• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

একটি অন্য রকম বাজেট বক্তৃতা

লাইব্রেরি » বাংলা কৌতুক » রম্য রচনা » একটি অন্য রকম বাজেট বক্তৃতা

প্রতিবছর বাজেট মানেই একটি নাতিদীর্ঘ ‘বাজেট বক্তৃতা’। সেই বক্তৃতা অনেকের কাছে এতই দুর্বোধ্য ও বোরিং মনে হয় যে অনেকেই তা শুনতে চায় না। কিন্তু বাজেট বক্তৃতাটি একটু অন্য রকম হলে তা হয়ে উঠত বেশ জনপ্রিয়। সে রকমই একটি কাল্পনিক বাজেট বক্তৃতার নমুনা জানাচ্ছেন মহিতুল আলম ও ফাল্গুনী।

২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটের পূর্ণ বিবরণ
মাননীয় স্পিকার
১। এই জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ দিকে আষাঢ়ে বৃষ্টিস্মাত সুন্দর এক বিকেলে আমাকে বাজেট উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। জ্যৈষ্ঠের রসাল ফল এখন দেশের সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। এমন মনোরম সময়ে বাড়িতে ফলোৎসব না করে আমি দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করছি।
২। বাংলাদেশে সমস্যার কোনো শেষ নেই। এই সমস্যাগুলো সমাধানের অনেকটাই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে। তাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ওপর দিয়ে ‘আইলা’ চলে গেলেও আমরা আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

বিশ্বমন্দা
মাননীয় স্পিকার
৩। ‘আইলা’ শুধু আমাদের দেশ নয়, বলা যায় বিশ্বের সামগ্রিক অর্থনীতির মধ্যেই বিরাজমান। বিশ্বমন্দার কারণে আমেরিকাই যেখানে নাজেহাল সেখানে তার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়তে পারে। কিন্তু আমরা তা পড়তে দিইনি।

শিক্ষা
মাননীয় স্পিকার
৪। বরাবরের মতো এবারও সরকার শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। ···শিক্ষার কথা যখন এলই তখন শিক্ষা নিয়ে দু-একটা জোক্‌স না বললেই নয়-
ক· শিক্ষক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করছেন, তোমাকে শিক্ষা ও টাকা দুটির মধ্যে একটি নিতে বললে কোনটি নেবে?
ছাত্রঃ টাকা।
শিক্ষকঃ টাকা? আমি হলে কিন্তু শিক্ষাই নিতাম।
ছাত্রঃ স্যার, যার যা অভাব সে তো তাই নেবে!
খ· শিক্ষকঃ ৫টা প্রাণীর নাম বলো।
ছাত্রঃ স্যার, চারটা হাতি আর একটা বিড়াল!
মাননীয় স্পিকার
৫। নোট বই পড়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় কৌতুকটির মতোই ভুল শিক্ষা লাভ করছে। তাই আমরা পাঠ্যবই ফ্রি দেব।

যোগাযোগ খাত
মাননীয় স্পিকার
৬। দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে রাস্তা রয়েছে ০·৭ কিমি। আমাদের উচিত রাস্তা চওড়া করা এবং আরও সেতু নির্মাণ করা। সেতু প্রসঙ্গে একটি গল্প মনে পড়ে গেল-
জনৈক ড্রাইভার আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞেস করল, আপনি এভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন কেন?
ড্রাইভারঃ আসলে আমি প্রথমে দেখলাম একজন মানুষ, তাকে সাইড দিলাম, তারপর দেখলাম একটা ছাগল, তাকে সাইড দিলাম। এরপর একটি সেতু দেখলাম, তাকেও সাইড দিতে গিয়েই এ অবস্থা।
৭। আমাদের বাজেটকে সবাই সব সময় ‘গরিব মারা বাজেট’ বলে থাকে। তাই আমরা এবার একটি ‘বড়লোক মারা বাজেট’ প্রণয়ন করতে চাই। এরই ধারাবাহিকতায় আমি গাড়ির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিচ্ছি।

স্বাস্থ্য খাত
মাননীয় স্পিকার
৮। স্বাস্থ্য খাতে এবার আমি ব্যাপক জোর দেওয়ার প্রস্তাব করছি।···আমাদের এ বাজেট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে বলে আশা করছি-

কৃষি
মাননীয় স্পিকার
৯। কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানো এখন অতীব জরুরি। তাই আমরা কৃষি খাতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে প্রস্তাব করছি। এতে খরচ হবে···এ বাজেট বাস্তবায়িত হলে কৃষকেরা কুদ্দুস বয়াতির ওই বিজ্ঞাপন চিত্রের মতোই হাসবে আর গাইবে।

১০। তা ছাড়া এখন মানুষ কৃত্রিম পণ্য খেতে খেতে ভুলে গেছে সত্যিকার কৃষিজ ফসলের স্বাদ। অনেকেই বাজেটের সঙ্গে মুলা ঝোলানোর তুলনা করেন। আমরা তাঁদের জন্য দেখাতে চাই একটি আসল মুলার ছবি।

তথ্যপ্রযুক্তি
মাননীয় স্পিকার
১১। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের জন্য এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমি কম্পিউটারের দাম কমানোর প্রস্তাব করছি। কম্পিউটার প্রসঙ্গে একটি জোক্‌স তবে বলেই ফেলি-
ইন্টারভিউয়ের সময় প্রশ্নকর্তা জানতে চাইলেন, আপনার স্পিড কত?
কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি প্রার্থী বললেন, ২৫।
প্রশ্নকর্তা বললেন, মাত্র ২৫।
প্রার্থীর জবাব, সরি। মিনিটে এর চেয়ে বেশি ভুল করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

তামাক ও তামাকজাত পণ্য
মাননীয় স্পিকার
১২। দেশের যুবসমাজকে সিগারেট ও মাদকের হাত থেকে বাঁচানো জরুরি।···তাই আমি সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করছি। এমনিতেই সিগারেটের কুফল সম্পর্কে সবাই জানে। যা হোক, বাজেটের এ পর্যায়ে আমি নিচ্ছি ‘পান সুপারি বিরতি’। বিরতির পর আমরা আবার ফিরে আসব।
মাননীয় স্পিকার
১৩। বিরতির পর আবারও স্বাগতম। আমি যে বাজেট প্রস্তাব করলাম সে সম্পর্কে যে কেউ পরামর্শ দিতে পারেন। আমরা সেগুলো গ্রহণ করব। এ ব্যাপারে ফেসবুকে একটি গ্রুপ খোলা হয়েছে।

মাননীয় স্পিকার
১৪। আশা করি, বাজেটের মতো জটিল একটি বিষয় আমি অনেক সহজ করে বুঝিয়েছি। এই দীর্ঘ বক্তৃতায় আপনিসহ আপামর জনগণ তথ্যের সঙ্গে বিনোদনও পেয়েছে। এতে জনগণ নিশ্চয়ই বাজেটের পুরোটা বুঝতে পেরেছে। কারণ যে তথ্য বিনোদনের সঙ্গে পরিবেশিত হয় না, সেটা মানুষ নিতে পারে না। স্বাধীন বাংলায় এই প্রথম আমরাই কেবল তা পেরেছি। বিগত সরকারগুলো কিন্তু তা পারেনি।

১৫। বাজেট প্রস্তাবনা এখানেই শেষ হলো।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৫, ২০০৯

Category: বাংলা কৌতুক, রম্য রচনা
Previous Post:বাজেটীয় ব্যাখ্যা
Next Post:পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ব্লটিং পেপার সরবরাহ করা উচিত – বিন্দু

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