• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর

লাইব্রেরি » বাংলা ডিকশনারি » চরিতাভিধান » ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর (২৬-৯-১৮২০ – ২৯-৭-১৮৯১) বীরসিংহ–মেদিনীপুর। ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। দরিদ্র পরিবারে জন্ম। প্ৰাথমিক শিক্ষা গ্ৰাম্য পাঠশালায়। ১৮২৮ খ্রী. পদব্ৰজে কলিকাতায় আসেন এবং ১৮২৯ খ্রী. ১ জুন সংস্কৃত কলেজে ভর্তি হন। একাদিক্ৰমে ১২ বছর কাব্য, ব্যাকরণ, অলঙ্কার, অসাধারণ বুৎপত্তি অর্জন করেন। ১৮৩৯ খ্রী. হিন্দু ল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি পান। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে ১৮৪১ খ্রী. ২৯ ডিসেম্বর হেডপণ্ডিতের পদ লাভ করেন। এখানে আসার পর ইংরেজী ও হিন্দী শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন। ১৮৪৬ খ্রী. ৬ এপ্রিল সংস্কৃত কলেজের সহ-সম্পাদক হন। কিন্তু কলেজের সংস্কারের প্রস্তাব সম্পাদক রসময় দত্ত অগ্রাহ্য করলে ১৮৪৭ খ্রী. ১৬ জুলাই পদত্যাগ করেন। ১৮৫০ খ্রী. উক্ত কলেজের সাহিত্যাধ্যাপকের পদগ্ৰহণ করেন; শর্ত ছিল তার প্রস্তাবমত কলেজ-সংস্কার করতে হবে। ১৮৫১ খ্ৰী. ২২ জানুয়ারী উক্ত কলেজের নবসৃষ্ট অধ্যক্ষ-পদে নিযুক্ত হন। এই সময় সম্পাদক রসময় দত্ত অবসর গ্রহণ করেন। বিদ্যাসাগর এই কলেজের সর্ববিভাগের সংস্কারসাধনে ব্ৰতী ছিলেন; যথা, বিরতি দিবস পরিবর্তন, মাহিনা প্রবর্তন, পাঠক্রম সংস্কার, জটিল ব্যাকরণ মুগ্ধবোধের পরিবর্তনের জন্য সহজবোধ্য নূতন ব্যাকরণ-সৃষ্টি (সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্ৰমণিকা, ১৮৫১ খ্রী. পরে ব্যাকরণ কৌমুদী), গণিতে ইংরেজী ব্যবহার এবং দর্শনে পাশ্চাত্য যুক্তিবিদ্যা (লজিক) পাঠ্য নির্বাচন, সংস্কৃত কলেজে অব্রাহ্মণের প্রবেশাধিকার প্রভৃতি। ক্রমে স্কুল বিভাগের সর্বস্তরে শিক্ষার জন্য বহুবিধ গ্ৰন্থ প্রণয়ন করেন; যেমন, ‘বোধোদয়’, ‘বর্ণপরিচয়’, ‘কথামালা’, ‘চরিতাবলী’, ‘ঋজুপাঠ’ প্রভৃতি। বাংলা ভাষায় বলসঞ্চার ও সংস্কৃতবাহুল্যমুক্তির জন্য ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’, ‘শকুন্তলা’, ‘সীতার বনবাস’ প্রভৃতি রচনায় তিনি সাহিত্যের দিক-নির্দেশ করেন। এ ছাড়াও ‘রঘুবংশ’, ‘সর্বদর্শনসংগ্রহ’, ‘কুমারসম্ভব’, ‘কাদম্বরী’, ‘মেঘদূত’, ‘উত্তররা’চরিত’, ‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম’ প্রভৃতি গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। সহকর্মী মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সঙ্গে ‘সংস্কৃত-প্রেস’ খুলেছিলেন। সমাজ-সংস্কারেও মুখ্য ভূমিকা ছিল। তত্ত্ববোধিনী সভা ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা এবং সম্পাদক অক্ষয় দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে ছাত্রজীবনের শেষ দিকে। ১৮৫৪-৫৫ খ্রী. বিধবা-বিবাহ প্রচলনের প্রস্তাব করেন। প্রবল পরিপন্থী আন্দোলনের মধ্যেও বিধবা-বিবাহ আইন পাশ হয় (১৮৫৬)। এই বছরই ডিসেম্বরে তার উদ্যোগে প্ৰথম বিধবা-বিবাহ করেন সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক শ্ৰীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন। এখানে এবং পরে বহু বিধবা-বিবাহে নিজ অর্থ ব্যয় করে পরিণামে নিজেই ঋণগ্ৰস্ত হন। ১৮৭০ খ্ৰী. নিজপুত্ৰ নারায়ণচন্দ্রের সঙ্গে জনৈকা বিধবার বিবাহ অনুমোদন করেন। কিন্তু বহুবিবাহ-রোধ আন্দোলনে ব্যর্থ হন।