য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি – ৩৯

২৪ অক্টোবর। আমাদের জাহাজের মিসেস– কে দেখে একটা নাট্যশালার ভগ্নাবশেষ মনে হয়। সেখানে অভিনয়ও বন্ধ, বাসের পক্ষেও সুবিধা নয়। রমণীটি খুব তীক্ষ্ণধার– যৌবনকালে নিঃসন্দেহ সেই তীক্ষ্ণতা ছিল উজ্জ্বল। যদিও এখনো এর নাকে মুখে কথা, এবং অচিরজাত বিড়ালশাবকের মতো ক্রীড়াচাতুর্য, তবু কোনো যুবক এর সঙ্গে দুটো কথা বলবার ছুতো অন্বেষণ করে না, নাচের সময় আহ্বান করে না, আহারের সময়ে সযত্নে পরিবেশন করে না। তার চঞ্চলতার মধ্যে শ্রী নেই, পৌঢ়তার সঙ্গে রমণীর মুখে যে একটি স্নেহময় সুপ্রসন্ন সুগভীর মাতৃভাব পরিষ্ফুট হয়ে ওঠে তাও তার কিছুমাত্র দেখি নে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *