০১. গণেশ বন্দনা
গণেশায় নমো নমঃ : আদি ব্রহ্ম নিরুপম : পরমপুরুষ পরাৎপর। খর্ব্বস্থূল কলেবর : গজমুখ লম্বোদর : মহাযোগী পরম সুন্দর।। বিঘনাশ করো বিঘ্নরাজ। পূজা হোম… Read more ০১. গণেশ বন্দনা
অন্নদামঙ্গল রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র রচিত একটি মঙ্গলকাব্য। কাব্যটি দেবী অন্নপূর্ণার মাহাত্ম্যব্যঞ্জক। ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতচন্দ্র এই কাব্য রচনা করেছিলেন। ভারতচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষক নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাংলায় প্রতিমায় দেবী অন্নপূর্ণার পূজা প্রচলন করেন। তিনিই ভারতচন্দ্রকে রায়গুণাকর উপাধি প্রদান করে দেবীর মাহাত্ম্যব্যঞ্জক একটি কাব্য রচনার অনুরোধ করেন। সমগ্র কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত: (ক) অন্নদামঙ্গল বা অন্নদামাহাত্ম্য, (খ) বিদ্যাসুন্দর বা কালিকামঙ্গল ও (গ) মানসিংহ বা অন্নপূর্ণামঙ্গল। মঙ্গলকাব্য ধারায় অন্নদামঙ্গল কাব্যকে একটি পৃথক শাখা রূপে গণ্য করা হয় না; কারণ ভারতচন্দ্র ভিন্ন অপর কোনো কবি এই বিষয়বস্তু অবলম্বন করে কাব্যরচনা করেননি।
সমগ্র অন্নদামঙ্গল কাব্যের কোনো প্রাচীন নির্ভরযোগ্য পুথি পাওয়া যায় না। প্রাপ্ত পুথিগুলির লিপিকাল ১৭৭৬-১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়। ১৮১৬ খ্রিষ্টাব্দে এই কাব্যটি প্রথম মুদ্রিত হয়। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৪৭ ও ১৮৫৩ সালে এই গ্রন্থের দুটি সংস্করণ প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে বিদ্যাসাগর কৃত সংস্করণটি আদর্শ ধরে অন্নদামঙ্গল কাব্যের অন্যান্য সংস্করণগুলি প্রকাশিত হয়। লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম, প্যারিসের বিবলিওথেক নাসিওনেল দে ফ্রান্স, এশিয়াটিক সোসাইটি ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে এই কাব্যের কয়েকটি প্রাচীন পুথি সংরক্ষিত আছে।
ভারতচন্দ্র স্বয়ং অন্নদামঙ্গল কাব্যকে “নূতন মঙ্গল” অভিধায় অভিহিত করেছেন। কবি এই কাব্যে প্রথাসিদ্ধ মঙ্গলকাব্য ধারার পূর্ব ঐতিহ্য ও আঙ্গিককে অনুসরণ করলেও, বিষয়বস্তুর অবতারণায় কিছু নতুনত্বের নিদর্শন রেখেছেন। অন্যান্য মঙ্গলকাব্যের ন্যায় অন্নদামঙ্গল গ্রামীণ পটভূমি বা পরিবেশে রচিত হয়নি; এই কাব্য একান্তই রাজসভার কাব্য। ভারতচন্দ্র এই কাব্যের আখ্যানবস্তু সংগ্রহ করেছিলেন কাশীখণ্ড উপপুরাণ, মার্কণ্ডেয় পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, বিহ্লনের চৌরপঞ্চাশিকা (চৌরীসুরত পঞ্চাশিকা), এবং ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতম্ ইত্যাদি গ্রন্থ ও লোকপ্রচলিত জনশ্রুতি থেকে। অন্নদামঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য হল ছন্দ ও অলংকারের সুদক্ষ প্রয়োগ। সংস্কৃত ভাষায় পারঙ্গম ভারতচন্দ্র প্রাচীন সংস্কৃত কাব্যের বিভিন্ন ছন্দ ও অলংকার সার্থকভাবে এই কাব্যে প্রয়োগ করেন। এই কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কাব্য সম্পর্কে মন্তব্য করেন, “রাজসভাকবি রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল-গান রাজকণ্ঠের মণিমালার মতো, যেমন তাহার উজ্জ্বলতা তেমনি তাহার কারুকার্য।” অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে: “অন্নদামঙ্গলকাব্য অষ্টাদশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য, সমগ্র বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের অন্যতম। … মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র কর্তৃক অন্নপূর্ণা পূজা উপলক্ষ্যে মহারাজের নিজ কীর্তি এবং তাঁহার পূর্বপুরুষ ভবানন্দ মজুমদারের রাজ্য ও রাজা উপাধি লাভের কাহিনী বর্ণনাই ছিল কবির প্রধান উদ্দেশ্য। দেবী অন্নদা (অন্নপূর্ণা) কীভাবে ভবানন্দ মজুমদারকে কৃপা করিলেন, এবং ভবানন্দ কীভাবে জাহাঙ্গীরের দ্বারা অন্নপূর্ণা পূজা করাইয়া রাজত্ব ও রাজা খেতাব লাভ করিলেন – ইহার বর্ণনাই ছিল কবির প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্য। কিন্তু কবি পৌরাণিক অংশ বিশেষ ফলাও করিয়া বর্ণনা করিয়াছেন।” (উইকি)
গণেশায় নমো নমঃ : আদি ব্রহ্ম নিরুপম : পরমপুরুষ পরাৎপর। খর্ব্বস্থূল কলেবর : গজমুখ লম্বোদর : মহাযোগী পরম সুন্দর।। বিঘনাশ করো বিঘ্নরাজ। পূজা হোম… Read more ০১. গণেশ বন্দনা
শঙ্করায় নমো নমঃ : গিরিসূতা প্রিয়তম : বৃষভবাহন যোগধারী। চন্দ্র সূর্য্য হুতাশন : সুশোভিত ত্রিনয়ন : ত্রিগূণ ত্রিশূলী ত্রিপূরারি।। হর হর মোর দুঃখ হর।… Read more ০২. শিব বন্দনা
ভাস্করায় নমঃ : হর মোর তমঃ : দয়া কর দিবাকর। চারি বেদ কয় : ব্রহ্মতেজোময় : তুমি দেব পরাৎপর।। দিনকর চাহ দীনে। তোমার মহিমা :… Read more ০৩. সূর্য্য বন্দনা
কেশবায় নমো নমঃ : পুরাণ পুরুষোত্তম : চতুর্ভূজ গরুড় বাহন। বরণ জলদঘটা : হৃদয়ে কৌস্তুভচ্ছটা : বনমালা নানা আভরণ।। কৃপা কর কমললোচন। জগন্নাথ মুরহর :… Read more ০৪. বিষ্ণু বন্দনা
কৌষিকি কালিকে : চণ্ডিকে অম্বিকে : প্রসীদ নগনন্দিনী। চণ্ডবিনাশিনি : মুণ্ডনিপাতিনি : শুম্ভনিশুম্ভঘাতিনি।। মহিষমর্দ্দিনি : দুর্গবিঘাতিনি : রক্তবীজনিকৃন্তনি। দিনমুখরবি : কোকনদচ্ছবি : অতুল পদ দুখানি।। রতননূপুর : বাজায়ে মধুর :… Read more ০৫. কৌষিকী বন্দনা
উর লক্ষ্মী কর দয়া। বিষ্ণুর ঘরণী : ব্রহ্মার জননী : কমলা কমলালয়া।। সনাল কমল : সনাল উৎপল : দুখানি করে শোভিত। কমল আসন : কমল… Read more ০৬. লক্ষ্মী বন্দনা
উর দেবী সরস্বতী : স্তবে কর অনুমতি : বাগীশ্বরি বাক্যবিনোদিনী। শ্বেতবর্ণ শ্বেতবাস : শ্বেত বীণা শ্বেত হাস : শ্বেতসরসিজনিবাসিনী।। বেদ বিদ্যা তন্ত্র মন্ত্র : বেণু… Read more ০৭. সরস্বতী বন্দনা
অন্নপূর্ণা মহামায়া : দেহ মোরে পদচ্ছায়া : কোটি কোটি করি যে প্রণাম। আসরে আসিয়া উর : নায়কের আশা পূর : শুন আপনার গুণগ্রাম।। কৃপাবলোকন… Read more ০৮. অন্নপূর্ণা বন্দনা
অন্নপূর্ণা অন্নদা অষ্টভূজা। অভয়া অপরাজিতা অচ্যূতঅনুজা।। অনাদতা অনন্তা অম্বা অম্বিকা অভয়া। অপরাধ ক্ষমো অগো অব গো অব্যয়া।। শুন শুন নিবেদন… Read more ০৯. গ্রন্থ সূচনা
নিবেদন অবধান কর সভাজন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভার বিবরণ।। চন্দ্রে সবে ষোল কলা হ্রাসবৃদ্ধি তায়। কৃষ্ণচন্দ্র পরিপূর্ণ চৌষট্টি কলায়।। পদ্মিনী মুদয়ে… Read more ১০. কৃষ্ণচন্দ্রের সভা বর্ণন
অন্নপূর্ণা মহামায়া : সংসার যাহার ছায়া : পরাৎপর পরম প্রকৃতি। অনিবার্য্য নিরুপমা : আপনি আপন সমা : সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় আকৃতি।। অচক্ষু সর্ব্বত্র চান :… Read more ১১. গীতারম্ভ
কালীরূপে কতশত পরাৎপরা গো। অন্নদা ভুবনা বালা : মাতঙ্গী কমলা : দুর্গা উমা কাত্যায়নী বাণী সুরবালা গো।। সুন্দরী ভৈরবী তারা : জগতে সারা :… Read more ১২. সতীর দক্ষালয়ে গমনোদ্যোগ
এ কি মায়া এ কি মায়া কর মহামায়া। সংসারে যে কিছু দেখি তব মায়াচ্ছায়া।। নিগম আগমে তুমি নিরুপমকায়া। ত্রিগুণ-জননী পুনঃ… Read more ১৩. সতীর দক্ষালয়ে গমন
সভাজন শুন : জামাতার গুণ : বয়সে বাপের বড়। কোন গুণ নাই : যেথা সেথা ঠাঁই : সিদ্ধিতে নিপূণ দড়।। মান অপমান : সুস্থান কুস্থান :… Read more ১৪. শিবনিন্দায় সতীর দেহত্যাগ
মহারুদ্ররূপে মহাদেব সাজে। ভভম্ভম ভভম্বম শিঙ্গা ঘোর বাজে।। লটাপট জটাজুট সংঘট্ট গঙ্গা। ছলচ্ছল টলট্টল কলক্কল তরঙ্গা।। ফণাফণ্ ফণাফণ্ ফণিফণ্ণ গাজে।… Read more ১৫. শিবের দক্ষালয়ে যাত্রা