এলগিন রোড ও গজেন
এলগিন রোডের রাস্তা পেরিয়ে গাঁজা পার্কের বাংলার দোকানে ঢুকে পড়েন ডিজোরিও। সাথে বাংলা-বি ও বাংলাপক্ষের পনেরো জনের আসার কথা ছিলো। বাংলার দোকানের সাইনবোর্ড বাংলায় করার দাবিতে। খেঁদি তাকে গুণ্ডাবাহিনী ও পুলিশ সাপোর্ট দেবেন কথা হয়ে গেছে। বাংলা মদের দোকান থেকে হেঁটে সুবার্স্টের বাড়ি যাবে সবাই বাংলা গান-কবিতার কারনিভ্যাল করতে করতে।
ট্র্যাফিক থামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দেন ডিজোরিও। ফেসবুক লাইভে ফোন-ক্যামেরার লেন্সে পরিষ্কার ধরে রাখতে চান সে দৃশ্য। ফেসবুকে অনেক উৎসাহী সন্ধ্যার বাংলা গিলতে গিলতে উৎকন্ঠায় ডিজোরিওর ড্যাম-কেয়ার বাংলা-বি অনুষ্ঠান দেখতে থাকেন। ডিজোরিও গজেনকে ডেকেছেন এই প্রোগ্রামে। গজেনকে একা ছাড়েন নি নিবু। তিনিও এসেছেন। মেন রোডে বাস-রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে সামলাচ্ছেন। গজেন তরুণের স্বপের এককপি কলেজ-স্ট্রীট থেকে যোগাড় করে তার উপর প্রকাশ্যে বীর্যপাত করার স্বপ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ডিজোরিও সবাইকে একটা বাংলা বোতল থেকে এক ঢোঁক গেলার অনুরোধ করলে সবাই একটু গলা ভিজিয়ে নিতে থাকে। সকলে রাস্তা ব্লক করে ফরোয়ার্ড মার্চ করতে করতে গাইতে থাকে:
এই বাংলা আমার বাংলা এই বাংলা তোমার
আমি তুমি সকলে মিলে গড়িব যৌথ খামার –
বাংলা বামুন সিঁধ কাটবে লোহা কাটিবে কামার
সকল বোতাম ছিঁড়ব আজি আমরা সকল জামার।
বাংলা গিলে বাংলা জুড়ে চলবে জুড়িগাড়ি –
সকল ঘরে চড়বে জেনো বাংলা-তাড়ির হাঁড়ি
আমরা সবাই সবাই মিলে বাংলা গড়তে পারি।
রাম-হনুমান গাঁড় মেরেছে সীতার বনবাসে –
ওই দেখা যায় সূর্পণখা বাতাসে সেক্সি হাসে –
ফুল ফুটেছে এই বাংলায় বালের কচি ঘাসে
কাঁপছে বাঁড়া বাংলা আসি মোদের বালের ত্রাসে।
ঘরে ঘরে ঢুকবে ছেলে রেপ হবে সব মাগী
তোমরা যদি হিন্দি বল আমরা পোঁদে লাগি…
মোদের আছে চোদনা-মদনা এবং আছেন খেঁদি
পোঁদ মেরেছে বোকাচোদা অবাঙালি মুদি…।
এই সকল গান শুনে কে যেন অন্যরকম এক ইমো-মোটিভেটেড ফিল করে গজেন। হঠাৎ রাস্তায় শুয়ে পড়ে প্যান্ট খুলে ফেলে এক ঝটকায়। জানি বন্ধু জানি তোমার আছে তো হাতখানি। বলে খিঁচতে শুরু করে দুশো চৌতিরিশ নম্বর বাসের সামনে। বাসের সামনের গেট থেকে এক বৃদ্ধ সাধু-দর্শন সৌম্য ভদ্রলোক নামেন। নিবু তাঁর পানে অপলক তাকিয়ে থাকে। একটু কাছে গিয়ে হাউ আর ইউ স্যর। প্লিজ ব্লেস গজেন ফর আ রেবেলাস সাকসেস বলে প্রণাম