যাত্রামোহন সেন (১৮৫০ – ২-১১-১৯১৯) বরমা-চট্টগ্রাম। ত্ৰাহিরাম। দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন তাঁর পুত্র। ১২ বছর বয়সে পিতৃবিয়োগ হলে গৃহ-শিক্ষকতা করে নিজের পড়াশুনা চালান। পরে কলিকাতায় এসে কলেজে ভর্তি হন এবং বি-এ, ও বি.এল. পাশ করে চট্টগ্রামে গিয়ে ওকালতি শুরু করেন। ওকালতির মাধ্যমে রাজনীতিক্ষেত্রে আসেন। বাঙলার বিভিন্ন অঞ্চলে সভা-সমিতিতে যোগদান করে সুবক্তারূপে পরিচিত হন। রাউলট বিলের বিরুদ্ধে তিনি জনমত গঠন করেন। ১৯১৯ খ্রী. ময়মনসিংহে বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সম্মেলনের অভিভাষণেও তাঁর চরমপন্থী রাজনৈতিক অভিমতের পরিচয় পাওয়া যায়। ১৮৯৮ খ্রী. বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য হন। বাংলা সাহিত্যের প্রতিও অনুরাগী ছিলেন। তাঁরই উদ্যোগে বঙ্গীয়-প্রাদেশিক সাহিত্য সম্মেলন চট্টগ্রামে আহূত হয়। সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ সাহিত্যিকগণ যোগদান করেছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন-এর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন। তাঁর প্রদত্ত জমিতে প্রতিষ্ঠানের যে ভবন নির্মিত হয়, ১৯২০ খ্রী তার নামকরণ হয় ‘যাত্রামোহন সেন হল’। শিক্ষা বিস্তারে কয়েকটি স্কুল স্থাপন এবং উন্নয়নমূলক কাজে বহু অর্থ ব্যয় করেন।
Leave a Reply