কুমুদশঙ্কর রায় (৭.৯.১৮৯২ – ২৪.১০.১৯৫০) তেঁওতা-ঢাকা। পার্বতীশঙ্কর। কলিকাতা ও এডিনবরায় শিক্ষাপ্রাপ্ত—বিএস-সি, এম-বি, এম-ডি, সিএইচবি ডিগ্ৰীপ্ৰাপ্ত কুমুদশঙ্কর স্কটল্যান্ডের ওকিল হিল স্যানাটোরিয়ামের সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্ট ছিলেন। ১৯১৮ খ্রী. কলিকাতায় ফিরে কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজের প্রাণিতত্ত্বের অধ্যাপক হন। দেশবন্ধু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ১৯১৮ খ্রী. চিকিৎসাবিদ্যার ছাত্ৰ প্ৰভাস ঘোষ যক্ষ্মারোগে মৃত্যুর সময় নিজের দুই লক্ষ টাকা যক্ষ্মা হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ট্রাস্টীকে দিয়ে যান। ১৯২৩ খ্রী. হাসপাতাল স্থাপিত হয়। তিনি ১৯২২ খ্রী. এই ট্রাস্টী কর্তৃক নিয়োজিত হয়ে সম্পাদক ও সংগঠক হিসাবে যাদবপুর যক্ষ্মা হাসপাতালে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। হাসপাতালের ক্রমোন্নতির প্রতি পর্যায়ে তাঁর অবদানের কথা স্মরণ করে তার মৃত্যুর পর ঐ হাসপাতালটি তার নামাঙ্কিত হয়। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য এবং কলিকতা কপোরেশনের অন্ডারম্যান ছিলেন।
Leave a Reply