• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

সমুদ্রসৈকতে – রোবেরতো বোলানিও

লাইব্রেরি » বিবিধ লেখার সংকলন » অনুবাদ » সমুদ্রসৈকতে – রোবেরতো বোলানিও

অনুবাদ: দিলওয়ার হাসান

হেরোইনের কপালে লাথি মেরে ছোট্ট শহরটাতে ফিরে আসি আর মেথোডোন খেতে আরম্ভ করি, যেটা কিনা বহির্বিভাগ ক্লিনিকে আমাকে দেওয়া হতো। প্রতিদিন ভোরে অন্য কিছুর জন্য জাগতে হতো না। টেলিভিশন দেখতে পারতাম আর সারা রাত ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করতে পারতাম; কিন্তু তা সম্ভব হলো না, কিছু একটা আমাকে চোখের পাতা বন্ধ করতে আর বিশ্রাম নিতে বিরত রেখেছিল, তা গ্রহণ করতে পারার আগ পর্যন্ত এটাই ছিল আমার রুটিন। কাজেই শহরের কেন্দ্রস্থলের এক দোকান থেকে কালো একটা সুইমিং স্যুট কিনে নিয়ে সমুদ্রসৈকতে চলে যাই। স্যুট ছাড়াও সঙ্গে নিই একটা তোয়ালে আর একটা ম্যাগাজিন। পানি থেকে খানিকটা দূরে তোয়ালেটা বিছিয়ে কিছুক্ষণ বই পড়ি। ভাবতে থাকি, পানিতে নামব, না নামব না। এ রকম করার পক্ষে অনেক কারণ ঘটেছিল; যদিও পানিতে না-যাওয়ার জন্যও তৈরি হয়েছিল অনেক কারণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সমুদ্র তটদেশে বাচ্চারা খেলছিল, কাজেই বাড়ি ফেরার আগে ওখানে বসে থেকে সময় নষ্ট করলাম। পরদিন ভোরে কিছু সানট্যান লোসন কিনে সমুদ্রসৈকতে চলে গেলাম এবং দুপুরের দিকে গেলাম বহির্বিভাগ ক্লিনিকে। মেথোডোনের ডোজ নিলাম আর পরিচিত মানুষজনের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ালাম। কেউ-ই বন্ধু নয় আমার, শুধুই পরিচিত, মেথোডোন নিতে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল। সুইমিং স্যুট পরিহিত অবস্থায় আমাকে দেখে অবাক হলো তারা। তবে তাদের খুব একটা উপেক্ষা করা গেল না। তারপর সৈকতে ফিরে গেলাম। এবার সাঁতার কাটার জন্য নার্ভ শক্ত করলাম, যদিও তা সম্ভব হলো না। তবে আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা যথেষ্ট ছিল, আর পরের দিন সমুদ্রসৈকতে চলে যাই। শরীরে সানস্ক্রিন মেখে বালুর ওপর ঘুমিয়ে পড়ি আর তরতাজা অনুভব করি। আমার পিঠটাও আর রোদে ঝলসে যাচ্ছিল না। এভাবে আরও একটা সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলো—হয়তো দুই সপ্তাহ। মনে নেই আমার, তবে একটা জিনিস নিশ্চিত ঘটেছিল। আমার ত্বক প্রতিনিয়ত কালো হয়ে যাচ্ছিল। প্রতিদিনই কারও সঙ্গে কোনোরকম বাক্যালাপ হচ্ছিল না। প্রতিদিনই ভালো বোধ করছিলাম, অথবা অন্য রকম লাগছিল। যদিও তা একই রকম ছিল না। আমার বেলায় মনে হচ্ছিল একই রকম। আর একদিন একজন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা সৈকতে এসে হাজির হলেন এবং এটা আমার কাছে স্পষ্ট ছিল যে, তাঁরা একসঙ্গে জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত করেছেন। বৃদ্ধা ছিলেন মোটাসোটা আর গোলগাল, তাঁর পাশ দিয়ে যিনি হাঁটছিলেন সারাক্ষণ, তাঁর বয়স ৭০-এর মতো হবে, চিকনচাকন শরীর। মনে হচ্ছিল একটা কঙ্কাল হেঁটে বেড়াচ্ছে। ওই ব্যাপারটা আমার দৃষ্টি কাড়ল, তবে সাধারণত সৈকতে কেউ এলে আমি ওদিকে তেমন একটা নজর দিই না। আমি তাঁর শীর্ণতার একটা কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা নিচ্ছিলাম। ব্যাপারটা প্রত্যক্ষ করে ভয় পেয়ে গেলাম—শিট! মনে হলো আমার দিকে একটা মরা মানুষ এগিয়ে আসছে, তবে সে আমার জন্য আসছিল না। তারা নিতান্তই বুড়ো বিবাহিত দম্পতি, পুরুষটির বয়স ৭৫ আর মহিলার ৭০ অথবা এর ধারেকাছে। অন্যদিকে মনে হলো, বৃদ্ধার স্বাস্থ্য জ্বলজ্বল করছে। বৃদ্ধ তাঁকে খুঁজে বেড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অথবা ওটাই ছিল তাঁর শেষ গ্রীষ্ম। আমার প্রাথমিক ভয় কেটে যাওয়ার পর তাঁর দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনা কঠিন হচ্ছিল। