চৌধুরি বাড়ির রহস্য – অভিরূপ সরকার
পাবলিশিং প্লাস
প্রথম প্রকাশ: কলকাতা বইমেলা ২০১৯
প্রচ্ছদ : সৌজন্য
প্রকাশক : দীপ্তাংশু মণ্ডল
.
নীরেনকাকার স্মৃতির উদ্দেশে
.
মুখবন্ধ
ছেলেবেলা থেকেই গোয়েন্দা কাহিনির উৎসাহী পাঠক ছিলাম, বয়েস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই উৎসাহ বেড়েছে বই কমেনি। হাতের কাছে স্বদেশি-বিদেশি যেকোনও গোয়েন্দা গল্প পেলেই গোগ্রাসে পড়েছি। তবে কোনও দিন ভাবিনি, নিজেই আস্ত দুটি গোয়েন্দা উপন্যাস লিখে ফেলতে পারব। বছর কুড়ি আগে একবার আট-ন’মাসের জন্য মার্কিন দেশে অধ্যাপনা করতে গিয়েছিলাম। পরিবার সঙ্গে যেতে পারেনি। একা একা সন্ধেগুলো কাটতেই চাইত না। নিসঙ্গতা এড়াতে ‘ভূতুড়ে টেলিফোন’ লিখতে শুরু করি। শুরু হলেও সে যাত্রা উপন্যাসটা শেষ করা হয়নি, বহু বছর সেটা অসমাপ্ত অবস্থায় পড়েছিল। তারপর বছর দুয়েক আগে যখন সদ্যপ্রয়াত কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী উৎসাহ দিলেন তখন মনে হল লেখাটা শেষ করা দরকার। বস্তুত, তাঁর কাছ থেকে প্রেরণা, উৎসাহ এবং প্রশ্রয় না পেলে লেখাটা শেষই হত না। সেই প্রেরণা সম্বল করে অন্য উপন্যাস ‘চৌধুরি বাড়ির রহস্য’-ও লিখে ফেললাম। আমার পরম সৌভাগ্য, এই উপন্যাসটাও নীরেন্দ্রনাথ আদ্যোপান্ত পড়ে পরিমার্জনা করে দিয়ে গেছেন। এই প্রসঙ্গে আমার বিলেত-প্রবাসী বন্ধু পরন্তপ বসুর কথাও বলা দরকার, যাঁর অনর্গল পরামর্শ দুটি উপন্যাসকেই সমৃদ্ধ করেছে।
আমার আগে কোনও পেশাদার অর্থনীতিবিদ গোয়েন্দা কাহিনি লিখতে সাহস করেছেন কিনা জানি না। তবে উপন্যাস দুটো লিখতে লিখতে মনে হচ্ছিল গোয়েন্দা কাহিনি লেখার সঙ্গে তাত্ত্বিক অর্থনীতি গবেষণার মিল আছে। দুটি ক্ষেত্রেই নিশ্ছিদ্র যুক্তির কাঠামো তৈরি করতে হয়, যুক্তির সঙ্গে কল্পনাকে মেশাতে হয়, কল্পনার সঙ্গে মেশাতে হয় বাস্তবকে।
‘ভূতুড়ে টেলিফোন’ ১৪২৫ সালের শারদীয় ‘সংবাদ প্রতিদিন’এ প্রকাশিত হয়েছিল, ‘চৌধুরি বাড়ির রহস্য’ আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি। দীপ প্রকাশনের কর্ণধার শ্রী শংকর মণ্ডলের উৎসাহে লেখা দুটি বই হয়ে বেরল। তাঁর কাছে আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।
অভিরূপ সরকার
i am bangladeshi