• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

যেভাবে মায়ের মন জয় করল বাবা – গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস

লাইব্রেরি » বিবিধ লেখার সংকলন » অনুবাদ » যেভাবে মায়ের মন জয় করল বাবা – গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস

আমার মা ডাঙ্গর হয়েছে নিরানন্দ দুর্দশার মধ্যে। ওর শৈশব ছিল ম্যালেরিয়া জ্বরের উপদ্রবে দিশেহারা। অবশ্য একবার রেহাই পাওয়ার পর সে পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। ওর স্বাস্থ্য কংক্রিট-ঢালাই হয়ে গেল এরপর। নিজের ৯৫তম জন্মদিন যখন সে উদ্যাপন করছে, ওর সঙ্গে তখন নিজের এগারোটি সন্তান, স্বামীর পক্ষের আরও চারজন, নাতি একুনে ৬৬ জন, পুতি ৭৩ জন, পুতির ঘরের ছানা সবে পাঁচ। যাদের কথা কেউ জানে না তাদের হিসাবে ধরা হয়নি।
আমার মার নাম ছিল লুইসা সান্তিয়াগো। কলোনেল নিকোলাস মার্কেস ও তার স্ত্রী ইগুআরন কোটসের তৃতীয় কন্যা। ইগুআরনকে আমরা ডাকতাম মিনা। ১৯০৫ সালের ২৫ জুলাই মার জন্ম হলো রানশেরফা নদীর ধারে, কলাম্বিয়ার বারানকাস শহরে। তখন সবে গৃহযুদ্ধের দাপুনি নিভে আসছে। ঠিক দুই বছর আগে ওর বাবা কলোনেল মার্কেজ এক মান-সম্মানের ডুয়েলে মেদার্দো পাচেকোকে খুন করেছে।
লুইসা সান্তিয়াগো ছিল গুরুজনের অনুগত, আর খুব অধ্যবসায়ী ধরনের ছাত্রী। ওর কুড়ি বছরের জীবনে প্রথম ওর ব্যক্তিত্বের জোর টের পাওয়া গেল তখন, যখন ওর পরিবার আবিষ্কার করল যে সে আরাকাতাকার এক উদ্ধত যুবা টেলিগ্রাফ অপারেটরের প্রেমে ফিদা হয়ে গেছে। লুইসার পরিবার ওই সর্বনাশা ডুয়েলের পর আরাকাতাকায় চলে এসেছিল।
আমার যৌবনের এক পরম বিস্ময় ছিল তাদের নিষিদ্ধ প্রেমের ইতিহাস। সে ইতিহাস এত অজস্রবার বাবা-মার মুখে শুনেছি—কখনো দুজনে একত্রে বলেছে, কখনো আলাদাভাবে—আমার তেইশ বছরে যখন প্রথম উপন্যাস লিখি, লিফ স্টোর্ম, গল্পটা তখন আমার মনে প্রায় খোদাই হয়ে ছিল। তখন উপন্যাসের কলাবিদ্যা সম্পর্কে আমি খুব সামান্যই জানি। ওরা দুজনই অসাধারণ গল্প বলত, ওদের ভালোবাসার স্মৃতি ঘাঁটতে বড় ভালোবাসত। ওদের গল্পে আবেগ আর কল্পনার খুব মিশেল থাকত। অনেক পরে যখন আমি পঞ্চাশ পেরিয়েছি এবং শেষতক স্থির করেছি ওদের গল্পটা আমি লাভ ইন দ্য টাইম অব কলেরা উপন্যাসে লিখব তখন জীবন আর কবিতার মধ্যে আমি ঠিক ভেদরেখা টানতে পারিনি।
