১২. জৈমিনি দর্শন
জৈমিনি দর্শন দ্বাদশাধ্যায়াত্মক, ও মহর্ষি জৈমিনির কৃত এই জন্য ইহার জৈমিনি দর্শন এই নামটি যৌগিক হইতেছে, এবং ইহাতে অনেক বেদের মীমাংস থাকায় ইহাকে মীমাংসাদর্শনও কহে । মীমাংসা দর্শন ধৰ্ম্মদর্শনের দর্পণস্বরূপ দুর্গম বেদমার্গে সুখসঞ্চলনের বাষ্পীয়রথসদৃশ । এবং শ্রুতি ও স্মৃতির বিরোধ ভঞ্জক মধ্যস্থ স্বরূপ । যে ব্যক্তি মীমাংস সন্দর্শন না করিয়া শাস্ত্র-সমুদ্র হইতে ধৰ্ম্মের উত্তোলনে ইচ্ছ। করে, সেই ব্যক্তি, ষেমত অমৃতের আশায় অসুরগণ ক্ষীরসমুদ্র হইতে বিষ উৎপাদন করিয়া জগন্মগুলকে এককালে ক্ষয়শঙ্কা সমুদ্রে নিক্ষেপ করিয়াছিল, সেইরূপ শাস্ত্র সমুদ্র হইতে অধৰ্ম্মবিষ উত্তোলন করিয়া তন্মতাবলম্বী ধাৰ্ম্মিকাভিমানী জনগণকে নরকনাথ হস্তে সমর্পণ করে, ইহাত্তে সন্দেহ নাই । ফলতঃ মীমাংসা দর্শনের শরণাগত ন হইলে বেদ ও মৃত্যাদির তাৎপৰ্য্যাৰ্থ নিশ্চয় বা বিরোধ তঞ্চন করা সুকঠিন ; দেখ বেদে এইমাত্র লিখিত অাছে, যে সেমিযাগে পদধূলি ৰূপ কাষ্ঠে ষ্টিত ও ঐ পদধূলির নিমিত্ত পদ গ্রহণ করিতেও হয়, কিন্তু কাহার পদধূলি গ্রহণ করিতে হয় তাহার কিছু মাত্র নির্দেশ নাই, সুতরাং সে স্থলে যে, কাহার পাদ গ্রহণ করিতে হইবে, তাহ নিশ্চয় করা মীমাংসাদর্শন ব্যতিরেকে কিরূপে সঞ্জবে অতএব মীমাংসাদর্শনাবলম্বন করিয়া ঐ স্থলে এই মীমাংসা করিতে হইবে, যে, যখন ঐ সোম যাগে সোমের ক্রয়ার্থে গোর আনয়ন করিতে হয়, এই রূপ স্থানান্তরে লিখিত আছে, তখন ঐ যাগে গোই উপক্রাস্ত হইয়াছে বলিয়া গোরই পাদগ্রহণ করিতে হইবে এবং তাহাতেই বেদের তাৎপর্য্য সন্দেহ নাই । যেরূপ ঐ স্থলে বেদের তাৎপৰ্যার্থ নিশ্চয় করা সুকঠিন, সেইরূপ শ্রুতি ও স্মৃত্যাদির পরস্পর বিরোধ ভঞ্জন পূর্বক ঐ উভয়ের মান্যতা সংস্থাপন করাও সামান্য কঠিন নহে । যথা শ্রীতিতে লিখি ভ আছে, ইন্দ্রযাগে ঔডুম্বরীকে (১) স্পর্শ করিতে হয়, আর কাত্যযুন স্মৃতিতে লিখিত আছে ঐ যাগে ঔডুম্বরীকে সৰ্ব্বতোভাবে বেষ্টিত অর্থাৎ আৱত করিতে হয় । এই ক্ষণে বিবেচনা করিতে হইবে যদি স্মৃত্যনুসারে ঔডুশ্বরীকে সৰ্ব্বতোভাবে আরত করা যায়, তাহ হইলে শ্রুতির অমান্য করা হয়, আর যদি শ্রুতির অনুরোধে ঔডুম্বরীকে