• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Login/Register
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক্স
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

সুর তাল ছন্দে যখন গান গেয়ে যাই

লাইব্রেরি » বাংলা লিরিক্স » ফোক গান » সুর তাল ছন্দে যখন গান গেয়ে যাই
আত্মস্মৃতি

সুর তাল ছন্দে যখন গান গেয়ে যাই।
আমার জীবন কাহিনী ছন্দে লেখতে চাই ॥

আমার নাম আবদুল করিম উজান ধল ঠিকানা।
পোস্ট আফিস ধল বাজার দিরাই হলো থানা ॥

মহকুমা সুনামগঞ্জ সিলেট জেলা।
জন্ম আমার হাওরমাতৃক ভাটি এলাকায় ॥

মাতার নাম নাইওরজান বিবি লই পদধূলি ।
পিতার নাম মোহাম্মদ ইব্রাহীম আলী ॥

তেরোশো বাইশ বাংলায় জন্ম আমার ।
মা বলেছেন ফায়ুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার ॥

গরিব কৃষক পরিবারে জন্ম নিলাম ।
পিতা-মাতার প্রথম সন্তান আমি ছিলাম ॥

পিতা-মাতা রেখেছিলেন আবদুল করিম নাম ।
জানি না কেন যে বিধি হলো বাম ॥

এই দুঃখ কার কাছে কী বলি বলো না ।
স্কুলে লেখাপড়া করা মোর হলো না ॥

সমাজ ব্যবস্থা আমার পক্ষে ছিল না ।
তাই তো আমার খবর কেউ যে নিল না ॥

এই ভাবে লক্ষ লক্ষ করিম জন্ম নিল ।
এই ব্যবস্থা তাদেরও নিঃস্ব করে দিল ॥

জন্ম নিয়ে একজনের সান্নিধ্য পাইলাম ।
পিতামহের ছোটো ভাই নসিব উল্লা নাম ॥

ফকির ছিলেন করতেন সদা আল্লার জিকির ।
ফকিরি বিনে ছিল না অন্য ফিকির ॥

সংসারে ছিল না কোনো মায়ার বাঁধন ।
জীবনে উদ্দেশ্য ছিল আত্মসাধন ॥

শান্তমতি ঊর্ধ্বগতি জ্ঞানী স্থির ধীর ।
অবিবাহিত ছিলেন ত্যাগী ফকির ॥

যৌবন শেষে বার্ধক্য আসিলে পরে ।
মুসাফিরি ছেড়ে তখন বসে পড়েন ঘরে ॥

এই সময় আমি জন্ম নিলাম ।
জন্ম নিয়ে দাদার কোলে স্থান পেয়েছিলাম ॥

সংসারের কাজে মা ব্যস্ত থাকতেন ।
দাদা আমায় আদর করে কোলে রাখতেন ॥

আসতেন তখন ফকির সাধু হিন্দু-মুসলমান ।
লাউ বাজিয়ে গাইতেন তারা ভক্তিমূলক গান ॥

তখন যে গানটি আমার মন আকৃষ্ট করে ।
ভুলি না সে গানটির কথা আজো মনে পড়ে ॥

গানের প্রথম কলি ছিল–’ভাবিয়া দেখ মনে ।
মাটির সারিন্দারে বাজায় কোন জনে’॥

আমার ছোটো বোন তারা হলো পাঁচজন।
সংসারে আসিল তখন অভাব অনটন ॥

সম্পদ বলতে অল্প কিছু বোরো জমি ছিল।
ঋণের দায়ে তাহা মহাজনে নিল ॥

গরিব হলে আপনজনে বাসে তখন ভিন।
ভরণ-পোষণে দুঃখ বাড়ে দিন দিন ॥

ভরণ-পোষণে তখন অক্ষম ছিলেন।
পিতা-মাতা আমাকে চাকরিতে দিলেন ॥

শিক্ষা নয় চাকরি করি পেটে নাই ভাত।
কী করে বেঁচে থাকা যায় ভাবি দিনরাত ॥

বাঁচার তাগিদে যখন চাকরিতে ছিলাম।
গরু মহিষ রাখালির দায়িত্ব নিলাম ॥

মালিকের চাকরি করি কাজে ব্যস্ত থাকি।
সারাদিন বন জঙ্গলে গরু মহিষ রাখি ॥

সতত পালন করি মালিকের কথা।
খেলাধুলার সময় নাই, নাই স্বাধীনতা ॥

রাখালির দায়িত্বভার সহজ বিষয় নয়।
ভোরবেলা গরু নিয়ে মাঠে যেতে হয় ॥

গরু নিয়ে বাড়ি ফিরি সূর্য অস্তের পরে।
যত্ন করে বেঁধে রাখি নিয়ে গোয়ালঘরে ॥

সকাল-বিকাল গাভি দোহনে সাহায্য তখন করি ।
একজনে গাভি দোহায় আমি বাছুর ধরি ॥

গরু নিয়ে প্রতিদিন হাওরে যাই।
ঈদের শুভদিনে ও আমার ছুটি নাই ॥

চাকরি করি গলে মোর দায়িত্বের ফাঁসি ।
রাত্র হলে পির দাদাকে দেখিতে আসি ॥

বার্ধক্যজনিত রোগে হলেন দুর্বল।
দাদার অবস্থা দেখে চোখে এল জল ॥

নিয়তির বিধানে তিনি ইন্তেকাল করলেন।
যাবার পূর্বে কাছে এনে মাকে বললেন ॥

ছেলে মেয়ে আপনজন কেউ ছিল না আর।
তুমি অনেক সেবা মাগো করেছো আমার ॥

মাত্র একটি ছেলে তোমার আর তো কিছু নাই।
যাবার কালে তার জন্য দোয়া করে যাই।
আল্লার রহমতে সে ভালো পথে যাবে।
সময়ে সৎ মানুষের ভালোবাসা পাবে ॥

আমি তখন গরু নিয়ে হাওরে ছিলাম।
মা যাহা বলিলেন তাহা শুনিয়া নিলাম ॥

দাদার সঙ্গে শেষ দেখার সময় ছিল না।
মনে ভাবি কী করিব বিধি তা দিল না ॥

জন্ম নিয়ে নিরাশার আঁধারে পড়েছি।
অর্ধাহার আনাহার কত করেছি ॥

দেখেছি এই বিপন্ন অবস্থায় পড়ে।
মানুষ মানুষকে কত অবহেলা করে ॥

বঞ্চিত লাঞ্চিত অবহেলিত যারা।
কী ভাবে যে জীবন ধারণ করিতেছে তারা ॥

আজো ভাবি এমন দিন কবে আসিবে?
মানুষ যে-দিন মানুষকে ভালোবাসিবে ॥
Category: ফোক গানTag: শাহ আব্দুল করিম
Previous Post:এবারের দুর্দশার কথা কইতে মনে লাগে ব্যথা
Next Post:ধল গ্রামে প্রথম যখন হলো ধলবাজার

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

হেলথ

Download PDF


My Account

Facebook

top↑