আমার মার করা গল্প অনুসারে তাদের দুজনের দেখা হয়েছিল এক শিশুর মৃত্যুতে রাত্রি জাগরণের কৃত্যে। সে তার বান্ধবীদের সঙ্গে উঠোনে দাঁড়িয়ে গান করছিল। প্রচলিত রীতি অনুসারে নিষ্পাপ শিশুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নয় রাত্রি ধরে প্রেমগান করতে হয়। হঠাৎ একেবারে শূন্য থেকে এসে এক পুরুষ কণ্ঠ গলা মেলাল তাদের সঙ্গে। সব মেয়ে এক ঝটকায় ঘুরে দাঁড়াল লোকটার দিকে। খুব সুদর্শন এক পুরুষ গান করছে ওদের সঙ্গে, মেয়েরা বিস্মিত। ওরা সমস্বরে তালি বাজিয়ে গান গাইল, ‘এই পুরুষের গলে দেব মালা’। লোকটা কিন্তু আমার মাকে মুগ্ধ করতে ব্যর্থ হলো। মার মতে, ‘সে ছিল একটা উটকো লোক।’ লোকটার নাম গ্যাব্রিয়েল এলিজিও গার্সিয়া। তার একটা খ্যাতি দাঁড়িয়েছিল পরিশ্রমী, উড়নচণ্ডী আর মেয়ে-পটানো লোক হিসাবে। তার দীর্ঘ জীবনে সে অবশ্য কখনো সিগারেট বা মদ ছুঁয়ে দেখেনি।
মা বাবাকে দেখল এই প্রথম। তবে বাবা আগেই মাকে দেখেছে একবার। মাকে তখন তার মাসি, ফ্রান্সিসকা সিমোডেসি, পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। রাত্রি জাগরণের পরের ভোরে বাবা জেনে ফেলল, মা ছিল কলোনেল নিকোলাস মার্কেসের কন্যা, যার সঙ্গে আগেই তার দস্তুরমতো পরিচয় হয়েছে। সেই রাতের পর মা জানল, সে একজন ব্যাচেলর, প্রেম করার উপযুক্ত লোক বটে। খ্যাতি পাওয়ার মতো কিছু গুণ ছিল তার, খুব সুন্দর কথা বলে, সুললিত পদ্য লেখে, ওর দেহে নাচের মুদ্রাগুলো সহজে আসে, আর ভায়োলিন বাজায় এত নিপুণভাবে যে মনের নিপুণ তন্ত্রীতে গিয়ে টান পড়ে। মা বলত, তুই যদি ভোরের প্রথম আলোয় তার ভায়োলিন শুনিস, তোর খুব ইচ্ছা হবে প্রাণ খুলে কাঁদতে।
বাবা অচিরেই কলোনেলের বাড়িতে স্থান করে নিল। প্রথম দিকে দুজনের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। এটাকে ছল হিসাবে বুঝতে হবে। তখন নাকি বাবার সঙ্গে তার এক ক্লাসমেটের গোপন প্রণয়। মার এতে সায় ছিল। ওদের বিয়ে হলে সে ধর্ম-মা হবে এ রকম কথা ছিল (সে তাকে ডাকত ধর্ম-মা, আর সে ধর্ম-পুত্র)। লুইসা সান্তিয়াগোর ঘোর বিস্ময় কল্পনা করা তাই সহজ হবে যখন এক রাতে নাচের মধ্যে হঠাৎ সেই সাহসী টেলিগ্রাফ অপারেটর বোতাম-ঘর থেকে একটা ফুল বের করে তার হাতে দিয়ে বলল, ‘এই গোলাপের মধ্যে আমার গোটা জীবন তোমায় দিলাম।’
