• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

তখন সুনামগঞ্জে বহু গান গেয়েছি

লাইব্রেরি » বাংলা লিরিক্স » ফোক গান » তখন সুনামগঞ্জে বহু গান গেয়েছি
তখন সুনামগঞ্জে বহু গান গেয়েছি।
মানুষের ভালোবাসা আনন্দ পেয়েছি ॥

সুনামগঞ্জবাসী গানকে ভালোবাসতেন।
নানা স্থানের বাউলগণ তখন আসতেন ॥

দুর্বিন শাহ-কামাল উদ্দিন-আবদুস সাত্তার।
বারেক মিয়া-অমিয় ঠাকুর-আসকর আলী মাস্টার ॥

আসর হলে নিমন্ত্রণ আমিও পাইতাম।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে গান তখন গাইতাম ॥

ছোটো একটি বই ছাপার উদ্যোগ নিলাম।
সুনামগঞ্জের রায় প্রেসে বই ছাপতে দিলাম ॥

‘আফতাব সঙ্গীত ছিল বইখানার নাম।
আবদুল করিমের গান বারো আনা দাম ॥

বই ছাপা করে গেলাম মুর্শিদের কাছে।
মুর্শিদ বললেন, তোমার সঙ্গে আলোচনা আছে ॥

মনে যে দুর্বলতা বিবাহ করবে না।
বিয়ে করে সংসারের ফাঁদে পড়বে না ॥

তুমি তোমার পিতামাতার একমাত্র ছেলে।
সর্বদা ভ্রমণে থাক তাহাদের ফেলে ॥

এই অবস্থায় বল তুমি কতদিন রবে।
পিতামাতার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে হবে ॥

এখন এক অন্য পরিবেশে পড়িবে।
কিছুদিনের মধ্যেই তুমি বিবাহ করিবে ॥

নিয়তির বিধানে তোমাকে যাহা দিবে।
মনানন্দে তুমি তাহা গ্রহণ করে নিবে ॥

মুর্শিদের কথা শুনে নীরব রইলাম।
পরের দিন বাড়ির পথে রওয়ানা হইলাম ॥

রাস্তার পাশে বাড়ি এক ধর্ম-মেয়ে ছিল।
দেখা পেয়ে প্রায় জোর করে তার বাড়িতে নিল ॥

কী করা যায় সেই দিন সেখানে রইলাম।
ধর্ম-মেয়ের বাড়িতে মুসাফির হইলাম ॥

ধর্ম-মেয়ের পড়শি এক গরিব কৃষক ছিল।
এই ভদ্রলোক আমাকে দাওয়াত করে নিল ॥

পরে জানিলাম তত্ত্ব বহুদিন ধরে।
আমার মুর্শিদকে তারা শ্রদ্ধা ভক্তি করে ॥

এদের ব্যবহারে মন আকৃষ্ট করিল।
তাদের এক মেয়ে আমার চোখে পড়িল ॥

দেখা মাত্র কী যেন এক অবস্থায় পড়লাম।
আপন মনে অনেক বিচার করলাম ॥

স্বামী স্ত্রী দুইজন তারা ছেলে মেয়ে আছে।
সম্পদ বলতে কিছুই নাই দুঃখে কষ্টে বাঁচে ॥

এক মেয়ে উপযুক্ত প্রায় বিবাহের সময়।
অর্থ সম্পদ না থাকাতে মনে বড় ভয় ॥

সুস্থির মতিগতি সরল শান্ত মন।
গরিবের কুঁড়েঘরে রয়েছে এই ধন ॥

মুর্শিদ আমায় হুকুম করলেন বিবাহ করিতে।
দায়িত্ব মোর অচেনা এক পাখি ধরিতে ॥

সিদ্ধান্ত নিলাম অনেক চিন্তা ভাবনার পরে।
এই মানুষকে নিব চিরসঙ্গিনী করে ॥

পরের দিন বাড়ির পথে যখন চললাম।
ধর্ম-মেয়েকে ডেকে তখন বললাম :
আমার মনের কথা গো মা তোমাকে জানাই।
এই গরিব কৃষকের মেয়েকে আমি চাই ॥

এই কথাটি গো মা তোমাকে যাই বলে।
আমি কিছু জানি না কী হইবে ফলে ॥

ধর্ম-মেয়ে আমার কথায় গুরুত্ব দিল ।
সূক্ষ্ম মনে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিল ॥

