নীলরত্ন হালদার (? – আনুমানিক ১৮৫৫) চুচুড়া। — হুগলী। নীলমণি। বহুভাষাবিদ, সাহিত্যিক, সংবাদপত্রসেবী ও সুকবি হিসাবে সে যুগে তাঁর খ্যাতি ছিল। ১৮২৯ খ্ৰী. ইংরেজী, বাংলা, নাগরী, ও ফারসী ভাষায় প্রকাশিত ‘বঙ্গদূত সাপ্তাহিকের তিনিই প্রথম সম্পাদক। রচিত গ্রন্থাবলী : ‘কবিতা-রত্নাকর’, ‘জ্যোতিষ’, ‘পরমায়ুঃপ্রকাশ’, ‘অদৃষ্ট প্রকাশ’, ‘বহুদর্শন’, ‘দম্পতি-শিক্ষা’, ‘সর্বমোদতরঙ্গিণী’, ‘শ্রীশ্রীমহাদেবস্তোত্রম’, ‘শ্রুতিগীতরত্ন’, ‘পার্বতীগীতরত্ন’ প্রভৃতি। তার ‘কবিতা-রত্নাকর’ গ্ৰন্থখানি পাদরী মার্শম্যান ইংরেজীতে অনুবাদ করেছিলেন। এছাড়াও তার রচিত বহুসংখ্যক সঙ্গীত আছে। টরেন্স সাহেবের আমলে সলট বোর্ডের দেওয়ান ছিলেন। দ্বারকানাথ ঠাকুরের পরে তিনি তৎকালে বাঙালীদের প্রাপ্য সর্বোচ্চ সম্মানজনক রেভিনিউ বোর্ডের দেওয়ান পদ লাভ করেছিলেন।
Leave a Reply