সেই সন্ধ্যায় নাচ শেষে সে ফুলটি ফেলে রেখে চলে গেল। মার সঙ্গে যখন তাদের প্রেম নিয়ে প্রথম আমার কথা হলো, তখন মার বেশ কটা ছেলেপুলে, মা কবুল করেছিল, ‘আমি তখন ঘুমাতে পারতাম না, কারণ তার কথা ভাবলেই আমার রাগ হতো; কিন্তু আমি তাকে নিয়ে ভাবছিলাম, আর রাগ বাড়ছিল, আর যত আমার রাগ বাড়ছিল তত আমি ভাবছিলাম ওর কথা।’ সপ্তাহের বাকি দিনগুলো তার কাটল এই ভয়ে যে তার সঙ্গে হয়তো দেখা হয়ে যাবে, আর এই নিদারুণ যন্ত্রণায় যে তার সঙ্গে হয়তো দেখা হবে না। এক বিকেলবেলা ওরা যখন কাঠবাদামগাছের নিচ দিয়ে যাচ্ছে, ওর মাসি ওকে দুষ্টুমিভরা চালাকি করে বলল, ‘লোকে বলছে তোমাকে কেউ একজন গোলাপ দিয়েছে।’
লুইসা সান্তিয়াগো জানল সবার শেষে যে তার হূদয়ের তোলপাড় সবার জানা হয়ে গেছে।
বাবা-মার সঙ্গে আমার অসংখ্য আলাপে একটা বিষয়ে তারা একমত হয়েছিল। তাদের তর্জন-গর্জন করা প্রেমে তিনটি চরম মুহূর্ত এসেছে। এক রোববার বাবা দরজার কাছাকাছি একটা থামের পাশে দাঁড়িয়েছিল, যেখান থেকে লুইসার পেছনটা দেখা যায়। কিন্তু তার দেখার কোনো উপায় নেই। দমবন্ধ কয়েক মিনিট পেরোনোর পর মা উৎকণ্ঠা ঝেড়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল। সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো, রাগে সে বোধ হয় মরে যাবে, সে দাঁড়িয়ে আছে ওখানে, তার দিকে তাকিয়ে। দুজনের চোখে চোখ পড়ল। পরে বুড়ো বয়সে গল্প করতে গিয়ে বাবা খুব তৃপ্ত স্বরে বলত, ‘আমি ঠিক এ রকমটাই প্ল্যান করেছিলাম।’ মাও এটা বলতে ভুলত না যে ওই ফাঁদে পড়ার জন্য তিন দিন সে কিছুতেই তার ক্রোধ বাগে আনতে পারেনি।
দ্বিতীয় মুহূর্ত এল তখন যখন সে একটা চিঠি লিখল তাকে। ভায়োলিনে অপূর্ব সেরেনেড বাজায় এ রকম কবির কাছে এই চিঠি কেউ আশা করে না। কয়েক ছত্রে তাকে ধৃষ্টতার সঙ্গে লেখা হচ্ছে, ফিরতি সপ্তার আগেই জবাব লিখতে হবে। সে কোনো জবাব দিল না। নিজের ঘরে বন্দী হয়ে গেল। সে পণ করল, প্রেমের এই কীটটাকে হত্যা করে ফেলবে, যে কীট তাকে এতটুকু হাওয়া ছাড়ছে না যে শ্বাস নিতে পারে। কিন্তু মাসি ওকে বোঝাতেই ও জল হয়ে গেল।
তৃতীয় মুহূর্ত এল এক জাঁকালো বিয়ের উৎসবে। লুইসা যখন দেখল সে তাকে পেরিয়ে যাচ্ছে, পরিষ্কার বুঝল, সে প্রথম নাচের নিবেদন করতে চায়। সে নিজের হূদয়কে আর মানাতে পারল না। ‘আমার এমন বুক ধড়ফড় করছিল, আমি বুঝতে পারছিলাম না রাগে না ভয়ে,’ পরে শুনেছি মার কাছে। বাবা ব্যাপারটা ধরতে পেরে এক প্রবল ঝাপটায় উড়িয়ে নিল মাকে, ‘তোমার মুখে বলার দরকার নেই। কারণ তোমার হয়ে তোমার হূদয় কথা বলছে।’ একটা কথাও না বলে সে নাচঘরের মাঝখানে তাকে ফেলে চলে গেল।