আৱত না কর যায় তবে স্মৃতির অবমাননা করা হয়, সুতরাং বিরুদ্ধ ভাবাপন্ন নৃপদ্বয়ের আশ্রিত ব্যক্তির ন্যায়, উভয়পক্ষ রং করা দুঃসাধ্য হইয়া উঠে । কিন্তু কোন ঐ আশ্রিত ব্যক্তি যদি সন্ধির উপায় অবলম্বন করিয়া সন্ধিবিধান দ্বারা এ বিরোধি নৃপদ্বয়ের মান্য তা সংস্থাপন করিতে পারে, তাহ হইলে উভয় নৃপতিরই প্রেমাস্পদ হইয়া উচ্চপদবীতে অধির হয়, সেই রূপ যে ব্যক্তি মীনাং সাদর্শনানুসারে ঐ স্থানে এম মীমাংস করে, যে শ্রুতি বা স্মৃতি কাহারই অবমাননা ন হয় উভয়েরই মান্যতা সংস্থাপিত হয়, তাহ হইলে, ে ব্যক্তি প্রধান পণ্ডিতপদবীতে পদার্পণ পুৰ্ব্বক জগন্মং লীতে বিখ্যাভ হইয় উঠে সন্দেহ নাই । ঐ মীমাংস এই— যেমন সরস্বতী দেবীর কেশীদি কৃষ্ণবর্ণ হইলেও অধি কfংশ শুক্লবৰ্ণ বলিয়া “সৰ্ব্ব শুক্ল সরস্বতী” অর্থাৎ সরস্বত্ব সৰ্ব্বতোভাবে শুভ্র ইত্যাদি, শাস্ত্রে লিখিত আছে, সেই রূ প্রকৃত স্থলে শ্রদ্যুক্ত স্পৰ্শ-যোগ্য স্থানমাত্র পরিত্যাগ করি ঔডুরীর অন্য সকল অংশ বেষ্টন করলেও মৃত্যুক্ত সৰ্ব্বতে ভাবে বেষ্টনের কোন হানি হয় না, যেহেতু “সৰ্ব্বশুক্ল স্বরস্বর্তী ইত্যাদি স্থলে সৰ্ব্ব শব্দে যেমন কেশাদি ভিন্ন সকলাং বলিতে হয়, সেরূপ এ স্থলেও স্পর্শযোগ্য অংশ ভি ভাবৎ অংশ সৰ্ব্বশদের তাৎপর্য্য বলিতে হইবে । অ’ এব যাহার। শ্রুতি বা স্মৃত্যাদি শাস্ত্রের তাৎপর্যার্থ নিশ করিতে সমুৎসুক হইবেন, উiহাদিগের যে মীমাংসাদ অবশ্য পাঠ্য তাহ, বোধ হয়, সকলেই স্বীকার করি পারেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ঐ দর্শন এতদ্দেশে এক প্রকার লুপ্তপ্রায় হইয়। উঠিয়াছে, ঐ দর্শনের অধ্যয়ন ও অধ্যাপনাদির কথা দূরে থাকুক, পুস্তক পাওয়াও মুকঠিন হইয়। উঠিয়াছে। যাহা হউক পুনরায় যেরূপে ঐ দর্শনের আলোচনা হয় তাহ অবশ্য কৰ্ত্তব্য, নতুবা উত্তরকালে আর শাস্ত্র সকলের তাৎপর্যfর্থ নিশ্চয় হইবে না। এই দশনে অনেক অধিকরণ নির্দিষ্ট হইয়াছে। এক একটী বিষয়ের এক একটা সিদ্ধান্তকে অধিকরণ কহে । যথা পূৰ্ব্বেক্ত ঔড়ম্বরীস্পর্শস্থলীয় মীমাংসকে বিরোধাধিকরণ কহে । এক স্থলের অধিকরণ অনুসারে তৎসম অনেক স্থানের সিদ্ধান্ত করা যায় । অধিকরণকে ন্যায়ও কহে, যেমন