এ জীবন লইয়া কি করিব…?

এ জীবন লইয়া কি করিব…?

ডিজোরিওর বিশ্বভারতী-চোদানো বক্তৃতা, বিড়েমাথার জেলু খেয়ে খেঁদিকে খিস্তানো আর গজেনের ছেঁড়া-খেঁচা র‌্যাপের প্রবল প্রতিবাদে খেঁদির গুণ্ডাবাহিনী রোজ সরকারী স্পনসরড মদ-মাংস হুজ্জতিতে মেতে ওঠে। ভবানী ভবনে ভবানীর ঘনঘন যাতায়াত চলতে থাকে।

ন্যাড়ামাথা ও বিড়েমাথার মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে গিয়েও হতে পারে না। সকল সৃষ্টি-গভীর কাজেই বিড়েমাথা হে পাঠক অবলোকন করুন বলে ডাকায় ভবানী পাঠক তার এতদিনের স্বভাব বিস্মৃপ্রায় হইতে পারেন না হঠাৎ করিয়া সমস্যাসঙ্কুলতায়। সমস্যা বাড়ে খেঁদি মাঝ মাঝেই ভবানীকে মুগুর হাতে ডেকে পাঠানোয়। ভবানীর ট্রেনিং-এ দস্যদল ও বলাৎকারী দল এক সাথে বেড়ে ওঠে ভবানী ভবনের ছায়ায় অনতিদূরে। আর-ডি-এ’ নিয়ে আরও রেপের হোম সার্ভিসের প্রমিস করেন ভবানী। হে পাঠক বলাৎকার করুন পাঞ্চলাইনে বলাৎকার ব্যাণ্ডের সরকারী কণ্ডোম এসে যায় বাজারে।

জনসংখ্যা কমাতে বলাৎকার ও খুনের ব্যাপারে উৎসাহ দেন ডেমো সহ কেন্দ্রীয় হনু-সরকার। পাঠক-জনসাধারণের বলাৎকার ও খুনের মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে ওড়ে দেশের বলাৎকারী বাল-পতাকা।

এমতাবস্থায় কে-রে নামে কবিতা লেখে ফেসবুকে গজেন:

ভবানীর ধনে মাখা নীল-সাদা গাঁড়ো –
জেলু খেল আমলাটা বাঁকা-চাঁদ খুড়ো।
খেঁদি ভালবেসে পেশি পিছল পরাণ –
পাঠকের খাড়া মানে ড্রামা ইজ ডান…।।

ডিজোরিও ক্যালান খান বা রটান বিশ্বভারতী-কেসে। তাঁর বক্তৃতা বাংলাদেশে প্রবল সাপোর্ট পায় বালপন্থী ও বাংলা-বি এর সকলের ফেসবুক পোস্টের উল্লাসে-কার্টুনে। ঘন ঘন ফেবুক লাইভে ও পোস্টে নিজের বাংলা-ভাষা ও ইতিহাসের প্রতি আস্থা মনোযোগে জানাতে থাকেন ডিজোরিও। ভবানীর কেসে খেঁদিকে মহিলা হিসেবে দেখে গুণ্ডা পার্টির ক্ষোভ কিঞ্চিৎ কমিয়ে ফেলেন তিনি। ফেসবুকে লেখেন খেঁদি ও মা মিলে খেঁদিমা হয় বাঁড়া…মহিলাদের সম্মান করিস তোরা। কিন্তু ধর্ষণ কোন ইতিহাস-সমর্থিত বাংলা শব্দ নয় বাঙালির ইতিহাসে কোথাও বলাৎকার নেই। এই অবাঙালি ধর্মান্ধ বোকাচোদস হনু-পার্টি ফুল রেপিস্ট। এদের বাংলা থেকে তাড়িয়ে আলাদা বাংলা বি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হোক। বাংলা বাংলা বাল বাল শ্লোগানে তার ভক্তগণ ক্যাম্পাস হট করে তোলে। খেঁদির নতুন ছড়ায় আসে:

বাংলা-বাংলা বাল বাল –
আমরা গিলি বাংলার মাল।
ছোট নদী পুকুর খাল –
আমন ধান আউস চাল
নৌকো চলে সাদা পাল –
নীল জল ধরবি হাল
মুগুর মুশকো খাড়া বাল –
পদ্মফুলের চোদনা চাল
তোর তরোয়াল আমার ঢাল –
মা-মাটি ভাত ডাল
বাংলা-বাংলা বাল বাল।।

যাদবপুর ক্যাম্পাসে বাংলা-বি খাদ্যোৎসবের আয়োজন করে। বাংলা খাও পেট পুরে নামে বাংলা মদের বন্যা বয়ে যায়। মিলনদার দোকানে চায়ের সাথে বাংলা মদ সম-পরিমাণ ফ্রি দেওয়া হয়। সকলে বাংলা মদ গিলে ক্যাম্পাসে ক্যালাকেলি করতে থাকে। অনেকে বলাৎকার করবার চেষ্টা করতে থাকে ও করে। পুলিশ আসার আগে খেঁদি নিজে এসে সকলকে যারা ভালো রেজাল্ট না করবে তাদের বিপিএল কার্ড আর সাইকেল কিনে দেবার প্রমিস করায় আবার বালের বাংলা দুভাগে ভাগ হয়ে খারাপ কোয়ালিটির চা-কফির বিক্রি বাড়িয়ে তোলে।

চা গিলে চোদনা-মদনা সকলে খেঁদির সাইকেল-বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি নিয়ে নীতিগত হ্যাণ্ডেল মারতে শুরু করে। অনেক হ্যাণ্ডেল মেরেও সিক্ত হয় না সময় ও মিডিয়া।

নতুন গিমিকের খোঁজে স্টুডেন্টরা রোজ যেতে থাকে কলেজে। তখনি নানান বিপ্লবের খবর পাওয়া যায়। বাতাসে বিপ্লব ভাসে বালের শহরের ধুলোয়। কখনো সন্ধ্যায় কখনো রাতের ভারী বাতাসের হুতাশে। ভ্রমে ঢাকে ক্লান্ত হুতাশন। যোগাসনে বসে রাত তিনটের সময় টাইম স্পেসের ভালো করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন ধ্যানযোগে অ্যারিবিন আর ফ্রি-ডাইমেনশন প্রোজেক্টে অ্যাসিড-যোগে অ্যাসিডিশ। ম্যাডিউ-অঁরিয়েত কোনো কাজে দেশের বাইরে যান। নোরেন জাপানে বলে শোনা যায়। বর্ণেশ্বর ও সুবার্স্ট প্রায়শ একত্রে সেবন করেন মোক্সা-মারিজয়ানা। সিরিমা জগদীশের প্রোজেক্টের সাকসেসের জন্য ব্লেসিং পাঠিয়ে দেন আপন খেয়ালে। অরোভিলে একটা ট্রাই এল-এস-ডি প্রোজেক্ট লঞ্চ করার তাঁর অনেকদিনের শখ। অ্যাসিডিশ আশ্বাস দেন অরোভিল ইজ নাম্বার টু আফটার প্রেসিডেন্সী ফ্রি-ডাইমেনশন সেন্টার।

খেঁদির বলাৎকারী বাহিনী ফ্রি-ডাইমেনশনে রেপ-বলাৎকার রশিদা-ত্রিফলা কেসের ফ্রিডমের আশায় নীল-সাদা কাপড়ে আশা-কলোনীর মোড়ে ডাঁসা-পেয়ারা গাছতলায় পশ্চাতে পার্টির পতাকা, ও বলাৎকার কণ্ডোম গুঁজে নীল-সাদা ঘাসে গড়াগড়ি খায় রোজ সকাল-দুপুর বিকেলে। অনতিদূরে পদ্ম-পুকুরের ধারে মন্দির তৈরি হয় সেখানে খুচরো ও পাইকারী বলাৎকার-বলি করা হবে বলে। হনু-পার্টি কণ্ডোমে নয় কিন্তু দলিত-নোম্যাড-শিশু ও রাম-সীতায় গভীর বিশ্বাস রাখে বলাৎকারের ব্যাপারে।

দুর্গাপূজোয় তারা হনুমানের লোমের বিরাশি হাত প্রতিমা বানানোর প্রচণ্ড বাল-বাঁড়া-টাইপের প্রচার শুরু করে। ওদিকে বলাৎকারী কণ্ডোমের বানানো একশো বিরাশি হাত দুর্গা প্রতিমার টিভি অ্যাড চলে আসে। বাল-বাংলার সকল গায়ক-গায়িকা-মায়ক-নায়িকা-খলনায়ক ও বলাৎকারী নায়কদের সারাদিন দেখা যায় টিভি অ্যাডে আর শোনা যায় এফ এমে। গজেনের খেঁচা-ছেঁড়া আর্টের বাজার আবার বেশ ডাউন হয়ে আসে। এর মধ্যে আবারও গজেনকে পাওয়া যায় না খুঁজে….কোথাও…।।

1 Comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *