পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৯৩ – ৭-৪-১৯৭৪) বিক্রমপুর-ঢাকা। বাংলা ভাষায় অনুবাদ-সাহিত্যের সমৃদ্ধিতে এই সাহিত্যিকের যথেষ্ট অবদান আছে। নুট হ্যামসন, ম্যাক্সিম গোর্কী প্রভৃতি বিদেশীয় সাহিত্যিকদের তিনিই বাঙালী পাঠকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। অল্প বয়সে জীবিকার সন্ধানে তাকে বের হতে হয়। আসামের জোড়হাটে মুহুরির কাজ করার সময় তিনি সেখানে সাহিত্য সংসদ গড়ে তোলেন। সেখান থেকে কলিকাতার পত্র-পত্রিকায় লিখতে আরম্ভ করেন। এই সূত্রে প্রমথ চৌধুরী ও যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ঘটে। ১৯১৮ খ্রী. প্ৰথম কলিকাতায় এসে প্রমথ চৌধুরীর সবুজপত্র অফিসে চাকরি নেন ও চৌধুরী মহাশয়ের বাসভবন কমলালয়ে আশ্রয় পান। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি কলিকাতার সকল সাহিত্য আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে কল্লোল-যুগের অন্যতম অগ্রদূত হিসাবে গণ্য করা হয়। সারা জীবনে তিনি নিজে লিখেছেন প্রচুর এবং নবীন লেখকদের উৎসাহ জুগিয়েছেন তাঁর চেয়েও বেশী। তাঁর রচিত মৌলিক গ্ৰন্থ: ‘চলমান জীবন’। বহু সাহিত্য প্রতিষ্ঠান, পত্রিকা দপ্তর ও সাহিত্য মজলিশের সঙ্গে তাঁর প্রাণের যোগ ছিল। জামশেদপুর চলন্তিকা সাহিত্য পরিষদের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা ছিল।
Leave a Reply