• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

ধারাভাষ্য অমৃত

লাইব্রেরি » বাংলা কৌতুক » রম্য রচনা » ধারাভাষ্য অমৃত

ব্যাটসম্যান সজোরে ব্যাট চালালেন, ছক্কা হওয়ার সম্ভাবনা। কিনননতু ন্নাআআ…বোল্ড!
মেঘমুক্ত মাঠ, কর্দমাক্ত আকাশ, পিচের ওপর দিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বয়ে যেতে পারে।
মাঠ চলে গেল বলের বাইরে। দুঃখিত, দর্শকমণ্ডলী, আমি একটু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। আসলে বল চলে গেল সীমানার বাইরে।
বাংলাদেশের আশার ফুল আশরাফুল কিন্তু এখন ক্রিজে। সারা দেশের মানুষ তাঁর ব্যাটের দিকে তাকিয়ে আছে।
বল হাতে নিয়ে ছুটে আসছেন জয়ের মূল এনামুল, বল হাতে তাঁর মতো ভয়ানক বোলার কিন্তু আমি খুব কমই দেখেছি। আজ কিন্তু যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হলে আমরা আজ আবার আগের মতো ফলই হয়তো দেখতে পাব।
মোহাম্মদ আশরাফুল, সুন্দর একটি শট এবং আউট।
দৃষ্টিনন্দন মার, চোখ দিয়ে চেয়ে দেখার মতো শট, বল চলে গেল মাটি কামড়ে সোজা ফাইনলেগ ফিল্ডারের হাতে…একটি রান।
এনকালা, তিনি নামেও কালা, দেখতেও কালা।
রফিক স্টিয়ার করলেন এবং ভেসে ভেসে চার।
দুই কমেন্টেটর কথোপকথন: আমার মনে হয়, সেলিম মালিকের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ক্রিকেট মিশে আছে।
: আমার মনে হয়, সেলিম মালিকের লোমে লোমে ক্রিকেট মিশে আছে।
এবার কিন্তু ব্যাট আর বলে হয়েছে। (কী হয়েছে?)
বাটসম্যান অত্যন্ত আস্থার সঙ্গে প্রতিটি বলের মেধা ও গুণাগুণ বিচার করে খেলছেন।
আম্পায়ারকে অতিক্রম করে বোলার বল করলেন।
এবার কিন্তু ব্যাটসম্যান সজোরে স্টিয়ার করলেন।
সুধী দর্শকমণ্ডলী, ঢাকা বঙ্গবন্ধু এক নম্বর জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। আজকের ম্যাচে মোকাবিলা করবে এশিয়ার দুই ফুটবল পরাশক্তি বাংলাদেশ ও কাজাখস্তান।
সপাটে চালিয়েছেন এবং একটি রান।
আলফাজ….ভুল পাস।
এবার কিন্তু সবুজ ঘাসে চুমু খেতে খেতে বল চলে গেল সীমানার বাইরে। চারটি রান।
আজকের খেলায় পরাজিত হলে বাংলাদেশ পূর্ণ দুই পয়েন্ট অর্জন করবে।
বাংলাদেশ ৪৮ ওভার খেলে ১২৪ রানের টার্গেট অর্জন করতে সক্ষম হয়।
এইবারে কিন্তু চার…না আউট হয়ে গেলেন ব্যাটসম্যান। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের, দুর্ভাগ্য গোটা জাতির।
নাম তাঁর পানিয়াঙ্গারা হলেও বলগুলো যে তাঁর পানির মতো সহজ, সেটি কিন্তু বলা যাচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে মাঠের উত্তর পাশে পুলিশের মৃদু লাঠিচার্জ।
তিনি ক্রিকেট খেলতে তাঁর নিজের দেশ থেকে উড়ে এসেছেন।
সুড়ঙ্গের শেষে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আলো দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু আলোটা সম্ভবত কোনো ট্রেনের হেডলাইটের। ওই ট্রেনে এবার ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কাটা পড়বেন।
অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন! তামিম ইকবালকে আমরা অভিনন্দন জানাই। এইমাত্র তিনি হাফসেঞ্চুরি করার যোগ্যতা অর্জন করলেন।
বলটা যে কত জোরে ছিল, স্লো মোশন রিপ্লের কারণে সেটা আপনারা বুঝতে পারছেন না।
বোলার জহির খান। নতুন ওভার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ধীর পায়ে এগিয়ে এলেন। ট্রাউজার খুলে আম্পায়ারের হাতে দিলেন…
চোখ চেয়ে দেখার মতো স্কয়ার কাট। বল লং অন দিয়ে চলে গেল সীমানার বাইরে।
বোলারস ব্যাক ড্রাইভ। ফিল্ডাররা চেয়ে চেয়ে দেখলেন। থার্ডম্যান দিয়ে বল সীমানার বাইরে চলে গেল।
চমত্কার শট! এক্সেলেন্ট শট। লেগ গ্লান্স। বল সীমানার বাইরে। কিন্তু না… বোল্ড হয়ে ফিরে আসছেন আশরাফুল। (বল লেগ স্ট্যাম্পে লেগে সীমানার বাইরে চলে গিয়েছিল।)
মাআথাআ নিচু করে আআস্তে আআস্তে প্যাভিলিয়নের দিকে ফিরে আসছেন বুলবুল।
ওখানে আলফাজ। চমত্কারভাবে দুইজনকে কাটিয়ে সুন্দরভাবে এগিয়ে গেলেন আলফাজ! বারে শট নিলেন। কিন্তু না, ভুল পাস!
উইকেটে আছেন মারমুখী, হার্ডহিটিং ওপেনার জাভেদ ওমর। যাঁর হাতে আছে বলার মতো অনেক অনেক শট।
ব্যাটসম্যান দেখে, শুনে বল ছেড়ে দিলেন। এবং বোওওল্ড!
চোখ চেয়ে দেখার মতো শঅঅট… কিন্তু…আউট আউট আউট। আউট হয়ে ফিরে এলেন তিনি।
আম্পায়ার কিন্তু আঙুল উঁচু করে জানিয়ে দিলেন, ব্যাটসম্যান আকরাম, তুমি আউট।
এই বলে কিন্তু রান পাবেন না।
বাউন্সার। বল এত উঁচু থেকে গেল যে ওপরে কোনো বিমান থাকলে যাত্রীরা আহত হতে পারতেন!
শুনুন, এই অজিত আগারকার যদি অলরাউন্ডার হয়, আমি তাহলে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান।
শ্রীলঙ্কার স্কোর এখন মুম্বাইয়ের ট্যাক্সি মিটারের মতো এগিয়ে যাচ্ছে।
খুবই ধীর এবং নিষ্ফলা একটা সেশন কাটল, তবে বিরক্তিকর নয়। কারণ যথেষ্ট গতি আর আনন্দ ছিল।
রেফারি কিন্তু আসলে মোটেও পক্ষপাতদুষ্ট নন। এই লোকটা আসলে একটা ফালতু।
এই স্ট্রাইকার ফুটবলের কিচ্ছুই জানে না। তার ধারণা, ‘ড্রিবলিং’ এক ধরনের নতুন চকলেটের নাম।
এক নম্বরে থাকা গাড়িটা খেয়াল করুন। একেবারেই অনন্য (ইউনিক)। ঠিক দুই নম্বরে থাকা গাড়িটার মতো দেখতে।
বক্সিংয়ে এ ধরনের ঘুসিতে কখনো কখনো কিছু ইনজুরি হয়। কেউ কেউ মারাও গেছেন। তবে কখনোই গুরুতর কিছু ঘটে না।
মাঠের সব জায়গায় ম্যারাডোনা। আমার ধারণা, এগারোজন ম্যারাডোনা নামিয়েছে তারা।

ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২৩, ২০০৯

Category: বাংলা কৌতুক, রম্য রচনা
Previous Post:হাড় কাঁপানো শীতের গল্প
Next Post:ফুলুয়ে-দুম্বা ও নরেঞ্জি সাহেব

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