এরপর কয়েক মাস তারা আর যোগাযোগ করেনি। এক সপ্তায় মাসির কাছে ও শুনল, ‘তোমার মা জানে সবকিছু।’ ওদের প্রেমের ব্যাপারটা নিয়ে বন্ধুরা বিভক্ত হয়ে গেল, কেউ পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। বয়স্কদের অধিকাংশের চোখে লুইসা সান্তিয়াগো ধনী এবং পরাক্রমশালী পরিবারের অমূল্য রত্ন, যে এক ধান্দাবাজ টেলিগ্রাফ অপারেটরের পাল্লায় পড়েছে। আমার অনুগত মা এই প্রেম নিয়ে কেউ মন্দকথা বললে সদ্য জন্ম নেওয়া সিংহের মতো হিংস্রভাবে আক্রমণ করত। এসব দেখে মিনা খেপে গিয়ে একদিন নিজের মেয়েকে পাউরুটির ছুরি দিয়ে শাসাল। লুইসা তখন নির্বিকার দাঁড়িয়ে। মিনা হঠাৎ চেতন পেয়ে আর্তনাদ করে উঠল, ‘ও আল্লাহ!’ প্রচণ্ড অনুশোচনায় উনুনের কয়লার ওপর হাত চেপে ধরল সে।
গ্যাব্রিয়েল এলিজিওর বিরুদ্ধে প্রধান যুক্তি ছিল, সে জন্মেছে কুমারী মায়ের গর্ভে। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে, এক অসতর্ক মুহূর্তে, স্কুলশিক্ষকের সঙ্গে ভুলের খেসারত হিসেবে তার মা তাকে জন্ম দিয়েছে। তার মার নাম ছিল আরজেমিরা গার্সিয়া পাতেরনিনা। তার বয়স যখন ষোলো তখনই তার পাঁচজন কুমারী প্রেমিক জুটে গেছে।
এলিজিওকে নিয়ে বড় আপত্তি উঠেছিল এ জন্য যে সে একজন সক্রিয় রক্ষণশীল—কলোনেল নিকোলাস যে পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করছিল সেই পার্টির সদস্য। আর বাবা চিরকাল ছিল যতটা তাকে দেখায় তার চেয়ে গরিব, দারিদ্র ছিল তার এমন এক শত্রু যাকে কখনো বশে আনা যায়নি।
প্রথম প্রথম দুজন লুকিয়ে দেখা করত বন্ধুদের বাড়িতে। কিন্তু পথগুলো বন্ধ হতে হতে শুধু চিঠির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেল। একদিন মার কাছ থেকে বাবা হুঁশিয়ার হওয়ার মতো একটা চিঠি পেল। টয়লেট পেপারের ওপর সে দ্রুতহাতে লিখেছে, তাকে বারানকাসে নিয়ে যাওয়া হবে। তাকে জাহাজের বদলে নেওয়া হবে খচ্চরের গাড়িতে করে অতি ভয়ানক, দীর্ঘ এক পথ দিয়ে।
‘আমি বরং মরে যাব,’ বহু বছর পর মা বলেছিল আমাকে। সেই চেষ্টাও সে করেছিল, শোবার ঘরে দোর লাগিয়ে তিন দিন জল আর রুটি ছাড়া খায়নি কিছু।
পরে মাসিকে নিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করল। সে মাসিকে বলল, ‘ওর সঙ্গে আমাকে কিছুক্ষণ একটু একা থাকতে দিন। আমি তাকে খুবই জরুরি কিছু কথা বলব, অন্য কেউ শুনলে হবে না।’
‘কী অভদ্রতা!’ মাসি জবাব দিল, ‘এমন কিছুই তার শোনার দরকার নেই যা আমি শুনতে পারি না।’
‘তাহলে আমি কিছুই বলব না’, সে বলল, ‘কিন্তু আমি আপনাকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, যা কিছু ঘটবে তার জন্য আপনি দায়ী হবেন।’
লুইসা তখন মাসিকে মিনতি করল তাকে কিছুক্ষণের জন্য ছেড়ে যেতে। তারপর গ্যাব্রিয়েল এলিজিও কথা শুরু করল। বাবা-মা যেভাবে চাচ্ছে সেভাবেই তার যাওয়া উচিত। কিন্তু শর্ত হলো, তাকে শপথ করতে হবে যে সে তাকেই বিয়ে করবে। মা প্রসন্ন মনে শর্ত কবুল করল। শুধু মৃত্যুই তাকে বিয়ে থেকে বিচলিত করতে পারে।
এরপর এক বছর প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে তারা গভীর যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গেল। খচ্চরের গাড়িতে সিয়েরা নেভাদা যেতে লুইসার দুই সপ্তাহ লাগল। প্রচণ্ড গরমে সে হাসফাঁস করছিল। অনেক যন্ত্রণা, মান-অভিমান সেরে ও মার সঙ্গে গন্তব্যে পৌঁছাল। এলিজিও পরে টেলিগ্রাফে যোগাযোগের একটা পন্থা বের করে ফেলল।
মিনা একদিন বাসন-কোসন খুলতে গিয়ে একটা বিস্কুটের প্যাকেট খুলে মার প্রেমপত্রগুলো দেখে ফেলল। রাগে অন্ধ হয়ে শুধু একটা কথাই বলতে পারল সে, ‘খোদা অবাধ্যতার পাপ ছাড়া আর সবকিছু ক্ষমা করেন।’ লুইসাকে ওর ভাই জুয়ান ডি ডায়োসের তত্ত্বাবধানে সান্টা মার্টায় রেখে আসা হলো।
রিওহাচা টেলিগ্রাফ অফিসে তখনই নিয়োগ পেল এলিজিও। মা পাদ্রি পেদরো এসপেজোকে গিয়ে ধরলেন, যাতে বাবা-মার অনুমতি ছাড়াই বিয়ে হতে পারে। পেদরো মাকে সাহায্য করতে রাজি হলো, তবে আইন-কানুন লঙ্ঘন করে নয়। সে দুজনের সঙ্গে কথা বলে কলোনেল ও মিনার কাছে এক চিঠি লিখল। চিঠিতে পেদরো তার অন্তঃস্থ প্রত্যয়ের কথা জানালো যে, দুনিয়ার এমন কোনো শক্তি নেই যা ওদের বিচ্ছিন্ন করতে পারে। আমার নানা-নানী খোদার পরাক্রমের কাছে হার মানলো। তারা জুয়ান ডি ডায়োসকে কন্যার বিয়ের সর্বময় দায়িত্ব দিয়ে দিল। বিয়েতে তারা সশরীরের উপস্থিত না হলেও সম্মান দেখাতে ফ্রান্সিসকাকে পাঠিয়ে দিল।
আমার বাবা-মার বিয়ে হলো ১৯২৬ সালের ১১ জুন, সান্টা মার্টার গির্জায়। বিয়ে আরম্ভ হতে দেরি হলো ৪০ মিনিট, কারণ কনে বিয়ের তারিখ ভুলে গেছিল। বিয়ের রাতেই ওরা জাহাজে চাপল, বাবাকে রিওহাচায় টেলিগ্রাফ অফিসের কাজে যোগ দিতে হবে। বিয়ের প্রথম রাত ওদের কাটল শারীরিক শুদ্ধতায়, জাহাজের দোলায় পীড়িত হয়ে।

অনুবাদ: তৈমুর রেজা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২২, ২০১১

Category: অনুবাদTag: তৈমুর রেজা
Previous Post:সাদা ফুল সাদা আগুন – ওমর আলী
Next Post:দৌড় – শওকত চৌধুরী

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