প্ৰফুল্লচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৪৯ – ৫-৮-১৯০০)। নারায়ণপুর—নদীয়া। শিবচন্দ্ৰ। মামজোয়ানী গ্রামে ব্যবস্থা-দৰ্পণ গ্ৰন্থ-রচয়িতা শ্যামাচরণ সরকারের অবৈতনিক ইংরেজী বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়বার সময় পিতৃবিয়োগ ঘটায় মাত্র ১৫ বছর বয়সে আড়ংঘাটায় রেলওয়ে অফিসে কাজ নেন। এরপর বিভিন্ন জায়গায় কাজ করবার পর ১৮৬৬ খ্রী. দাৰ্জিলিং লাইনে কাবাগোলা ডাকঘরে কেরানী নিযুক্ত হন। পরে এই ডাক বিভাগের কাজে নিপুণতাঁর পরিচয় দিয়ে মৃত্যুর কয়েকদিন পূর্বে ১৯০০ খ্ৰী. পূর্ববঙ্গের পোস্টমাস্টার-জেনারেল পদ লাভ করেছিলেন। নিজের চেষ্টায় বাংলা, ইংরেজী, সংস্কৃত, ওড়িয়া, তেলেগু, ল্যাটিন ও গ্ৰীক ভাষা শেখেন। প্রাচীন হিন্দু রাজত্বের ইতিহাস রচনার জন্য বহু উপকরণ সংগ্রহ করেন। রচিত গ্রন্থ: ‘বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত’, ‘মণিহারী’, ‘গ্ৰীক ও হিন্দু’, ‘অনুভূতি’ প্রভৃতি। এছাড়াও দুটি কবিতা গ্ৰন্থ ও রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণ সমাজের একটি ইতিহাস রচনা করেন।
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর ‘কৃত্তিবাস পণ্ডিত’, ‘বাঙলার প্রত্নতত্ত্ব প্রভৃতি গবেষণামূলক প্রবন্ধ উল্লেখযোগ্য। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সহ-সম্পাদক ছিলেন। পিতারনামে ‘শিবনারায়ণপুর ডাকঘর’ প্রতিষ্ঠা করেন।
Leave a Reply