পূৰ্ব্বোক্ত পাদগ্রহণস্থলীয় সিদ্ধান্তকে পদিন্যায় কহে । অধিকরণ পঞ্চাঙ্গ অর্থাৎ অধিকরণের পাঁচটী অঙ্গ আছে। যথা বিষয়, বিশয়, পূৰ্ব্বপক্ষ, উত্তর আর সঙ্গতি । যাহার উপলক্ষে বিচার হয় তাহাকে বিষয় কহে । এবং তদ্বিষয়ে সংশয়কে বিশয়, অসৎপক্ষাবলম্বনকে পূৰ্ব্বপক্ষ, বাদিমত নিরাসকে উত্তর, ও তাৎপর্যার্থ নিশ্চয়কে সঙ্গতি কহে (২) । যথা (৩) পুৰ্ব্বোক্ত ঔডুম্বরী স্পর্শাদি বিধিকে বিষয় কহে, ও তদ্বিষয়ে যে, ঔডুস্বরী স্পর্শ করা কৰ্ত্তব্য, কি বেষ্টন করা কৰ্ত্তব্য ইত্যাদি ংশয় তাহাকে বিশয়, শ্রুতি ও স্মৃতির পরস্পর বিরোধাপাদনকে পুৰ্ব্বপক্ষ, আপাততঃ ঐ পূৰ্ব্বপক্ষ নিরাসকে উত্তর আর পৃষ্ণ প্রদর্শিত মীমাংসাকে সঙ্গতি কহে । দেবগণ শরীরী বা সচেতন ੇ, যে দেবের যে মন্ত্র বেদে নির্দিষ্ট হইয়াছে সেই দেব সেই মন্ত্র স্বরূপ, মন্ত্রাতিরিক্ত দেবতার সম্বে কোন প্রমাণ নাই, বরং তদ্বিরোধী প্রমাণই বহুতর অাছে । দেখ যদি মন্ত্র ভিন্ন এক জন শরীরী দেবতা থাকেন, সেই দেবতারই পুজা করা যায় এবং তিনিই আবহনাদি দ্বারা করুণা পূৰ্ব্বক ঘট ও প্রতিমাদিতে অধিষ্ঠিত হইয়া পুজাদি গ্রহণ করেন, তাহা হইলে যে ঘটে কি মৃন্ময় প্রতিমাদিতে, ইন্দ্রদেব আবাহিত হয়েন, সে ঘট কিংবা মৃন্ময় প্রতিমাদি ঐরাবত্তের সহিত ইন্দ্রদেবের ভার বহনে অশক্ত হইয়া চুর্ণায়মান হইয়। যাইত সন্দেহ নাই, আর কি প্রকারেই বা অলপ পরিমিত ঘটে তাদৃশ বৃহদাকার ঐরাবতের সহিত ইন্দ্রদেবের সমবেশ সম্ভবে, কিন্তু দেবতাকে মন্ত্রাত্মক বলিলে এ প্রকার দোষ ঘটে না । (৪) বেদ অপৌরুষেয় অর্থাৎ বেদ কোন ব্যক্তি কর্তৃক কৃত নহে এবং নিত্য । বেদ যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক কৃতই হইত, তাহা হইলে কখনই বেদোক্ত যাবদ্বিষয়ের সভ্যতা থাকিস্ত না, কোন অংশ অবশ্যই মিথ্যা হইত সন্দেহ নাই, কারণ এমন কেন ব্যক্তি অদ্যাপি দৃষ্ট হয় না, যাহার কোন বিষয়ে কোন অংশে ভ্রান্তি ন৷ জন্মে, প্রধান প্রধান পণ্ডিতগণেরও অতি স্থূল বিষয়ে ভ্ৰান্তি জন্মে, অতএব সকল ব্যক্তিই ভ্রান্ত, ভ্রান্ত ব্যক্তির কোন কথা কাকতালীয়-ন্যায়ে কোন অংশে সত্য হইলেও কখনই সৰ্ব্বাংশে সত্য হয় না, এবং ভ্রান্ত ব্যক্তির কথাতেই বা কোন ব্যক্তি বিশ্বাস ও সমাদর করে ? কিন্তু যখন বিশিষ্ট জনগণ বেদোক্ত বিষয়ের সর্বাংশে সভ্যতা ও শারীরিক ক্লেশ স্বীকার করিয়া সমধিক বিশ্বাস পুরঃসর তদ্বিষয়ের অনুষ্ঠান করিতেছেন, তখন বেদ যে নিত্য ও নির্দোষ তাহt আর বলিবার অপেক্ষ কি ৷
