এম্পান্যোল্
বঙ্কিম ভঙ্গিতে কাঁপা খেয়ালি পথের বেহালায়
দূর সমুদ্রের পথ চিনে
কেন এ ইস্পানি গান গাও এই কঠিন মার্কিনে ;
মধু তাল উত্তাল নৃত্যনীল সুরে মাতা’
রোদ্দুরে বিদ্যুতে গাঁথা
বাজাও স্পন্দিত ধ্বনি ক্যাস্টানেটে ।
হালকা খুশির ভান
অশ্রুতে করে আনচান
মেদ্রিদের অলিন্দের একাকী উৎসুক বুক ফেটে ;
ভিড়ে ছুঁলো সে লাবণী অনির্দেশ মেঘের ভাসান ।
এই গানে অলিভের ছায়া দোলে,
আঙুরের মিষ্টিতে সোনা মদরস ভ’রে তোলে,
আঙুলে মুদ্রার ভাষা, পায়ের নাচের তাল খোলে
এ-গানের যা-ই নাম দাও
এই গান
এই প্ৰেম, এই প্ৰাণ
কভু বাস্ক্, ক্যাটালনিয়ান্
পাহাড়ের নীল-কাটা আভা দৃষ্টি তাও
চেনা চেয়ে বেশি,
শুধু নয় মন্ত্র অন্যদেশী–
এর টুইটাং ঘণ্টা শাদা ধুলো রাস্তা বেয়ে
চঞ্চল চলন্ত কত জীবনীর ছায়া ছেয়ে
দাঁড়ায় মিনার তলে, পান্থশালা রঙিন বাজারে
প্ৰাচীন ইস্পানি খচা ভারি দরজা তারি ধারে ;
আজ আনে দু-দিনের রক্তে কোন আঁকাবাঁকা
যুগান্ত পৌঁছনো প্ৰাণ, বিস্মরণী ছাঁকনিতে ছাঁকা ।
হয়তো পেরিয়ে পিরেনিসে
বিদ্রোহীর ধ্যানে মিশে
কাসাল্স্ চেলোয় তাঁর নির্বাসিত বেদনার স্পেন
অগণ্যের ঘরে জাগা
নতুন প্ৰাণনী লাগা
শৈলাভ গ্রামের বুকে এ-গান নিলেন ৷।