• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

প্রাচ্যের ছহি খাবনামা

লাইব্রেরি » বিবিধ লেখার সংকলন » অনুবাদ » প্রাচ্যের ছহি খাবনামা

বঙ্গোপসাগরের আন্দামানে নাকি নেকড়েমুখো মানুষ বাস করত। ১৫ শতকে প্যারিস থেকে প্রকাশিত বুক অব ওয়ান ভারত সম্পর্কে প্রাচীন গ্রিসের প্রত্যক্ষ জ্ঞানগম্যি কিছু ছিল না। মাঝখানে বিরাট পারস্য সাম্রাজ্য। এই পারস্যের ছাঁকনি দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে প্রাচ্যকে জেনেছে গ্রিস। প্রাচ্য সম্পর্কে ইউরোপের সেকালের ‘এক্সোটিক কল্পনা’ নিয়ে লিখেছেন মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ পল লুন্ডি। অনুবাদ করেছেন তৈমুর রেজা।

ভারত প্রসঙ্গে হেরোডেটাস সবার আগে সোনার কথা বলেছেন। হেরোডেটাস জানাচ্ছেন, সম্রাট দারিয়ুস যে ১৯টি করদরাজ্য থেকে নিয়মিত রাজস্ব পেতেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ আসত ভারত থেকে: ‘ভারতবর্ষ আমাদের জানা পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। তারাই দারিয়ুসকে সবচেয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দিত: ৩৬০ সোনার ট্যালেন্ট [প্রাচীন যুগে প্রচলিত ধাতব মুদ্রা]।’ ভারতীয়রা দারিয়ুসকে খাজনা দিত এই কথাটা অবিশ্বাস্য। তাতেও কিন্তু হেরোডেটাস যে-সংখ্যাটার কথা উল্লেখ করেছেন তার গুরুত্ব খর্ব হয় না। আমরা এখানে ভারত সম্পর্কে দুটো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাই: হেরোডেটাসের সময়েই ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল ও সমৃদ্ধ স্থান হিসেবে সারা পৃথিবীতে স্বীকৃতি পেয়ে গেছে। এবং ভারত সোনা বানাতে জানে। ‘প্রাচ্যের ঐশ্বর্য’ নিয়ে ভারী সজীব এক ভাবকল্প আড়াই হাজার বছর আগেই তার ধ্রুপদী রূপ পরিগ্রহ করে ফেলেছিল। এই ভাবকল্পটি ইউরোপীয়দের আচ্ছন্ন করে রাখত।
দারিয়ুসের দরবারে খাজনা মেটাতে ভারতীয়রা কী উপায়ে সোনার জোগাড় করত, তার নিখুঁত বিবরণ হেরোডেটাসের গ্রন্থে আছে:
‘ভারতের পূর্বদিকে বালুর এক মরুভূমি আছে। সেখানে পেল্লাই সাইজের এক প্রজাতির পিঁপড়া দেখা যায়। পিঁপড়াগুলো আকারে শেয়ালের থেকে বড়, অবশ্য কুকুরের মতো অত বড় হবে না। এই অদ্ভুত জীবগুলো মাটি খুঁড়ে রাশি রাশি বালু উপরে ছুঁড়ে দেয়, আমাদের পরিচিত পিঁপড়াগুলো যেমন করে। বালুর মধ্যেই মিশে আছে প্রচুর সোনা। ভারতীয়রা মরুভূমিতে ঠিক এই জিনিসটারই তালাশ করে বেড়ায়। সোনার হদিস পাওয়া গেলেই তারা মস্ত মস্ত ব্যাগ বালি দিয়ে বোঝাই করতে থাকে। তারপর যত শিগগির সম্ভব ফেরার পথে দৌড় লাগায়। পারসিক গল্পগুলোতে এই পলায়নের ব্যাখ্যা আছে। মরুভূমির পিঁপড়াগুলো যদি কোনোমতে একবার মানুষের গন্ধ পায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে ওদের পিছু ধাওয়া করবে।’
পিঁপড়ার সঙ্গে সোনার এই গোঁজামিল সম্ভবত উদ্ভূত হয়েছে সংস্কৃত শব্দ পিপীলিকা থেকে। ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারত-এর এক জায়গায় পিপীলিকার উল্লেখ আছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ‘…তারা পিপীলিকা সোনা নিয়ে এল। পিপীলিকা পিঁপড়াদের বর হিসাবে এগুলো তারা পেয়েছিল।’ পিপীলিকা একটি রূপকধর্মী পদ। স্বর্ণচূর্ণ বোঝাতে এই পদটি ব্যবহূত হতো। হেরোডেটাসের সোনা ও পিঁপড়ার উপকথাটির সম্ভবত জন্ম হয়েছে এই রূপকের ছলনায়। কল্পনাটি উসকে দেওয়ার কাজ করেছেন একঝাঁক ধ্রুপদী লেখক। সোনার সঙ্গে পিঁপড়ার এই গাঁটছড়া মধ্যযুগের সাহিত্যে একটি বিশিষ্ট মোটিফ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। যখনই ভারত বা অন্য কোনো প্রাচ্যদেশের কথা উঠত অবধারিতভাবে এইসব অতিকায় পিঁপড়াদের তলব পড়ত। চৌদ্দ শতকের মহাব্যস্ত মিথ্যুক হিসাবে খ্যাত স্যার জন ম্যান্ডেভিলের কথা বলা যায়, যিনি সোনাখোদক এইসব পেল্লাই পিঁপড়াদের স্থাপন করেছেন ভারত সাগরের সুমাত্রায়। সুমাত্রা মানে ‘সোনা দ্বীপ’।
এই উপকথার আরেকটু বিশ্বাসযোগ্য রূপ হাজির করেছেন দশম শতকের লেখক বুজুর্গ ইবন শাহরিয়ার। তাঁর বয়ানে এভাবে উপকথাটিকে পাওয়া যাচ্ছে: বালুর মধ্যে সোনা পাওয়া যায় ঠিকই, তবে সোনা ঠেলে উপরে তুলবার কাজ পিঁপড়া করে না। সোনা উত্তোলনের কাজটা করে মানুষ। তারা সোনা সংগ্রহ করতে গিয়ে ‘পিঁপড়ার মতো সুড়ঙ্গ তৈয়ার করে। মাঝেমধ্যে বেড়ালের মত বড় বড় পিঁপড়ারা ঝাঁকবেঁধে ছুটে আসে, আর মানুষগুলোকে ছিঁড়ে টুকরো-টুকরো করে খেয়ে ফেলে।’
বুজুর্গ ইবন শাহরিয়ারের আখ্যানে এসব পিঁপড়া ভারতে বসবাস করে না। এদের বাড়ি পূর্ব আফ্রিকার জ্যাঞ্জ জনপদে। ভারত আর পূর্ব আফ্রিকাকে গুলিয়ে ফেলার এই প্রবণতা অতি প্রাচীন। সিন্ধু নদে আলেকজান্ডারের অভিযানের পরও এই বিভ্রান্তি নাছোড়বান্দার মতো অটল ছিল। আলেকজান্ডার ভারতে এসে হাতি ও কুমির দেখেছেন। একই ধরনের জীব আফ্রিকাতেও পাওয়া গেছে। এতেই অকাট্যভাবে প্রমাণ হয়ে গেল, এই দুটো কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত হবেই! এ রকম অনুমানসিদ্ধ জ্ঞানের চরম রূপ বোধ হয় এই সিদ্ধান্ত যে, গঙ্গা নদী প্রবাহিত হয়ে নীল নদে গিয়ে মিশেছে।
প্রাচ্যবিশারদদের মধ্যে ভারতকে নিয়ে আরেকটি উপকথা গড়ে উঠেছিল: এখানে অদ্ভুত সব গাছ আর দুর্লভ খনিজ রয়েছে। প্রাচ্য নিয়ে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা একটা প্রভাবশালী মোটিফ। সম্পূর্ণ রূপে ভারত বিষয়ে প্রথম যে বইটির কথা আমরা জানি সেটা লিখিত হয়েছে খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতকে। বইটি লিখেছেন তেসিয়াস নামের একজন গ্রিক ডাক্তার। তিনি পারস্যরাজের অধীনে নোকরি করতেন। এই বইতে যা কিছু আছে তার সবটাই জনশ্রুতি। পারসিক বিভিন্ন উৎস থেকে এসব উপকথার জন্ম হয়েছে। তেসিয়াসের বইতে সত্য আর অলীক কল্পনার মধ্যে কোনো ভেদরেখা নেই। বাস্তবের হাতি, লেজঝোলা বানর, কথা-কওয়া টিয়ার সঙ্গে পেঁচিয়ে আছে কল্পনাপ্রসূত দৈত্য সাইজের কুকুর, গলিত সোনার ঝরনা, আর মানুষমুখো বাঘ। তেসিয়াস লিখেছেন, ভারতে বসবাস করে পিগমিরা, যারা পাখির সাহায্যে শিকার ধরে। এখানকার পাহাড়গুলোতে সোনা-রূপা উপচে পড়েছে। অহোরাত্র এসব মূল্যবান ধাতুকে পাহারা দিচ্ছে ভয়ানক গ্রিফিন, নেকড়ের আকারের চারপেয়ে পাখি।
মোটকথা, প্রাচ্যে যা কিছু আছে তার সমস্তই বিরাট ও বেহ্তর। একই বিষয়ে হেরোডেটাসও নোক্তা দিয়েছেন: এখানকার ভেড়া আর ছাগলগুলো গাধার থেকেও বড় সাইজের। ব্যাবিলনে যেসব খেজুর পাওয়া যায় ভারতীয় খেজুর তার চেয়ে তিন গুণ বড়। এখানে একটা যাদুর ঝরনা আছে। এই ঝরনায় কেউ স্নান করলে তার মুখ দিয়ে কেবলই সত্য কথা বেরোয়—রাজাদের জন্য খুব উপকারী জিনিস! ভারতীয়দের কখনও দাঁতব্যাথা হয় না, মাথা ধরে না। এদের গড়পরতা হায়াত হচ্ছে দুশো বছর। কুকুরমুখো লোকেরা বাস করে পাহাড়ে। তারা কথা কইতে পারে না, শুধু থেমে থেমে হুঙ্কার দেয়। মহাত্মা আলেকজান্ডারের সিন্ধু অভিযানের পরই কেবল আমরা ভারত সম্বন্ধে আরও সংহত, বাস্তব ভূমির নাগাল পেলাম। তাঁর পারস্য অভিযানের মধ্য দিয়ে গ্রিকরা ৩২৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দেই ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে সিন্ধুনদের তীর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এই অভিযানের মাধ্যমেই প্রথম ভারতের মানুষজন, সরকার, রীতিনীতি, গাছপালা, জীবজন্তু এসব সম্পর্কে প্রত্যক্ষসূত্রে জানা গেল। আলেকজান্ডার নিজে ভারত সাগর বিহার করেছিলেন।
মেগাস্থিনিস ও ডেমিকাস দুজনেই কিছুকালের জন্য ভারতবর্ষে ছিলেন। পাটলিপুত্রে অবস্থিত চন্দ্রগুপ্তের মৌর্য দরবারের অসামান্য এক বিবরণ লিখে গেছেন মেগাস্থিনিস। এটা ৩০২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কথা। এসব বিবরণ ঐতিহাসিক স্ট্রাবোর মারফতে আমাদের হাতে পৌঁছেছে। তিনি বর্ণপ্রথার বিস্তারিত বয়ান লিখেছেন। রাজ্য চালনার নানা প্রথা, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের অবস্থা, সমৃদ্ধ বাজার, আর নিখুঁত শিল্পীদের কথা লিখেছেন।
এসবের বাইরে মেগাস্থিনিস আজব কিসিমের কিছু মানুষের কথা লিখেছেন। একদল লোককে তিনি বলেছেন এনোটকইটাস, এরা ঝড়বৃষ্টির মধ্যে গুটিসুটি মেরে কানের মধ্যে ঘুমিয়ে যেতে পারে। আরেক জাতের লোক মনোফথ্যালমাস, কপালের ঠিক মাঝখানে এদের চোখ। আর অপিসদোদাকতুলাস, এদের আঙুলগুলো ইচ্ছে হলে পেছন দিকে ঘোরানো যায়। ক্রেইনস আর পিগমিদের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধের বিবরণ দিয়েছেন তিনি। আর অবধারিতভাবেই সোনাখোদক পেল্লাই পিঁপড়েদের কথা আছে। এসব বিস্ময়কর উপকথা ইউরোপকে মধ্যযুগ পর্যন্ত আচ্ছন্ন করে রাখে। স্ট্রাবো ভারতকে বর্ণনা করেছেন ‘সকল জাতির মধ্যে বেহ্তর আর প্রভূত সুখী’ হিসেবে। সুখ বা সৌভাগ্যকে গ্রিক ভাষায় বলে ‘ইউডেয়মন’। এই শব্দটা যুগপৎ ভারত ও দক্ষিণ আরবের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হতো। সূর্যোদয়ের জনপদ প্রাচ্যে মানুষ সুখী আর সমৃদ্ধ। এটা প্রাচ্য নিয়ে পশ্চিমাদের ইউটোপিয়ার আরেকটি গুরুতর মোটিফ। এ দেশে মোহিনী খেতগুলো নানা মসলায় পূর্ণ, অমূল্য রত্ন গড়াগড়ি খাচ্ছে, অদ্ভুত গাছপালা আর জীবজন্তুতে ভরা এই দেশ। ভারতীয় রাজাদেরও একটি প্রতিমা গড়ে তোলা হয়েছিল চন্দ্রগুপ্তের আদলে। প্রাচ্য এমন একটি ভাবকল্প যেখানে সবাই স্বভাবগুণেই ইনসাফ করে। এদের শাসন করে প্রাজ্ঞ আইন।
প্রাচ্য সম্বন্ধে স্বচ্ছতর একটি ধারণা পেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয় রোমান যুগ পর্যন্ত। যিশুখ্রিষ্টের জন্মের ৭০ বছর পর গ্রিক ভাষায় রচিত দি পেরিপ্লাস অব এরিথ্রেয়ান সি নামের একটি বই লেখা হয়। এই ক্ষুদ্র অমূল্য গ্রন্থটির রচয়িতা সম্ভবত আলেকজান্দ্রিয়া থেকে আসা কোনো মিসরীয় বণিক। বইটি ফ্যান্টাসি থেকে পুরোপুরি মুক্ত। এরপর আরও নানা সূত্রে প্রচুর তথ্য জোগাড় হতে থাকে। মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পরই কেবল আমরা এই বিস্তৃত জনপদকে বাস্তবিকভাবে জেনেছি। তার আগ পর্যন্ত টুকরা-টাকরা কল্পছবির বদৌলতেই ভারতকে চিনতে হয়েছে।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ১১, ২০১১

Category: অনুবাদ
Previous Post:ঊনআশিতে – কাইয়ুম চৌধুরী
Next Post:বাংলাদেশ: সিক্স ডিকেডস

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