এ স্থলে নৈয়ায়িক প্রভৃতি পণ্ডিতগণ কহেন, বেদোক্ত বিষয়ের সত্যতা আছে বলিয়া যে বেদের নিত্যত্ব স্বীকার করিতে হইবে এমন কি নিয়ম আছে, ঘট কুম্ভকারকর্তৃক ক্ৰত এই বাক্যার্থের যাথার্থ্য আছে বলিয়। যেমন ঐ বাক্যের অভ্রান্ত পুরুষোক্ততা আছে, সেইরূপ বেদ অভ্রান্ত পুরুষ-প্রণীত এই মাত্র, নতুবা বেদ যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক নিৰ্ম্মিত নহে এমন নয় । যদি অর্থের সত্যত থাকিলেই বাক্য নিত্য হয় তাহা হইলে পূৰ্ব্বোক্ত ঘট কুম্ভকার কর্তৃক কৃত, এই আধুনিক বাক্যও নিত্য হইয় উঠে। যদিও এমন অভ্রান্ত পুরুষ সচরাচর দৃষ্ট হইতেছে না বটে, কিন্তু যে তাদৃশ অভ্রান্ত পুরুষ নাই এ কথাও বলা যাইতে পারে না, যে হেতু সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বশক্তিমান সৰ্ব্বকল্যাণকর করুণাসিন্ধু পরাৎপর পরমেশ্বর বিরাজমান রহিয়াছেন, তিনিই সৰ্ব্ব সাধারণের প্রতি করুণা প্রকাশ করিয়া বেদ রচনা করিয়াছেন । র্তাহার বেদ রচনার। তাৎপৰ্য্য এই, সৰ্ব্ব সাধারণ জনগণ স্ব স্ব বুদ্ধিবৃত্তি বিত্তাদির অমুবর্তী হইয়া বেদোক্ত এক একটী মার্গ অবলম্বন করিয়৷ নিজ নিজ অভিলষণীয় পদবীতে অধিরূঢ় হউক এবং অসন্মার্গে পদার্পণ করিয়া ঘোরতর ক্লেশকর নরকপুরীর অভিমুখে আর কেহ যাত্রা না করুক, সকলেই ঐ মার্গ অবলম্বনে দোষ দর্শন করিয়া ঐ মার্গ এককালে পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক সন্মার্গের শরণাগত হউক ।
নৈয়ায়িক মহাশয়েরা এইরূপ অনেক সুক্ষ্মানুসন্ধান করিয়া বেদের ঈশ্বরনিৰ্ম্মিতত্ব প্রতিপাদন করেন, কিন্তু এ দিকে পরমেশ্বরের শরীরাদি কিছুই স্বীকার করেন না, ইহা কি আশ্চর্য্যের বিষয়, যদি পরমেশ্বরের শরীরাদিই নাই তবে তিনি বেদ রচনা করিলেম কি রূপে ? যে কোন বিষয় রচনা করিতে হইলে অস্তুতঃ বর্ণ প্রয়োগাদিরও অপেক্ষা করে, বর্ণপ্রয়োগাদি যে, শরীরেকদেশ কণ্ঠ ও তালু প্রভৃতির ংযোগ ব্যতিরেকে কোন ক্রমেই সস্তুবে না, ইহা ঐ নৈয়|য়িক মহাশয়েরাই সিদ্ধ করিয়াছেন, বোধ হয়, নৈয়ায়িক মহাশয়ের জিগীষাপরবশ হইয়া স্বমতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়াও বাদিজয়ার্থে আপাততঃ বেদের ঈশ্বর নিৰ্ম্মিস্তত্ব প্রতিপাদন করিয়াছেন, নতুবা তাদৃশ সুক্ষৰুদ্ধিসম্পন্ন মহাশয়দিগের ভ্রম হইয়াছে বলিলে সকলেই খড়ম্নহস্ত হইবেন । যাহা হউক নৈয়ায়িক মহাশয়দিগকে শত শত ধন্যবাদ প্রদান করি, যেহেতু বিচারমন্ত্র উক্ত মহাশয়ের স্বমত সংস্থাপনে ও পরমত খণ্ডনে এরূপ ব্যগ্র ও সাহসী যে স্বহস্তনিৰ্ম্মিত অস্ত্র দ্বারা নিঞ্জ শিরচ্ছেদন করিলেও কবন্ধের ন্যয় বাগযুদ্ধ হইতে নিৱৰ্ত্ত হয়েন না, বরং পুৰ্ব্বাপেক্ষ সমধিক বাগ জাল বিস্তার করেন । ফলতঃ প্রকৃত স্থলে এক মাত্র বুদ্ধিবৃত্তির সহায়তা অবলম্বন করিয়া যে কত প্রকার কপেন করেন তাহ৷ স্বয়ং রাগদেবী সরস্বতী লেখনী ধারণ করিলে পরিগণনা করিতে পারেন কি না সন্দেহ ।
——————
(১) ঔডূম্বরী শব্দের অনেকে অনেক অর্থ করিয়া থাকেন। কেহ বলেন ঔডুম্বরী শব্দে তাম্রপ্রতিমা; অধিকরণ-কৌমুদীকার কহেন, পশুবন্ধনের নিমিত্ত উডুশ্বর বৃক্ষ নিৰ্ম্মিত স্তম্ভ ; এবং অধিকরণমালা ও দর্শনসংগ্রহকার মাধবাচার্য্যের মতে উডুম্বরবৃক্ষের শাখা ।
(২) ছলাদি দ্বারাও বাদিমত নিরাস করা যাইতে পারে, অতএব নাদিমত নিরাস রূপ উত্তয়ের দ্বার বেদার্থের তা পর্য্যার্থ নিশ্চয় হয় না বলিয়া সঙ্গতির অপেক্ষ করে, এই সঙ্গতিকেই নির্ণয় কহে ।
(৩) ষদিও সৰ্ব্বদর্শন-সংগ্রহে “ স্বাধ্যায়েছিধ্যেতব্যঃ ” এই বিধি, এ স্বলের উদাহরুণৰূপে উদ্ধত হইয়াছে, তথাপি ঐ বিষয়টা নিতান্তু সংস্কৃত ভাষানুযায়ী, এই নিমিত্ত উহ। পরিত্যাগ করিয়া স্থলাত্তর প্রদর্শিত হইল ।
(৪) বেদ যে অপৌরুষেয়, এ বিষয়ে অনেক অনুমান প্রণালী সৰ্ব্বদর্শন সংগ্রহে প্রদর্শিত হইয়াছে ৰটে, কিন্তু তাই এ গ্রন্থে উদ্ধত করা অনাবশ্যক, কারণ ঐ সকল অনুমানপ্রণালী সংস্কৃত ভাষাতেই রমণীয়, বঙ্গভাষাতে তাহার কিছু মাত্র চমৎকারিতা নাই বরং প্রকৃত বিষয়ের রসভঙ্গ হইবারই সম্পূর্ণ সম্ভাৰন। অতএব তাহা উদ্ধৃত হইল না।
(প্রুফরীড আবশ্যক)