এহতেশাম উদ্দীন, মীর্জা (?–১৮০১) পাঁচনৌর-নদীয়া। শেখ তাজউদ্দীন। তিনি প্ৰথমে বাঙলার নবাব মীরজাফরের অধীনে চাকরি করতেন। মীরকাশিম নবাব হলে ইংরেজের হয়ে নবাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ইংরেজ ও মারাঠাদের মধ্যে আলোচনায় ইংরেজ-পক্ষের প্রতিনিধি ছিলেন। ইংরেজ সেনাপতির অধীনে কিছুদিন কাজ করেন। পরে বাদশাহ শাহ আলমের অধীনে কর্মরত থাকা কালে বাদশাহ তাঁকে ইংল্যাণ্ডরাজ তৃতীয় জর্জের কাছে পত্রবাহক হিসাবে পাঠান। তিনিই সর্বপ্রথম ইউরোপ-ভ্ৰমণকারী বাঙালী। পরে ক্যাপ্টেন সুইটনের সহকারিরূপে ১৭৬৫ খ্ৰীইংল্যাণ্ডে যান ও পাণ্ডিত্যের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাদৃত হন। কলিকতা কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট কিছু ফারসী কাগজপত্র পড়ে দিতে লণ্ডনের আদালতে হাজির হন। লর্ড ক্লাইভের ষড়যন্ত্রে বিফল হয়ে ১৭৬৭ খ্রী. দেশে ফেরেন। ফারসীতে লেখা তাঁর ‘শিগুর্ফ নামা-ই বেলায়েত’ গ্রন্থখানিতে (১৭৮১) তিনি ইউরোপ-ভ্রমণের কাহিনী লিপিবদ্ধ করে গেছেন। জেমস এডওয়ার্ড আলেকজান্দার এই গ্ৰন্থটি ইংরেজীতে অনুবাদ করে শুন থেকে ১৮২৭ খ্রী. প্ৰকাশ করেন।
Leave a Reply