পাথর-মত

মানুষ, মানুষের কাঁধে কাঁধে মানুষ
                  পায়ে পায়ে কুকুর
কাউকে চেনা লাগে না, না কুকুর, না মানুষ।
অন্য কোনও গ্রহ থেকে নেমে আসা এরা
বুঝি না, নাকি আমিই অন্য গ্রহের!
নাকি আমারই এমন, আর কারও নয়, খালি খালি লাগে।
গাছে পাতা ধরলেও মনে হয় ধরেনি
ফুলগুলোকে মনে হয় ফুল নয়
ঘাসে হাঁটছি অথচ ঘাসে হাঁটছি না, ঘাসগুলোকে পাথর-মত লাগে
মেঘগুলোকে ঠিক মেঘ মনে হয় না
চাঁদকেও চাঁদ না।

নিয়ন আলোর নিচে দাঁড়িয়ে থাকি এক শরীর অন্ধকার
দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই পাথরের শরীর ফুঁড়ে ঢুকে যায় শেকড়।
আমিও, আমার কাছেই, দিনদিন অচেনা ঠেকছি
শহরটি বড় ধুসর ধুসর,
শহরের মধ্যিখানে ঘোলা জনের নদীটিও।
নদীটিই আমার আপন ছিল, আমার উদাস চুলে স্পর্শ দিত তার,
ফুলে ফুলে আমার জন্য কেঁদেছেও অনেক।

নদীটিকে সেদিন বলেছি, তোমাকে খুব পাথর-মত লাগে,
নদীও বলল আমার কানে কানে, আঁচল উড়িয়ে দিয়ে হু হু হাওয়ায়,
-তোমাকেও।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *