আঁধার বৃত্ত – দীপান্বিতা রায়
প্রথম প্রকাশ – পয়লা বৈশাখ ১৪২৯। এপ্রিল ২০২২
ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক পত্রভারতী থেকে প্রকাশিত
প্রচ্ছদ – কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল
.
জয়াদি—লেখিকা জয়া মিত্রকে
যিনি সবসময় আমাকে
অন্যরকম ভাবতে উৎসাহ দেন
.
দীপান্বিতা যখন আমাকে বলল যে ওর নতুন উপন্যাসের বিষয় হচ্ছে চাইল্ড অ্যাবিউজ, তখনই আমার খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। আমি মনে করি, এই বিষয়টা নিয়ে কথা হওয়া দরকার। বিশেষ করে মেয়েদের কথা বলাটা খুব জরুরি। কারণ একটি মেয়ে যদি ভিকটিম হয়, তাহলে তার যন্ত্রণার কথাটা আর একজন নারীই সবথেকে ভালো ভাবে উপলব্ধি করতে পারে। শুধু তাই নয়, একটি শিশুর জীবনে এরকম ঘটনা তার পরিবারের অন্য মেয়েদের ওপরেও কী ধরনের প্রভাব ফেলে সেটাও একজন মহিলার পক্ষেই বোঝা সবথেকে সহজ।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলায় এ বিষয় নিয়ে খুব বেশি লেখালেখি হয়নি। তার কারণ আজও আমাদের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে যথেষ্ট ট্যাবু আছে। কোনও বাচ্চার ওপর যৌন নির্যাতন হলে আমরা সেটা চেপে যাওয়ারই চেষ্টা করি। এর ফলে নির্যাতনকারী ব্যক্তিটি স্বচ্ছন্দে মুখোশের আড়ালে থাকার সুযোগ পেয়ে যায়। ইদানীং অবশ্য সচেতনতা খানিকটা বেড়েছে। ছোট ছেলে-মেয়েদের, গুড টাচ-ব্যাড টাচ সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা হচ্ছে।
এখানে একটা কথা বলা দরকার, এটা এমন একটা সামাজিক ব্যাধি, যার কোনও শ্রেণি বিভাগ নেই। উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত যে কোনও পরিবারেই এটা ঘটতে পারে এবং যে কোনও ক্ষেত্রেই নির্যাতিত শিশুটির মানসিক যন্ত্রণা অর্থাৎ ট্রমা একইরকম হয়। দীপান্বিতা ওর ‘আঁধার বৃত্ত’ উপন্যাসে এই বিষয়টাকেই তুলে ধরতে চেয়েছে।
আমি আশা করি, ‘আঁধার বৃত্ত’ পাঠকদের ভালো লাগবে। বইটির জন্য দীপান্বিতাকে অনেক শুভকামনা জানাই।
অপর্ণা সেন
Leave a Reply