করেন। বৃদ্ধ নিবুকে মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করেন। কানে কানে বলেন…ডোন্ট রিভিল মাই আইডেন্টিটি প্লিজ। লাল-প্যাকেট আছে….? আমার তো আউট অব স্টক। নিবু চট করে ব্যাগ হাতড়ে মোক্সা-মারিজুয়ানা-হলোগ্রাম প্যাকেট বের করেন। গজেনের তরুণের স্বপ্ন হাতে ধরা ছিলো নিবুর। বৃদ্ধ চট করে চেয়ে নিয়ে একটা স্মাইলি এঁকে এলগিন রোডের গলিতে হারিয়ে যান প্রচণ্ড দ্রুত পায়ে।
গজেন রাস্তায় পড়ে হঠাৎ কদম কদম বাড়ায়ে যা গেয়ে ওঠে চেঁচিয়ে নিজের অজান্তে। খুশি কে গীত গায়ে যা রিপিট করতে থাকে খেঁচাছেঁড়া ভুলে। এ জীন্দেগি হ্যায় কাম কি তু কাম পে লুটায়ে যা বলে গজেন আবার লুটিয়ে পড়ে অবশ অনুভব করে। সমস্ত গা-হাত-পা ভারী হয়ে আসে গজেনের। নিবুর কাছে একটা পাকানো জয়েন্ট ছিলো আধখাওয়া। তাড়াতাড়ি নিবু এগিয়ে গিয়ে গজেনকে রাস্তা থেকে তোলেন। গজেনের মুখ উজ্জ্বল ও ফ্যাকাশে। প্যান্ট পরে জিপ লাগিয়ে নেয়।
নিবু তরুণের স্বপ্নের কপির সদ্য আঁকা স্মাইলির পাতা মেলে ধরেন ল্যাম্প-পোস্টের আবছা আলোয় দেখতে পায় গজেন……। দেশের পতাকা হাতে সহ সেনাবাহিনী দৌড়চ্ছে। হাতে রাইফেল আর চোখে স্বপ্ন। রবীনের বাঁধ ভেঙে দাও আর আমরা নুতন যৌবনের দূত… এই আকাশে আমার মুক্তির সাথে মিশে মাল্টি-ট্র্যাকে তার কানে ভোঁভোঁ বাজতে থাকে। গজেনের হাত শুকনো, চোখের কোল ভেজা। গজেন সেন্স হারিয়ে ঢলে পড়ে ফুটপাতে। নিবু ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করেন।
একটু দূর থেকে দেখতে পান ডিজোরিও। গজেনের সামনে একটা বাংলা বোতল দিয়ে ছবি তোলেন চারটে চার অ্যাঙ্গেল থেকে। নিবু আড়াল করে ছবিগুলি ম্যাচাকার করে দেন। ডিরোজিও একটু এদিক ওদিক দেখে দৌড়ে যান এলগিন রোডের গলিতে। গজেনের সেন্স ফিরতে থাকে নিবুর ব্যাগের তরুণের স্বপ্নের হাওয়ায়। গজেন বিড় বিড় করে। ওষুধ খেতে সে আজো ভুলে গেছিল। হঠাৎ মনে পড়ে তার। বিড়বিড় করে চলে গজেন। কি বলছ গজেন? আর ইউ অলরাইট? গজেন গজেন…ঝুঁকে পড়ে উৎকন্ঠায় ডেকে যান নিবু। তার কানে তখনো বাজে কদম কদম বাড়ায়ে যা…..উঠে দাঁড়ায় গজেন অতিকষ্টে। ক্যান ইউ ওয়াক নাউ বলায় গজেন হঠাৎ ওয়াক শব্দে বমি করে আবার জ্ঞান হারায়। দুমিনিট পরে জ্ঞান ফেরে গজেনের। রাস্তার একপাশে বাস-স্ট্যাণ্ডের আলোয়, বুকের উপর তরুণের স্বপের স্মাইলি-পাতা খোলা। গজেন বিড় বিড় করে চলে…..আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে…..কে-রে….কে-রে…কে…..!
