বিধুরা পথিকপ্রিয়া

বিধুরা পথিকপ্রিয়া

আজ   নলিন-নয়ান মলিন কেন বলো সখী বলো বলো।  
      পড়ল মনে কোন্ পথিকের বিদায় চাওয়া ছলছল?  
                          বলো সখী বলো বলো
    
      মেঘের পানে চেয়ে চেয়ে বুক ভিজালে চোখের জলে,  
      ওই সুদূরের পথ বেয়ে কি দূরের পথিক গেছে চলে – 
                          আবার ফিরে আসবে বলে গো? 
      স্বর শুনে কার চমকে ওঠ? আ-হা! 
      ও লো ও যে বিহগ-বেহাগ নির্ঝরিণীর কল-কল।
    
      ও নয় লো তার পায়ের ভাষা, আ-হা, 
      শীতের শেষের ঝরা-পাতার বিদায় ধ্বনি ও,  
      কোন কালোরে কোন ভালোরে বাসলে ভালো, আ-হা!  
      খুঁজছ মেঘে পরদেশি কোন পলাতকার নয়ন-অমিয়?
চুমছ   কারে? ও নয় তোমার চির-চেনার চপল হাসির আলো-ছায়া,
ও যে   গুবাক-তরুর চিকন পাতায় বাদল-চাঁদের মেঘলা মায়া।
  
            ওঠো পথিক-পূজারিনি উদাসিনী বালা!
সে যে  সবুজ-দেশের অবুঝ পাখি কখন এসে যাচবে বাঁধন,  
            কে জানে ভাই, ঘরকে চলো।  
      ও কী? চোখে নামল আবার বাদল-ছায়া ঢলঢল?  
                         চলো সখি ঘরকে চলো।

দৌলতপুর, কুমিল্লা
জ্যৈষ্ঠ ১৩২৮

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *