• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ডাঃ

লাইব্রেরি » বাংলা ডিকশনারি » চরিতাভিধান » যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ডাঃ
যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ডাঃ (১৮-৯-১৮৮৬ — ৩০-৮১৯৭৬) তমলুক-মেদিনীপুর। কিশোরীলাল। ভারতের মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম চমকপ্ৰদ চরিত্র, বিপ্লবী অনুশীলন সমিতির অবিসংবাদী নেতা ও প্রখ্যাত চিকিৎসক। ১৯০৫ খ্ৰী. অনুশীলন সমিতির সভ্য হন। পরে যতীন্দ্রনাথ মুখার্জীর নেতৃত্বে যে যুগান্তর দল ১৯১৫ খ্ৰী. জার্মানীর সহযোগিতায় ভারতে সশস্ত্ৰ সংগ্রামের আয়োজন করেছিলেন, তিনি ছিলেন সে দলের বৈদেশিক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত নেতা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞ। বালেশ্বর যুদ্ধে যতীন্দ্রনাথের মৃত্যু হলে যুগান্তর দলের দায়িত্ব আসে তাঁর উপর। ১৯১৫ খ্রী সেপ্টেম্বরে, মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবস্থায় তাঁকে আত্মগোপন করতে হয়। পুলিসের মতে যাদুগোপাল ‘Was the Brain of the Jugantar’, এবং তাঁকে ধরিয়ে দেবার জন্য ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তিনি ১৯২১ খ্রী. পর্যন্ত আত্মগোপন করে বাঙলা, আসাম, চীন-সীমান্ত ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে দলের কাজ চালিয়ে যান। ১৯২১ খ্রী. আত্মপ্রকাশের পর ফাইনাল এম.বি. পরীক্ষায় মেডিসিনে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ডাক্তারি পাশ করেন। ১৯২৩ খ্রী. থেকে ১৯২৭ খ্ৰী. কারারুদ্ধ থাকেন। মুক্তি পেলেও তাকে বাঙলা থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন থেকে তিনি বিহারের রাঁচি শহরে স্থায়িভাবে বসবাস ও চিকিৎসা ব্যবসায় করতে থাকেন। ৩৫ বছর ধরে ঐ অঞ্চলে সুচিকিৎসকরূপে খ্যাতি অর্জন করেন। যক্ষ্মারোগের চিকিৎসায় বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। এ বিষয়ে তিনি একখানি গ্ৰন্থও রচনা করেছিলেন। ‘ভারত-ছাড়’ আন্দোলনে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ খ্রী. কারারুদ্ধ থাকেন। এ সময় হাজারীবাগ জেলে তাঁর সহবন্দীদের মধ্যে ছিলেন জয়প্ৰকাশ নারায়ণ। আন্দোলনকে সফল করে তোলার জন্য তিনিই জয়প্ৰকাশ নারায়ণ ও আরও কয়েকজনকে জেল থেকে পালোনর পরিকল্পনাসহ পরামর্শ দেন এবং প্রত্যক্ষভাবে সাহায্যও করেন। রাজনীতিক্ষেত্রে তিনি বাঘা যতীন, অরবিন্দ ঘোষ, এম.এন রায়, মতিলাল রায় প্রভৃতির ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিলেন। যুগান্তর পার্টির কর্ণধার হিসাবে তিনিই ইস্তাহার প্রচার করে বিপ্লবী সংগঠন তুলে দিয়ে বাঙলার বিপ্লবীদের কংগ্রেসের মাধ্যমে গণ-আন্দোলনে অংশ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতবিশারদ ও সুসাহিত্যিক ছিলেন। রচিত উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ: ‘ভারতের সমর সঙ্কট’ ও ‘বিপ্লবী জীবনের স্মৃতি’। সুলেখক ধনগোপাল তাঁর অনুজ।
Category: চরিতাভিধান
Previous Post:যুগলপদ দাস
Next Post:যদুনাথ পালিত

Reader Interactions

Comments

  1. Biswajit Halder

    August 30, 2023 at 12:23 am

    ১৯২৮ সালে অনুষ্ঠিত নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অলিম্পিকে পাড়ি দেয় ভারতীয় হকি দল। সেইবারই ভারত প্রথম অংশগ্রহণ করে অলিম্পিকে। কিন্তু প্রথম হলেও সকলের উদ্দেশ্য তখন ভারতের মস্তকে স্বর্ণমুকুটের।
    তার আগে ভারতীয় হকি দল তৈরি করে ফেলে এক দূর্দান্ত রেকর্ড। যা সেইসময় ছিল অসম্ভব, অলিম্পিকে যোগদান করার পূর্বে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় অনুশীলন পর্বের যেখানে ভারতীয় দল বিশ্বের ১১ টি হকি দলকে পরাস্ত করে ফেলে সারা বিশ্বের উদ্দেশ্যে ঘোষনা করে অলিম্পিকে এবার ভারতীয় সিংহের দল প্রবেশ করতে চলেছে।

