গঙ্গা (১৯৫৭) – উপন্যাস – সমরেশ বসু

আগাম দলের তিনটি নৌকা ভাটার টানে তরতর করে নেমে এল, পুবের কেষ্টপুরের খাল-গেট পেরিয়ে, নোনা বিলের পাশ কাটিয়ে। তিনটি বাছাড়ি… Read more ০১. আগাম দলের তিনটি নৌকা

সে বছর দুই ভাইয়েরই মন বড় আনমনা। পাঁচুর আর নিবারণের দুজনের বউয়েরই ভরা গর্ভ। দুই বউ, রাঁধছে বাড়ছে সবই করছে।… Read more ০২. মন বড় আনমনা

দ্যাকো, দ্যাকো মাকড়ার কাণ্ড দ্যাকো তোমরা–পাঁচু ধমকে উঠল বিলাসকে। বলল, আরে গুয়োটা, তিবড়ি নিবে তোর ভূস হল, ওদিকে কী দেখছিস… Read more ০৩. মাকড়ার কাণ্ড

এ আষাঢ়ে রাত নেমেছে এখন পুবের ধলতিতা বীরপুরেও। এখানে জাগে মাছমারা এই গঙ্গার বুকে। ঘরে জাগে বউ-ছেলে মেয়ে-মায়েরা। ঘুম কি… Read more ০৪. এ আষাঢ়ে রাত নেমেছে

ডাইনে বড় ঘিঞ্জি কলকারখানা। এর নাম টিটাগড়। গাছ-গাছালির আড়ালে দেখা যায় কলকারখানার বাতি, বড় বড় বাড়ি। চিমনির মাথায় লাল বাতি।… Read more ০৫. ঘিঞ্জি কলকারখানা

জোয়ার গেল। সমুদ্রের জল নিয়ে এসেছিল, আবার গেল। ঘোলা জলকে ডাক দিয়ে, আবার নেমে গেল ভাটায়। বিলাস বলল, সাংলো ফেলবে… Read more ০৬. জোয়ার গেল

মরা কোটাল পড়ে গেল। নবমী গেল, দশমী গেল। মরা কোটালের সময় এখন। সামনে অমাবস্যা। জোয়ান কোটাল আসছে আবার সামনে। —অমাবস্যা… Read more ০৭. মরা কোটাল

এল শ্রাবণের পূর্ণিমার কোটাল। জোয়ান কোটাল। জগন্নাথ ঠাকুর এসেছিলেন, চলে গেছেন। শ্রাবণের ধারায় ধুয়ে গেছে তাঁর রথের চাকার দাগ। এবার… Read more ০৮. শ্রাবণের পূর্ণিমা

শ্রাবণ্যে টোটা খলখল করে বেড়াচ্ছে গঙ্গায়। অনেক মাছমারা পালিয়েছে। আরও পালাচ্ছে প্ৰায় রোজই। যাদের উপায় নেই রয়েছে তারা। পালমশাই ধরে… Read more ০৯. শ্রাবণ্যে টোটা

পূৰ্ণিমা গেল। প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থ। তখনও টান ভাটায় খুব জোর। সমুদ্র উজাড় করে মাছ আসছে। ডায়মণ্ড হারবার আর কোলাঘাটের… Read more ১০. পূৰ্ণিমা গেল

সাজার গেল, সাজারের উৎসব গেল। রসিকের সঙ্গে একদিন ভাব হয়েও গেল। বড় দুঃখী মানুষ সে, ঘরের বউ তার ব্ৰজেন ঠাকুরমশাইয়ের… Read more ১১. সাজারের উৎসব