মেয়ের পিতার সঙ্গে আলোচনা করে।
একমত হইল যে বহু চেষ্টার পরে ॥

মেয়ের পিতামাতা কথা যখন দিল।
ধর্ম-মেয়ে পরে অন্য ব্যবস্থা নিল ॥

মুর্শিদ সাহেবকে মেয়ে দাওয়াত করিল।
শক্ত করে মুর্শিদের চরণে ধরিল ॥

মেয়ে বলল সেবা করার ক্ষমতা মোর নাই।
তবুও যে আপনার চরণধুলা চাই ॥

অদ্য না হয় বলেন কবে যাইতে পারেন।
কথা দেন নইলে আমাকে প্রাণে মারেন ॥

কবে আসিবেন মুর্শিদ এই কথা যখন পাইল।
তখন আমার পিতাকেও আনিতে চাইল ॥

পিতা এবং মুর্শিদ সাহেব কথা দিলেন।
তারিখ অনুযায়ী তারা উপস্থিত ছিলেন ॥

গ্রামের মুরব্বি খানাপিনার পরে।
মেয়ে তখন তার কথা তুলে ধরে ॥

শাহ আবদুল করিম ধর্ম-পিতা আমার ।
এই দেখেন এক গরিব লোক নাই খেতখামার ॥

ওনার এক মেয়ে আছে শান্ত-শিষ্ট অতি।
দেখিতে সুশ্রী এবং অতি বুদ্ধিমতী ॥

তখন মেয়েকে এনে সামনে ধরিল।
মেয়ে মুরুব্বিদের সালাম করিল ॥

ধর্ম-মেয়ে বলল, আমার আবেদন জানাই।
এই মেয়েকে আমার পিতার জন্য চাই ॥

এই হলো আমার আশা অন্য কিছু নয়।
পির সাহেব বলিলেই আমার আশা পূর্ণ হয় ॥

মুর্শিদ বললেন, সৎকর্ম উদ্দেশ্য যখন সৎ।
এই বিষয়ে তোমার সঙ্গে আমি একমত ॥

পিতা বললেন, পির সাহেব বলিলেন যাহা।
আমিও শ্রদ্ধাভরে মেনে নিলাম তাহা ॥

এখন সম্পূর্ণ কথা শেষ হয়ে রবে।
সময় সাপেক্ষে কাজ সম্পন্ন হবে ॥

ধর্ম-মেয়ে বলল, আমার অন্য কথা নাই।
আমি শুধু আপনাদের আশীর্বাদ চাই ॥

আমি আপনাদের কোনো দাযিত না দিয়া।
আমি আমার পিতাকে করাইব বিয়া ॥

পারি যদি দশ টাকায় কর্ম সারিব।
পারি যদি দশ হাজার খরচ করিব ॥

এরপরে বিবাহের দিন ধার্য হলো।
মুর্শিদ বললেন, সবে এখন আলহামদু বলো ॥

মনানন্দে সবাই তখন আলহামদু বললেন।
শুভ মিলনের জন্য মুনাজাত করলেন ॥

মুর্শিদ যে দিন ধার্য করেছিলেন।
সময়ে কাজ সম্পন্ন করে দিলেন ॥

গরিব কৃষকের মেয়ে কুঁড়েঘরে ছিল।
জীবন সঙ্গিনী রূপে এসে যোগ দিল ॥

সরল শান্ত শুদ্ধমতি সে হলো সুজন।
অশান্ত চঞ্চল আমি হলেম অভাজন ॥

সৎচরিত্র মন পবিত্র ছিল তার গুণ।
সরল বলেই নাম হলো তার সরলা খাতুন ॥

সরলা হতে যে সাহায্য পেয়েছি।
সরলার কাছে আমি ঋণী রয়েছি ॥

খাঁটি মা হবার গুণ সরলার ছিল।
মা বলে কত ছেলে চরণধুলা নিল ॥

সৎসঙ্গ স্বর্গবাস শুনি লোকে বলে।
মাতৃমঙ্গল পরশমণি ভাগ্যে যদি মিলে ॥

গরিব কৃষক হলেন আবদুর রহমান নাম ।
সুনামগঞ্জের অন্তর্গত আসামমুড়া গ্রাম ॥

পিতামাতা আছেন আর বিবাহ করলাম ।
তখন এক অসহায় অবস্থায় পড়লাম ॥

দায়িত্বভার পূর্ব থেকেই মাথায় নিয়েছি।
বোন ছিলেন পাঁচজন বিবাহ দিয়েছি ॥

সম্পদ বলতে কিছুই নাই আমি শুধু আছি ।
প্রধান ভাবনা হলো কী করে যে বাঁচি ॥

বেঁচে থাকতে হলে যে খাওয়ার দরকার।
রোগ হলে প্রয়োজন সুচিকিৎসার ॥

বাসস্থান প্রয়োজন থাকতে যখন হবে।
শিক্ষা বিনে মানুষ কি পশু হয়ে রবে? ॥

বাঁচতে হলে যে নিরাপত্তা দরকার।
মনে ভাবি আমি এখন কী করিব আর ॥

অন্য কোনো উপায় নাই গাই শুধু গান।
জীবন নদীতে নৌকা বাইতে হয় উজান ॥

ভ্রমণে থাকি সদা আমি নহি স্থির।
মনোকষ্টে সরলার চোখে ঝরে নীর ॥

সরলা বলেন একদিন, কী অবস্থায় চলি।
অন্তরে ব্যথা হয় কার কাছে কী বলি ॥

বৎসরে এগারো মাস তোমায় ছাড়া থাকি।
নিরাশার আঁধারে পড়ে কাঁদে প্রাণ পাখি ॥

অনাহারে থাকি যেদিন অন্য উপায় নাই।
তখন শুধু তোমার আশায় পন্থপানে চাই ॥

সরলা শান্তিতে ছিলেন পিতামাতার ধারে।
আশা দিয়ে এনে আমি দুঃখ দিলাম তারে ॥

পিতামাতা আমার আশায় চেয়ে থাকেন।
আমার মঙ্গল কামনায় খোদাকে ডাকেন ॥

কে সরলা কে করিম কেন যে কী করি।
অষ্টপাশে বাধা আছি কখন জানি মরি ॥

এই সমস্ত দুঃখের ছবি মনে যখন ভাসে।
অন্তরে অনুতাপ হয় চোখে জল আসে ॥
Category: ফোক গানTag: শাহ আব্দুল করিম
Previous Post:সুর তাল ছন্দে যখন গান গেয়ে যাই
Next Post:মনের বনে দোলা লাগে আসলো দখিন হাওয়া

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