; কারণ বন্ধুদের বাধা ও সিপাহী বিদ্রোহের পর সরকারের ভীতি। এই উপলক্ষে শিক্ষিত মহলে তীব্র বাদানুবাদের সৃষ্টি হলে বিদ্যাসাগর সম্পূর্ণ নূতন, ভঙ্গিতে সরস ও বিদ্রুপাত্মক নিবন্ধ রচনা করেন। গ্রন্থাকারে সেগুলির নাম—’কস্যচিৎ ভাইপোস্য’, ‘অতি অল্প হইল’, ‘আবার অতি অল্প হইল’ (১৮৭৩)। হিন্দু বিধবাদের দুরবস্থা থেকে বাঁচানোর জন্য ‘হিন্দু ফ্যামিলী অ্যানুয়িটি ফাণ্ড’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্ত্রীশিক্ষায় বিপুল অবদান ছিল। সরকার কর্তৃক বিশেষ স্কুল ইনস্পেক্টর নিযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম-গ্রামান্তরে ৬ মাসে ২০টি মডেল স্কুল স্থাপন করেন। এইসব স্কুলের শিক্ষকদের শিক্ষণ-পদ্ধতি শিক্ষার জন্য নিজ তত্ত্বাবধানে ‘নির্ম্যাল স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন (১৮৫৫)। এর পরিচালক ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত। স্ত্রী-শিক্ষার সেই আদিযুগে বিদ্যাসাগর-প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলির ছাত্রী সংখ্যা ছিল ১৩০০ (১৮৫৮)। বেথুন-স্থাপিত স্কুলেরও সেক্রেটারী ছিলেন। গ্রামে স্থাপিত এতগুলি স্কুল সম্পর্কে সরকারের প্রতিশ্রুত সাহায্য না পাওয়ায় তাকে নিজ ব্যয়ে বেশ কিছুদিন এগুলির পরিচালনার দায়িত্বভার বহন করতে হয়। ১৮৫৭ খ্রী. প্রতিষ্ঠিত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্ৰতিষ্ঠাতা–সদস্য ছিলেন। ১৮৫৯ খ্রী. ‘ক্যালকাটা ট্রেনিং স্কুল’ প্রতিষ্ঠার পর ১৮৬৪ খ্ৰী. এই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব তার হাতে আসে। এই স্কুলই প্রথমে ‘হিন্দু মেট্রোপলিটান ইনষ্টিটিউশন এবং পরে ১৮৭২ খ্রী. কলেজে রূপান্তরিত হয় (বর্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ)। দেশীয় অধ্যাপকগণ দ্বারাই এই কলেজে ইংরেজী সাহিত্য পড়ান হত। সারা জীবন কঠোর সংগ্ৰামী, স্বজাত্যাভিমানী, কোনো কারণেই আপোস না করা-এই ছিল বিদ্যাসাগরের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। ফলে শেষ-জীবনে আত্মীয়-বন্ধুজন থেকে দূরে কার্মটারে সাঁওতালদের মধ্যে বসবাস করতেন। মাইকেল মধুসূদন তার সম্পর্কে লিখেছেন : ‘The genius and wisdom of an ancient sage, the energy of an Englishman and the heart of a Bengali mother’ রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘দয়া নহে, বিদ্যা নহে, ঈশ্বরচন্দ্রের প্রধান গৌরব তাহার অজেয় পৌরুষ, তাহার অক্ষয় মনুষ্যত্ব।’

Category: চরিতাভিধান
Previous Post:ঈশ্বরচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়
Next Post:উইলকিন্স, স্যার চার্লস

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