শ্ৰীকৃষ্ণকিঙ্কর (১৮শ শতাব্দী)। জন্ম—মেদিনীপুর ও হাওড়ার সীমান্তবতী ক্ষেপুতের নিকটবতী হাড়োয়াচকে। পিতা-কানামণি(?)। পাঁচালী-গান-রচয়িতা। শান্তিরাম আগমবাগীশ নামে জনৈক মঙ্গলগান-রচয়িতার সংস্পর্শে এসে তিনি সর্বপ্রথম মনসামঙ্গলের একখানি পালা রচনা করেন। তৎকালীন সমাজপতি ব্ৰাহ্মণরা অব্ৰাহ্মণ কিঙ্করের সঙ্গে শান্তিরামের বন্ধুত্ব স্বীকার করে না নেওয়ায় তিনি গ্রাম ছেড়ে চলে যান এবং বর্ধমানরাজ তিলকচন্দ্ৰ-প্রদত্ত ভূমি গ্রহণ করে ক্ষেপুতি গ্রামের নিকটবতী ‘কিষ্টবাটী’ গ্রামে এসে বসবাস করতে থাকেন। অনেকে মনে করেন, শ্রীকৃষ্ণকিঙ্করের নামানুসারেই কৃষ্ণবাটী বা ‘কিষ্টবাটী’ নামে ক্ষুদ্র গ্রামটির সৃষ্টি হয়। এখানে বাসকালে তিনি ‘লঙ্কাপূজা’, ‘বরুণপূজা’, ‘ইন্দ্ৰপূজা’, ‘রাবণ্যপূজা’, শীতলামঙ্গলের ৪খানি পালা, ‘পঞ্চানন মঙ্গল’, ‘দেবী লক্ষ্মীর গীত’, ‘সত্যনারায়ণের সাত ভাই দুখীর পালা’, ‘শীতলার জন্ম পালা’, ‘শীতলার জাগরণ পালা’ প্রভৃতি রচনা করেন। চেতুয়াখণ্ডের বৃহৎ অংশে এখনও তাঁর রচিত শীতলামঙ্গল গায়েন কর্তৃক গীত হয়। তাঁর কাব্যের পুথিগুলি আজও হাওড়া ও মেদিনীপুরের গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে আছে।
Leave a Reply