পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায় (২০-১২-১৮৬৬ – ১৫-১১-১৯২৩) হালিশহর-চব্বিশ পরগনা। বেণীমাধব। পিতারকর্মস্থল ভাগলপুরে জন্ম। পাটনা কলেজ থেকে ১৮৮৭ খ্রী. সংস্কৃতে অনার্সসহ বি.এ. পাশ করেন। পরে কাশীতে সংস্কৃত সাহিত্য ও সাংখ্য-বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। হিন্দী, উর্দু, ফারসী, ইংরেজী প্রভৃতি ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন। কর্মজীবনে প্রথমে সরকারী চাকরি ও কিছুকাল অধ্যাপনা করার পর সংবাদপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। ব্যঙ্গরচনায়ও গাভীর্যপূর্ণ রচনায় তাঁর সমান দক্ষতা ছিল। শশধর চূড়ামণিকে হিন্দুধর্ম প্রচারে সহায়তা করে তিনি বক্তারূপে প্রতিষ্ঠিত হন। বাঙলার সামাজিক ইতিহাস গবেষণায় তাঁর মূল্যবান অবদান আছে। ‘বঙ্গবাসী’, ‘হিতবাদী’, ‘বসুমতী’, ‘রঙ্গালয়’, ‘স্বরাজ’, ‘প্রবাহিনী’, ‘জন্মস্থান’, ‘নারায়ণ’, ‘সন্ধ্যা’ প্রভৃতি বাংলা পত্রিকা এবং ‘কলিকাতা সমাচার’ (হিন্দী) ও হিন্দী দৈনিক ‘ভারতমিত্র’-এর সঙ্গে সম্পাদনায় বা অন্যভাবে যুক্ত ছিলেন। সাংবাদিক হিসাবে তাঁর সর্বাধিক প্ৰসিদ্ধি ‘নায়ক’ পত্রিকার সম্পাদনায়। কার্টুন প্রকাশের জন্য প্রভূত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ‘নায়ক’। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মতিলাল ঘোষকে উপলক্ষ করে প্রায়ই তাতে কার্টুন থাকতো। তাঁর রচিত, অনুদিত ও সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী: আইন-ই-আকবরী ও আকবরের জীবনী, শ্রীশ্রীচৈতন্যরচিতামৃত, রূপলহরী বা রূপের কথা, ‘সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস’, ‘বিংশ শতাব্দীর মহাপ্ৰলয়’, ‘দরিয়া’ এবং ‘সম্রাট ঔরঙ্গজেব’ প্রভৃতি।
Leave a Reply