কমলকৃষ্ণ স্মৃতিতীর্থ, মহামহোপাধ্যায় (১৮৭০ – ১৯৩৪) ভট্টাপল্লী-চব্বিশ পরগনা। নন্দলাল ন্যায়রত্ন। স্বগ্রামস্থিত পণ্ডিত দিগম্বর তর্কসিদ্ধান্তের চতুষ্পাঠীতে অধ্যয়ন করে নব্যস্মৃতিতে ‘স্মৃতিতীর্থ’ উপাধি পান। (১৯০৬)। পূর্বেই নিজ গৃহে পিতামহের স্মৃতিরক্ষার্থ কৈলাস চতুষ্পাঠী স্থাপন করে অধ্যাপনার কার্য আরম্ভ করেছিলেন। তার চতুষ্পাঠীতে পড়ার জন্য ভিন্ন দেশ থেকেও বহু ছাত্র আসত। ১৯০০ খ্ৰীঃ ভাটপাড়ায় সংস্কৃত কলেজ স্থাপিত হলে উক্ত চতুষ্পাঠী ঐ কলেজের সঙ্গে যুক্ত হয়। আমৃত্যু তিনি ঐ কলেজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তিনি মহামহোপাধ্যায় হরপ্ৰসাদ শাস্ত্রীর সঙ্গে প্রাচীন পুঁথিপত্রের সন্ধানে প্ৰবৃত্ত হন ও ১৮৯৭ খ্ৰী. প্ৰথমবার ঐ কার্যে নেপাল যান। ১৯২৪ খ্ৰী. কলিকাতা এশিয়াটিক সোসাইটির সহযোগী সভ্য নির্বাচিত হন। ‘প্ৰাচীন ভারতীয় সাক্ষ্যবিধি’ গ্রন্থ রচনার জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ৩৫০ টাকা পুরস্কার প্রদান করে। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত অন্যান্য গ্ৰন্থ : ‘ভট্টপল্লীর বশিষ্ঠ-বংশাবলী’, ‘কথাসরিৎসাগর’ (সানুবাদ), ‘অগস্ত্যসংহিতা’, ‘রাজতরঙ্গিণী’ (শেষার্ধ), ‘হারলতা’, ‘বৌদ্ধজাতক’ ইত্যাদি। ১.১.১৯২৬ খ্রী. ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি লাভ করেন।
Leave a Reply