নবকুমার পাল। ১৯শ শতক। সুদক্ষ মৃৎশিল্পী। মানুষের মূর্তি রচনায় পারদর্শী ছিলেন। কলিকাতার এক বাজার থেকে তাকে আবিষ্কার করেছিলেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-অধ্যাপক ও’শানেশি। তিনিই এই প্ৰতিভাধর শিল্পীর শিল্পকলাকে কলারসিকদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর গড়া মাটির মডেল দেখে স্বদেশে বসে প্ৰখ্যাতনামা ইংরেজি ভাস্কররা সেগুলিকে পাথর বা ব্রোঞ্জে রূপান্তরিত করতেন। উইলিয়ম কেরীর যে শ্বেতপাথরের মূর্তিটি ইংল্যান্ড থেকে তৈরি করে এনে কলিকাতার অ্যাগ্রি-হরটিকালচার সোসাইটিতে স্থাপন করা হয়, তার মাটির প্রতিকৃতিটি নবকুমারের রচিত ছিল। এই কাজের জন্য লন্ডনের সোসাইটি অব আর্টস তাকে রূপার ‘আইরিশ মেডেল’ দিয়ে সম্মানিত করে। কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁর অনেক শিল্পকর্ম সংরক্ষিত আছে। ১৮৪২ – ৪৪ খ্রী. কলিকাতার গভর্নমেন্ট হাউসেও তার মৃৎশিল্পের নির্দশন সংগৃহীত হয়েছিল। অনুমান করা হয় ১৮৫৪ খ্রী. রাজভবনের অঙ্গসজ্জার কাজে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন।
Leave a Reply