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল চামড়ায় মোড়ানো একটা কঙ্কাল। তাঁদের অগোচরে তাঁদের দিকে তাকানোর ব্যাপারটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়লাম। তারপর হাত-পা ছড়িয়ে বালুর ওপর বসে পড়লাম—দুই হাত দিয়ে ঢেকে ফেললাম মুখ, অথবা সমুদ্র-তীরবর্তী সমতল এলাকার একটা বেঞ্চে বসে শরীর থেকে বালু ঝাড়ার ভান করলাম এবং লক্ষ করলাম, বৃদ্ধ দম্পতি সব সময়ই রোদ-নিবারক ছাতা নিয়ে বিচে আসে, বৃদ্ধা খুব দ্রুত ছাতার ছায়ায় আড়াল করেন নিজেকে। তখন তাঁর পরনে সুইমিং স্যুট থাকে না, যদিও মাঝেমধ্যে তাঁকে আমি সুইমিং স্যুটসহ আবিষ্কার করেছি। তবে অধিকাংশ সময়ই তাঁর পরনে থাকে তাঁর নিজের শরীরের মাপের চেয়ে বড় গ্রীষ্মকালীন পোশাক; যে কারণে তাঁকে একটুখানি কম মোটা দেখায়। বৃদ্ধা ছাতার নিচে বসে খুব মোটা একটা বই পড়তে পড়তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন। আর তাঁর হাড্ডিসার স্বামী সুইমিং স্যুট পরে বালুর ওপর পড়ে থাকেন প্রায় একটা চামড়ার ফিতের মতো। তীব্র খিদে নিয়ে রোদের তাপ শোষণ করতে থাকেন যেন। তা দেখে আমার দূরের স্মৃতি স্মরণে আসে—মনে পড়ে হেরোইন আসক্ত সুখী, নির্বাক সেই মানুষদের কথা আর তাদের কর্মকাণ্ড। তখনই আমার মাথা প্রচণ্ডভাবে ব্যথা করতে থাকে। আমি বিচ থেকে সমুদ্র-তীরবর্তী সমতল এলাকায় চলে আসি। আর এক প্লেট হেরিংজাতীয় ছোট মাছ ও বিয়ার খাই, ধূমপান করি এবং বারের জানালা দিয়ে বিচের দিকে তাকাই। আবার যখন বিচে ফিরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে দেখতে পাই, বৃদ্ধা ছাতার নিচে আর বৃদ্ধ সূর্যের নিচে পুড়ে খাক হচ্ছেন, তখনই হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই কাঁদতে ইচ্ছে করে আমার। আমি তখন পানিতে নামি আর সাঁতার কাটতে শুরু করে দিই। যখন তীর থেকে অনেক দূরে গিয়ে সূর্যের দিকে তাকাই, ওটাকে তখন খুব অদ্ভুত লাগে। বিশালাকৃতির ও স্পষ্ট বলে মনে হয়, তখন আমি সাঁতরে তীরে (দুবার আমি ডুবতে বসেছিলাম) ফিরতে সক্ষম হই। তীরে পৌঁছেই শরীরটা তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে ওখানে থাকি। দ্রুত শ্বাস নিই, কষ্ট হয়; কিন্তু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে খুঁজি, হয়তো বালুর ওপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ি আর যখন জেগে উঠি সৈকত খালি হতে শুরু করেছে; কিন্তু তখনো তাঁরা ওখানে ছিলেন, ছাতার নিচে বৃদ্ধার হাতে ধরা একটা উপন্যাস আর বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে আছেন আকাশের নিচে। কোনো ছায়া নেই, মুখ খোলা, চোখ দুটো বোজা, তাঁর মাথার ওপর বিচ্ছিরি এক অভিব্যক্তি, যেন তিনি প্রতিটি সেকেন্ড অনুভব করার চেষ্টায় রত। অতিক্রান্ত সময় থেকে আনন্দ গ্রহণ করছেন। যদিও সূর্যের উত্তাপ দুর্বল হয়ে এসেছে, যদিও সূর্যটা ঢলে গেছে ভবনের অপর প্রান্তে, পাহাড়ের অন্যদিকে, কিন্তু তা যেন ওঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর তখন, সেই মুহূর্তে আমি সম্পূর্ণরূপে জেগে উঠি আর একদৃষ্টে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকি। পিঠে সামান্য ব্যথা অনুভব করি, যেন আমার ভাবনার চেয়েও বেশি পুড়ে গেছি। ওই বিকেলে ওখান থেকে উঠে পড়ার সময় ওঁদের দিকে তাকিয়ে থাকি, তোয়ালে দিয়ে ক্যাপের মতো করে মাথাটা ঢেকে রাখি। তখন সমুদ্র-তীরবর্তী সমতল জায়গাটাতে গিয়ে একটা বেঞ্চের ওপর বসে পড়ি। পা থেকে বালুকণা সরানোর ভান করি। ওখান থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে সম্পূর্ণ অন্য রকম লাগছিল। তখন মনে মনে বলি, সম্ভবত তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাননি। নিজেকে বলি, হয়তো সময়ের অস্তিত্ব নেই, হয়তো আছে মনে হয় এবং ক্রমাগত সময়ের কথা ভাবতে থাকি। আর তখন সূর্য দূরে চলে যেতে থাকে। ভবনের ছায়া সম্মুখে বিস্তৃত হয়, তখন বাড়ি ফিরে যাই, আর স্নান করি। আমার লালাভ পিঠের দিকে তাকাই, ওই পিঠটাকে আমার নিজের বলে মনে হয় না। মনে হয়, ওটা অন্য কারও, কেউ একজন যেন ওটা আমার কাছ থেকে বহু বছর আগে নিয়ে গেছে। তখন টেলিভিশনের দিকে চোখ ফেরাই ও অনুষ্ঠান দেখতে থাকি; যা বুঝতে আমি সম্পূর্ণ অপারগ ছিলাম। তারপর চেয়ারের ওপর ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন সবকিছু ছিল একই রকম: সমুদ্রসৈকত, ক্লিনিক, আবার সমুদ্রসৈকত, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, একেবারে রুটিনমাফিক। তবে সমুদ্রপাড়ের অন্যান্যের আনাগোনায় তা একটুখানি বিঘ্নিত হচ্ছিল ক্ষণে ক্ষণে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন মহিলার আগমন ঘটেছিল। সারাক্ষণই পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে সে, কখনোই বিচের ওপর শুয়ে পড়েনি। তার পরনে ছিল বিকিনি আর শরীরের ওপরের অংশে নীল টি-শার্ট। সমুদ্রের পানিতে যাওয়ার পর সে খুব কষ্টে হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে চলাফেরা করছিল। আর আমি তখন বৃদ্ধার মতো পড়ছিলাম একখানা বই। বৃদ্ধা তখনো দাঁড়িয়ে ছিলেন অলস ভঙ্গিতে, তবে খুব অদ্ভুতভাবে। মেয়েটি তখন আধা লিটার একটা পেপসির বোতল তুলে নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পান করেছিল আর বোতলটা রেখে দিয়েছিল তোয়ালের ওপর। শোবেই না যখন, তখন তোয়ালেটা সে কেন এনেছিল, জানি না। কেনই বা সে পানির ভেতর অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিল। আর কখনো কখনো এই মহিলা আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। তাকে এত অদ্ভুত লাগছিল যে তার জন্য মায়াই হচ্ছিল আমার। বিচে আমি অন্য আর একটা অদ্ভুত জিনিস দেখেছিলাম। ব্যাপারটা সব সময়ই ঘটে, হয়তো এ কারণে যে ওটাই একমাত্র জায়গা, যেখানে আমরা অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় থাকি, তবে তা খুব সাধারণ ব্যাপার, বড় কোনো বিষয় ছিল না। আর একদিন আমি যখন উপকূল দিয়ে হাঁটছিলাম, সাবেক নেশাখোর ধরনের একজন মানুষের দেখা পেয়েছিলাম। আর অন্য একসময় আমার মনে হয়েছিল কয়েকজন রুশ মেয়ে আমার চোখে পড়েছিল। তিনজন ছিল তারা। সম্ভবত তারা ছিল বেশ্যা, মোবাইল ফোনে কথা বলছিল আর হাসছিল খুব; কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, আমার আগ্রহ ছিল শুধু ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দম্পতির ব্যাপারে। এর আংশিক কারণ এই যে আমার মনে হচ্ছিল, বৃদ্ধ লোকটা যেকোনো মুহূর্তে মারা যাবেন। তখন আমি ব্যাপারটা ভাবলাম আর অনুধাবন করলাম কী ভাবছি আমি। কতগুলো বিসদৃশ ধারণার জন্ম হলো আমার ভেতর—বৃদ্ধ লোকটার মৃত্যুর পর একটা সুনামি হবে আর পানির প্রবল তোড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে গোটা শহর। হঠাৎ তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হবে আর তা হবে প্রচণ্ড বড় ধরনের। শহরটা গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাবে, ব্যাপারটা ভাবার সঙ্গে সঙ্গে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললাম আর কাঁদতে শুরু করলাম, কাঁদার সময় স্বপ্নে দেখলাম (কিংবা ভাবলাম) যে তখন গভীর রাত, হয়তো ভোর তিনটা। আর তখন বাড়ি ছেড়ে বিচে গিয়ে হাজির হলাম। দেখলাম, বৃদ্ধ ভদ্রলোক মুখ নিচে দিয়ে বালুর ওপর শুয়ে আছেন। আর আকাশের অন্যান্য তারার চেয়ে পৃথিবীর কাছাকাছি চকচক করছে কালো সূর্য, বিশালাকৃতির সূর্য, কালো আর নীরব-নিথর। আমি বিচের ওপর লুটিয়ে পড়লাম। সেখানে তখন কেবল দুজন মানুষ—বৃদ্ধ আর আমি। যখন চোখ মেলে তাকালাম, বুঝলাম, রুশ বেশ্যাগুলো দাঁড়িয়ে আছে আর সাবেক নেশাখোরের কোলে একটা শিশু—অনুসন্ধিৎসু চোখে আমাকে দেখছিল। হয়তো একে অপরকে জিজ্ঞেস করছিল, কে এই অদ্ভুত লোকটা, যার পিঠ আর কাঁধ সূর্যের তাপে জ্বলে গেছে। এমনকি ছাতার ছায়ার ভেতর থেকে বৃদ্ধা আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন, কিছু অন্তহীন সেকেন্ডের জন্য তাঁর পাঠ বিঘ্নিত হয়েছিল। হয়তো তিনি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কে এই ৩৫ বছরের যুবক, নীরবে কাঁদছে, কিছুই নেই যার; কিন্তু নিজের ইচ্ছেটা ফিরে পাচ্ছে, ফিরে পাচ্ছে তার সাহস আর সে জানে যে আরও কিছুটা বেশি সময় বেঁচে থাকবে সে।

[লেখক পরিচিতি: লাতিন আমেরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক রোবেরতো বোলানিওর জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৮ এপ্রিল, চিলির সান্তিয়াগোতে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন ট্রাকড্রাইভার আর মা স্কুলশিক্ষিকা।
১৯৬৮ সালে তাঁদের পরিবার মেক্সিকো সিটিতে চলে যায় জীবিকার অন্বেষণে। বোলানিওর পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। যুক্ত হন বাম রাজনীতির সঙ্গে।
প্রগতিশীল প্রেসিডেন্ট সালভাদর আয়েন্দের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য বোলানিও ১৯৭৩ সালে চিলিতে ফিরে আসেন। আর সে বছরই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের সমর্থনপুষ্ট জেনারেল পিনোশে পরিচালিত রক্তক্ষয়ী সামরিক অভ্যুত্থানে আয়েন্দে নিহত হন। স্বৈরাচারী সামরিক সরকার আয়েন্দে সমর্থকদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে ও ব্যাপক ধরপাকড় চালায়। বোলানিও গ্রেপ্তার হন। কারারক্ষীদের মধ্যে দুজন ছিলেন তাঁর স্কুলজীবনের বন্ধু। চিনতে পেরে তাঁরা বোলানিওকে ছেড়ে দেন। তিনি আবার মেক্সিকোতে ফিরে যান।
বোলানিও ছিলেন একাধারে কবি, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রোমান্টিক ডগ (কবিতা), স্যাভেজ ডিটেকটিভ, আমুলেট, বাই নাইট ইন চিলি, লাস্ট ইভনিংস্ অন আর্থ, দ্য ইনসাফারেবল গাউশো, দ্য সিক্রেট ইভিল, বিটুইন প্যারানথিথিস এবং ২৬৬৬। ২০০৩ সালের ২৮ জুলাই লিভারের জটিলতাজনিত রোগে বোলানিও মারা যান।]

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ২৯, ২০১১

Category: অনুবাদ
Previous Post:প্রেম বিষয়টি বরিশালের একটা ঐতিহ্যের মধ্যেই পড়ে – তপন রায়চৌধুরী
Next Post:মুক্তাগাছা – খোন্দকার আশরাফ হোসেন

Reader Interactions

Comments

  1. স্বজন

    August 25, 2013 at 11:40 pm

    ডিজিটাল ফরট্রেস,ইনফার্নো,এ্যন্জেল এ্যন্ড ডেমন্স,ডিসিপশন পয়েন্ট
    এইসব বইগুলো কি দেয়া সম্ভব?
    দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম।

    Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