নিবু গজেনের সামনে মোক্সা মারিজুয়ানার একটা নতুন প্যাকেট খুলে মিনি-জয়েন্ট বানান। নিজে একটান দিয়ে এগিয়ে দেন গজেনকে। গজেন আধশোয়া অবস্থায় একটা পাফ নিয়ে ঘোলাটে চোখে আকাশের দিকে তাকায়। চোখে অদ্ভূত এক স্বপন-আলো খেলে যায় গজেনের। আবার দেখতে পায় পল্টনের দৌড়। দেশের পতাকার জায়গায় দ্যাখে মোক্সা-মারিজুয়ানার হলোগ্রাম আঁাকা ছোট্ট- গোলাকার স্মাইলি। সকলের হাতে। সকলে দৌড়চ্ছে। সকলের সামনে তাদের মোক্সা-গঞ্জিকা স্বপ। গজেন চোখ বুজে মনোযোগে স্বপ্নে ধ্যান দেয়। মিলে সুর মেরা তুমহারার মতো সুরে কি যেন গেয়ে ওঠে গজেন। নিবু আলতো ভাবে গজেনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকেন। গজেন আবার চোখ মেলে তাকায়। নিবুদি….ফ্রম মাই স্কুল ডেজ আই লাভ…..হোয়াট আই লাভ আই নেভার গট টু রিয়েলাইজ…..নিবুদি…..ইটজ দ্য ওয়ে নোবডি রিয়েলাইজড হোয়াট ইউ লাভ ইন দিস ওয়ার্ল্ড। নিবু হঠাৎ হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠেন…..। উল্টো দিকের ফুটে ভবানী পাঠক আর বিড়েমাথাকে ওলা ক্যাব থেকে নামতে দেখা যায়।
নিবু ব্যাগে বই ও জলের বোতল ভরে চট করে একটা রানিং কালো-হলুদ ট্যাক্সি থামিয়ে উঠে পড়েন গজেনকে নিয়ে। পেছনের কাচের থেকে দেখা যায় ভবানী ক্যামেরা বের করেছেন আর বিড়েমাথা তাকে ভিডিও ছবি-তোলার রিজলিউশন নিয়ে ধমকাচ্ছেন। ট্যাক্সি ইউ টার্ন নিয়ে তাদের পাশ দিয়ে যাবার কালে গজেন জানলা দিয়ে মধ্যমা দেখিয়ে ফাক ইউ বিড়েমাথা……ফাক ইওর ক্ল্যাসিক পোঁদস্ব-ছিন্ন-ছিদ্র হে পোঁদ-চাটা বিদগ্ধ-বিচ্ছিন্ন-বিকট-বিসদৃশ দৃষ্টদ্যম্ন সম্রাট কর্পোরেট-ব্যুরোক্র্যাটিক-র্যাট খানকী-পুত্র বলে ফেলে। নিবু সাদা স্কার্ফ দিয়ে তার মুখ চেপে ধরায় পুরোটা শুনতে পান না বিড়েমাথা। ভবানী রাস্তা থেকে ইষ্টক-খণ্ড হস্তমধ্যে ধারণ করে নিক্ষেপ-ভঙ্গি করিলে বিড়েমাথা তার রাজকীয় রিফ্লেক্সে বরাহ-পুত্র বিষ্ঠা-ভক্ষক বলে অনুচ্চ স্বরে হে পাঠক, নির্বোধ নিরেট মস্তক শালা কুত্তা বলিয়া সম্বোধন করে রাস্তামধ্যে মৃদুহাস্য-ভৎর্সনা তিরস্কারাদি সম্পন্ন করে শকটাদি সন্নিকটে অগ্রসর হন। নিবু-গজেন মিলিয়ে যায় বাল-বাংলার মহানগরীর আলো-মায়া রাস্তায় আরো কয়েক কদম চাকার ঘূর্ণনে……। কদম কদম বাড়ায়ে যা বাঁড়া…..বলে র্যাপ-সুরে গান ধরে গজেন…।।