    আর এই সংবাদ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে গোপন করে লন্ডনের সব কটি দৈনিক সংবাদপত্র। সম্ভবতঃ সেই সিংহের বিস্ময়কর প্রতিভা তাদের বিচলিত করে তুলেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর দুর্দমনীয় প্রতিভাকে তাদেরও অভিনন্দন জানাতে হয়েছিল।
    ‘হকির যাদুকর’ ও ‘হিউম্যান ঈল’ আখ্যায় ভূষিত করে তারাই। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে ছিলেন সেই সিংহ?

    তিনি #মেজর_ধ্যানচাঁদ_সিংহ। একাই শত্রুপক্ষের কাল হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন গোটা বিশ্বের কাছে।

    ১৯২৮ এর আমস্টারডামে একে একে অলিম্পিকের খেলায় পরাজিত হল অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, ফাইন্যাল পড়ল ভারতের হল্যান্ডের বিরুদ্ধে। কিন্তু খেলার আগে দেখা দিল আকস্মিক বিপর্যয়।

    ভারতীয় দলের দিকপাল খেলোয়াড় ফিরোজ খান, সৌকত আলী ও খের সিং অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অধিনায়ক ছিলেন জয়পাল সিং। তিনিও অনুপস্থিত। প্রবল জ্বরে ধ্যানচাঁদও শয্যাশায়ী।
    ম্যানেজার মিঃ রসার চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেন। তিনি উম্মাদের মত ছুটে আসেন ধ্যানচাঁদের কাছে। তাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ”ভারতের এই চরম পরীক্ষার দিনে তুমি শয্যাশায়ী থাকবে, ধ্যানচাঁদ। তুমি তো সৈনিক, ওঠো- ভারতের জন্য নির্দিষ্ট বিজয়ীর জয়মাল্য তোমাকেই এনে দিতে হবে।”

    মুহূর্তে যেন সমস্ত জড়তা ঝরে পড়ে ধ্যানচাঁদের শরীর থেকে। অসুস্থ সৈনিক অভুক্ত অবস্থাতেই হাতিয়ার নিয়ে মাঠে ঝাপিয়ে পড়েন। সেদিন যেন আসুরিক শক্তি সামর্থ্য লাভ করেছেন ধ্যানচাঁদ। তার দুর্বার আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয় হল্যান্ডের রক্ষণভাগ। হল্যান্ডের গোলরক্ষক একবার নয়— বারবার তিনবার পরাজিত হল।
    অলিম্পিকে ভারতের ২৮ টি গোলের মধ্যে ধ্যানচাঁদই ১১ টি গোল করে সকলকে অবাক করে দেন।
    সময়টা ১৯২৮ খ্রিঃ ২৬ শে মার্চ। ভারত লাভ করল বিশ্বহকির দুর্লভ বিজয় মুকুট। সহ–খেলোয়াড়দের সঙ্গে ধ্যানচাঁদ অলিম্পিকের স্বর্ণপদক লাভ করলেন ২৯ শে আগষ্ট। অলিম্পিক বিজয়ী দল ভারতে ফিরে আসার পর ধ্যানচাঁদের নাম ছড়িয়ে পড়ল ঘরে ঘরে।

    এবার আসি তাঁর পরিচয়পর্বে,
    ১৯০৫ সালের ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রয়াগরাজে রাজপুত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ধ্যানচাঁদ। তাঁর পিতা ও দাদা ছিলেন ভারতীয় সৈনিক এবং ছোট ভাই রুপ সিং ছিলেন ভারতীয় হকি দলের উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক।
    তিনি জানতেন যে তার পরিবারের মতোই তাকেও সেনাবাহিনীতে যেতে হবে অতঃপর মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯২১ সালে দিল্লিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রাহ্মণ রেজিমেন্টে যোগদান করেন।
    সুবেদার মেজর বালে তেওয়ারী ছিলেন একজন দক্ষ হকি খেলোয়াড় ও উগ্র সমর্থক। তিনি ছোট্ট ধ্যানচাঁদকে খুব স্নেহ করতেন ও তাঁর হকিগুরু হিসেবে তার হাতেখড়ি তিনিই করেন।

    সেইসময় সেনাবাহিনীতে হকি খেলার প্রচন্ড প্রচলন ছিলো, সুযোগ পেলেই রেজিমেন্টের সকলে মিলে হকি খেলায় মেতে উঠতো সকাল-সন্ধ্যা। ধ্যানচাঁদও তাদের সাথে খেলায় মেতে উঠতেন, স্টিকের মাথায় বল নিয়ে এঁকে বেঁকে সকলের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়াতে তিনি অভূতপূর্ব আনন্দ পেতেন।
    ধীরে ধীরে সেনাবাহিনীর মধ্যে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। কাজের পরে রাতে তিনি হকি প্র্যাকটিস করতেন। তখন এত লাইটের ব্যবস্থা ছিল না। তাই তিনি অপেক্ষা করতেন কবে পূর্ণিমা আসবে। এবং চাঁদের আলোয় বেশিক্ষণ অনুশীলন করতে পারবেন। জ্যোত্‍স্নায় অনুশীলন করতেন বলে, সেই থেকে তাঁর নাম হয় ধ্যানচাঁদ।
    এরপর সেনাবাহিনীর আন্তঃবিভাগীয় ক্রীড়ায় তিনি নিজের রেজিমেন্টের জন্য বিজয়মাল্য ছিনিয়ে এনে নিজেকেও সকল রেজিমেন্টের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ‘সেন্টার ফরওয়ার্ড’ হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন।

    ১৯২২ থেকে ১৯২৬ ধ্যানচাঁদের হকি তখন সেনাবাহিনীর এক অভেদ্য নাম হিসেবে পরিচিত হয়ে চলছিল ঠিক তখনই কমান্ডিং অফিসার তাকে ডেকে পাঠান নির্দেশ দেন নিউজিল্যান্ডে ভারতীয় হকি দলের তিনি অন্যতম খেলোয়াড় হিসেবে নিয়োগ হয়েছেন ও তাকে সেখানে গিয়ে সেরা প্রদর্শন করে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে। আনন্দে আত্মহারা ধ্যানচাঁদ তাঁর সমস্ত সেনা-সহকর্মীদের কাছে এই সম্বাদ পৌঁছে দেন ও ভিতর থেকে তৈরি হন এক মহা সংগ্রামের পথে। আর এখান থেকেই শুরু হয় ভারতীয় হকি দলের বিজয় যাত্রা। সেখানে তার অসাধারণ ক্রীড়া প্রতিভা দেখে বিস্মিত হয়েছিল সেদেশের মানুষও, করতালিতে ভরে গিয়েছিল পুরো ময়দান।
    দেশে ফিরে ধ্যানচাঁদ পেলেন সকলের আশির্বাদ ও সেনাবাহিনীতে ‘লান্স নায়ক’ পদ।

    এরপর ১৯৩২ সাল লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে পুনরায় ফাইনালে উঠলো ভারত। এবার প্রতিদন্ধি আমেরিকা। ধ্যানচাঁদের ভারতবর্ষ পরপর ২৪ টি গোল করে আমেরিকাকে ধরাশায়ী করে দেয়। তড়িৎ গতিসম্পন্ন ধ্যানচাঁদের স্কিল আমেরিকানরা কোনক্রমেই ঠাহরই করতে পারেনি সেদিন।
    এবারের অলিম্পিকে আমেরিকাকে ২৪-১ এবং জাপানকে ১১-১ ব্যবধানে হারায় ভারত। এই দু’টি ম্যাচে ১২টি গোল করেছিলেন ধ্যানচাঁদ। বাকি ১৩টি গোল করেন তাঁর ভাই রূপ সিংহ।
    পুনরায় ভারতের মস্তষ্কে জুটলো অলিম্পিক জয়ের স্বর্ণ খেতাব।

    দেশে ফিরলো ভারতীয় হকি দল সাথে লান্স নায়ক ধ্যানচাঁদ। ১৩৩ টি গোলের রেকর্ড গড়ে তিনি হয়ে উঠলেন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। অসংখ্য সম্মাননা ও পুরুস্কারের মাঝে তিনি ভারতীয় সেনার ‘নায়ক’ পদে আসীন হলেন।

    আবার ১৯৩৫ সালে ভারতীয় হকি দল প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে গেলো। কিন্তু এবারের অধিনায়ক ছিলেন স্বয়ং নায়ক ধ্যানচাঁদ।অ্যাডিলেড ওভাল-এ একটা খেলা হল, সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
    সেটা দেখতে এলেন স্বয়ং ডন ব্র্যাডম্যান। ভারত ১০-১ গোল জিতল, কিন্তু সেটা বড় কথা নয়, ভারত তখন পরপর দু’বারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন।
    ডন, বিশেষ করে ভারতীয় দলের অধিনায়কের খেলা দেখে বাক্‌রুদ্ধ হয়ে গেলেন, এবং মাঠে নেমে তাঁকে বললেন, ‘’আপনারা তো হকি-তে ক্রিকেটের রানের মতো গোল করেন দেখছি…’ অধিনায়ক ধ্যানচাঁদ, লজ্জা ভরে মৃদু হাসলেন।
    এই সফরেও ২০১ টি রেকর্ড সর্বোচ্চ গোল নিজের নামে করে অপরাজিত ভারতীয় দলকে নিয়ে দেশে ফিরলেন তিনি।

    ১৯৩৬ সালের ঐতিহাসিক অলিম্পিক খেলা অনুষ্ঠিত হয় বার্লিনে। সেই অলিম্পিক খেলাতেও ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন ধ্যানচাঁদ। ওই বার্লিন অলিম্পিক্‌সেই, যা আদতে ‘জেসি ওয়েন্সের অলিম্পিক’ বলে খ্যাত, বা হিটলারের অলিম্পিক বলেও,
    সেখানে ধ্যানচাঁদ এমন কেরামতি দেখালেন, যে শোনা যায়, খোদ হিটলারও অভিভূত হয়েছিলেন, তাঁকে জার্মান পাসপোর্ট ও নাৎজি বাহিনীতে জেনারল পদ দিতে চেয়েছিলেন তিনি।

    সেখানেই খেলা চলছে ভারত স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ঝড় তুলেছে, নেতৃত্বে সেই একই খেলোয়াড়। হঠাৎ মাঝপথে খেলা থামিয়ে দেওয়া হল। কী ব্যাপার? না, প্রতিপক্ষের দাবি, ওই খেলোয়াড়ের হকি স্টিকে লুকোনো ম্যাগনেট লাগানো, অতএব খেলা থামিয়ে স্টিক পরীক্ষা হল।
    ঠিক একই কাণ্ড অবশ্য এর আগে জাপানেও ঘটেছিল। মাঝপথে খেলা থামিয়ে পরীক্ষা করা হল, স্টিকে ম্যাজিক গ্লু বা আঠা লাগানো আছে কি না!
    কিন্তু রেফারি বাধ্য হন গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে পুনরায় ম্যাচ চালু করতে। আর এখানেও ভারত অজেয়।
    পুনরায় ভারতবর্ষ জিতে নেন অলিম্পিক জয়ের খেতাব সাথে ধ্যানচাঁদ ৫৯ টি গোল করার বিশ্ব রেকর্ড।

    এরপর ১৯৪৭ সালে ‘এশিয়ান স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’ এর আমন্ত্রণে ভারতীয় দল পূর্ব আফ্রিকা সফর করে সেখানে ধ্যানচাঁদের নেতৃত্বে ২৮ টি খেলাতে ভারত সবকটিতেই অপরাজিত থাকে।
    পরের বছর ১৯৪৮ সালে তিনি নিউজিল্যান্ড সফরে সর্বোচ্চ ৬১ টি গোল করে হকি থেকে অবসর নেন।

    তিনি সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট ও ১৯৪৮ এ ক্যাপ্টেন পদে ও পরে তাকে মেজর পদে সম্মান জানানো হয়।

    ধ্যানচাদ তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনে বিশ্ব অলিম্পিক হকি খেলায় মোট ১০১ টি গোল করেন । এছাড়া আন্তর্জাতিক হকি খেলাতে মেজর ধ্যানচাঁদ মোট ৩০০ টি গোল করেন। এটা একটা রেকর্ড। তাঁর এই বিশ্ব রেকর্ড আজ পর্যন্ত কেউ ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হননি।

    পরম শ্রদ্ধেয় মেজর ধ্যানচাঁদ ধূমপান করতেন না কোনো বদ – নেশায় নিজেকে যুক্ত রাখতেন না। জীবনের শেষ প্রহর পর্যন্ত সংযমী জীবন যাপন করে গেছেন। তাই বোধ হয় এত বড়ো মাপের খেলোয়াড় হতে পেরেছিলেন, পেরেছিলেন ভারত মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে।

    তাঁর আজ জন্মজয়ন্তী দিবসকে ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।।

    তিনি সর্বদা বলতেন, “Keep the flag of India flying.”

    __

    ভারত মায়ের জয় |
    বিশ্বগুরু ভারতবর্ষ

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