবি তো জানো বস। আমার জন্য শর্ট-কাটে কিছু করো কিছু করো ঠাকুর তোমার পায়ে ধরি ঠাকুর আমায় লাথি মারলে ক্যানো…ঠাকুর আমি জানি আমি কত বড় বোকাচোদা…..ঠাকুর তুমিও তো জানো…ঠাকুর এ তুমি কি করলে ঠাকুর কেন আমায় এমন বললে…এরকম বললে আমি খেলবো না…বলে মানে-অভিমানে অবোধ-নির্বোধ নিমগতায় নেড়ে যায় আপন অঙ্গ…পোঁদে ঢুকে যায় তার জীবনের মৃত-কথা ও কথামৃত…..। হাসেন আকালী হুঁকোর ধোঁয়া গিলে…শোন শালা মা কি বললো কাল রাত্রে স্বপনে…