রতনমণি (১৮৮৯ — আগস্ট ১৯৪৩) রামচীরা-পার্বত্য চট্টগ্রাম। নীলকমল। নোয়াতিয়া গোষ্ঠীর রতনমণি রিয়াং ও আদিবাসীদের মধ্যে লোকমান সাধু নামে পরিচিত ছিলেন। ১২ বছরের উপর তীর্থভ্ৰমণ করে ১৯৩৭ খ্রী। তিনি পার্বত্য ত্রিপুরায় আসেন এবং বিভিন্ন স্থানে আশ্রম প্ৰতিষ্ঠা করে অনগ্রসর রিয়াংদের ধর্মভাবে শিক্ষা দিতে এবং তাদের দুরবস্থা দূর করতে সচেষ্ট হন। শিষ্যদের তিনি রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ থেকে উপদেশ এবং হরিনামের মন্ত্র দিতেন। প্ৰধান আশ্রমের গঠন এবং ব্যবস্থাপনা ছিল সুরক্ষিত। আদিবাসীরা বহুযুগ ধরেই স্থানীয় সামন্ত জমিদারদের হাতে অত্যাচার ও শোষণ সহ্য করে এসেছে। রতনমণির নেতৃত্বে বহুদিনের পূঞ্জীভূত অভিযোগের প্রতিকারের জন্য আদিবাসী সম্প্রদায় বদ্ধপরিকর হয়। অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তিনি কয়েক হাজার আদিবাসীকে সশস্ত্র বিদ্রোহের পক্ষে জমায়েত করে সংগঠিত করেছিলেন। তাদের প্রধান দাবি ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার। এই আন্দোলনে রতনমণি ‘ডাকাত’ আখ্যা প্রাপ্ত হয়ে ধূত হন এবং বিচারের আগেই থানায় তাঁর উপর যে অমানুষিক নির্যাতন চলে তাতে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
Leave a Reply