গণসঙ্গীত

গণসঙ্গীত – শাহ আব্দুল করিম
প্রথম প্রকাশ আনুমানিক ১৯৫৬

.

এবারের দুর্দশার কথা
কইতে মনে লাগে ব্যথা
খোরাক বিনে যথা-তথা মানুষ মারা যায় ॥

কেউ মরেছে অর্ধ মরা
একেবারে বুদ্ধিহারা
হইয়া পাগলের ধারা ঘুরিয়া বেড়ায়।
হায় রে হায় খোরাক বিনে
শুকায় অঙ্গ দিনে দিনে
মায়ের বুকে সন্তানে দুগ্ধ নাহি পায় ॥

দেশেতে মজুরি নাই
মজুরের কপালে ছাই
ভিখারির ভিক্ষা নাই সবের দরজায়।
রাড়ি বুড়ির দুঃখের চিন
গ্রামে গ্রামে চাউলের মিশিন
ধনী মানীর রঙের দিন এই বাঙলায় ॥

এমন আছে অনেক জনা
সপ্তায় এক দিন অন্ন পায় না
কত অখাদ্য ভক্ষণ করে পেটেরই ক্ষুধায়।
সরকারের চক্ষে যখন
ভেসে উঠল এই বিড়ম্বন
কুড়ি টাকা চাউলের মণ কন্ট্রলে বিকায় ॥

অনেকেরই পয়সার অভাব
এতে তাদের হলো না লাভ
তারা শুধু বসে আছে রিলিফের আশায়।
সরকারের বিবেচনা
বসাইলেন লঙ্গরখানা
ডাইলে চাউলে একবার খানা প্রতি রোজ খাবায় ॥

এবারের অভাবের ধারা
ঠেকছে শুধু মজুর যারা
সরকারের সাহায্য ছাড়া নাই কোনো উপায়।
জনাব মৌলানা ভাসানী
কাঙালের বন্ধু তিনি
চিন্তা করেন দিনরজনী গরিব দুঃখীর দায় ॥

আদর করে পরোয়ারে
সৃষ্টি করলেন মানবেরে
সেই মানব আজ অনাহারে প্রাণে মারা যায়।
কেউ নহে কার সঙ্গের সাথি
ভাইর দয়া নাই ভাইয়ের প্রতি
ঘটাইল এই দুর্গতি লোভলালসায় ॥

বাউল আবদুল করিম বলে
কেউ ভাসে নয়নজলে
কেউ আছে রঙমহলে ফুলেরই শয্যায়।
শূন্য করে পরার বাড়ি
জমাইয়া টাকা কড়ি
যাবার বেলা একাশ্বরি শুধু হাতে যায় ॥

.

এবারের দুর্ভিক্ষের আগুন লাগল কলিজায় রে
প্রাণী যায় প্রাণী যায় রে ॥

এবারের দুর্দশার কথা কহন না যায়
পেটের ক্ষুধায় কত লোকে লতা পাতা খায় রে ॥

পাকিস্তানের গরিব দুঃখীর উপরে খোদায়
না জানি কী অপরাধে এই বিপদ ঘটায় রে ॥

ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ে নাহি নয়ন ফিরায়
ভব-সাগরে যার তার বৈঠা যার তার ভাবে বায় রে ॥

শিশু সময় থাকে সন্তান মা-বাপের হাওলায়
যে সময় যা দরকার পড়ে মায়ের কাছে চায় রে ॥

পেটের ক্ষুধায় সন্তান যখন কেঁদে বুক ভাসায়
এই দুঃখে মা-বাপের গলে ফাঁসি দিতে চায় রে ॥

সকলেরই মেয়ে-ছেলে আছে দুনিয়ায়
আগুনে ঝাঁপ দিতে চায় তোক সন্তানের মায়ায় রে ॥

কত কুলবধূ কুল ছাড়িয়া পেটের ক্ষুধায়
জীবন বাঁচাবারই তরে লঙ্গরখানায় যায় রে ॥

সাত বৎসরের লীগ শাসনে এই দুর্দিন ঘটায়
বিশ্বাসঘাতক যুক্তফ্রন্টে দ্বিগুণ জালায় রে ॥

কোয়ালিশন মন্ত্রিসভাতে আওয়ামী লীগ যাওয়ায়
চিরদুঃখী গরিব-কাঙালে জীবনভিক্ষা পায় রে ॥

এই দুর্নীতি দমন হবে কে ভেবেছে তায়
আঁধারে উঠিলে চন্দ্র চক্ষে দেখা যায় রে ॥

স্থানে স্থানে লঙ্গরখানা গরিব দুঃখীর দায়
সপ্তাহে সপ্তাহে তারা রিলিফের চাউল পায় রে ॥

গরিব কৃষকের শান্তি কৃষিঋণ পাওয়ায়
বন্যানিরোধ হবে বলে আশা করা যায় রে ॥

নয় বৎসরে গোরের পারে যাহারা পৌঁছায়
ইসলাম নষ্ট হবে বলে আজও ভয় দেখায় রে ॥

এই উপকার ভুলব না আমরা শত্রুদের ছল্লায়
আপন হস্তে দিব না ছুরি আপনার গলায় রে ॥

ওয়াস কুরুনি ওয়ালা তাকফুরুন কুরানে ফরমায়
নিমকের হারামি কর না বলেছেন খোদায় রে ॥

এতটুকু অগ্রসর মোরা যাদের উসিলায়
আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ বল মিলিয়া সবায় রে ॥

বাউল আবদুল করিম বলে দেশ নিল বন্যায়
আরেক বন্যা মিলিটারি আসছিল মোদের দায় রে ॥

.

আরে ও কৃষক মজুর ভাই
একবাক্যে সকলে বল দেশের শান্তি চাই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

ও ভাই রে ভাই
সাত বৎসরের লীগ
শাসনে সোনার অঙ্গ ছাই রে
ও ভাই সোনার অঙ্গ ছাই
এক মুখে বলি কত
যত দুঃখ পাই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

ও ভাই রে ভাই
কেউ করতেছে এ জগতে
বেহেস্তের বাদশাই রে
ও ভাই বেহেস্তের বাদশাই
আমরা দেশের মজুর চাষি
আমরার ভাগ্যে ছাই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

ও ভাই রে ভাই
শিক্ষা দীক্ষা না হইলে
চাকুরির আশা নাই রে
ও ভাই চাকুরির আশা নাই
আমরা মধ্যে মধ্যে একদুজনে
চৌকিদারি পাই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

ও ভাই রে ভাই
রোদে পুড়ি মেঘে ভিজি
লাঙ্গল চালাই আমরা ফসল ফলাই
ভাই ফসল ফলাই
খাবার বেলা ভাত মিলে না
রোগে ঔষধ নাই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

ও ভাই রে ভাই
আওয়ামী লীগের কাজের ফলে
ক্ষুধায় অন্ন পাই
ভাই রে ক্ষুধায় অন্ন পাই
নইলে এবার শ্মশান আর
করে হইত ঠাঁই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

ও ভাই রে ভাই
জনাব শহিদ-ভাসানীর
গুণের সীমা নাই
ভাই রে গুণের সীমা নাই
অল্পদিনে যা করেছেন
ধন্যবাদ জানাই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

ও ভাই রে ভাই
যে মোদের উপকার করে
আমরা তাকে চাই
ভাই রে আমরা তাকে চাই
স্বার্থভোগী শত্রুর দলের
মুখে পড়ক ছাই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

ও ভাই রে ভাই
বাউল আবদুল করিম বলে
পূর্ণ স্বাধীন চাই
ভাই রে পূর্ণ স্বাধীন চাই
এক যদি সব হইতে পারি
কারে বা ডরাই
রে কৃষক মজুর ভাই ॥

.

স্বাধীন দেশের মানুষ আমরা দুর্দশা কেন যায় না
জুলুম শোষণ বন্ধ হয় না হলো কী যন্ত্ৰণা ॥

কেউ থাকে রঙমহলে মন আনন্দে সদায় খেলে
যখন যা চায় তাই মিলে তবু সাধ মিটে না ॥

হলে পরে দারুণ ব্যাধি গরিবের আর নাই ঔষধি
ঘরের কোণে বসে কাঁদি পাই কত লাঞ্ছনা ॥

কৃষক ও মজুরের বলে এই দেশেতে সোনা ফলে
আজ তারাই কাঁদে দলে দলে ক্ষুধায় অন্ন পায় না ॥

দেখ রে ভাই বন্যার জোরে ফসল নষ্ট বারে বারে
বন্যা নিরোধ করার তরে দাও সবে ঘোষণা ॥

বন্যা নিরোধ না হইলে ছাড়বে না দুর্ভিক্ষের জালে
গ্রাস করিবে কালে কালে করো না ভাবনা ॥

দেখ ভাগ্যে কী যে ঘটে লাঙ্গল ধর শক্ত মুঠে
আঁধার গেলে চন্দ্র ওঠে এই দুর্দিন রবে না ॥

বাউল আবদুল করিম বলে সাম্রাজ্যবাদ শত্রুর দলে
বিনাশিতে চায় সমূলে তোমরা কী দেখ না ॥

.

মাথা নত করে আর বসব না ঘরে
বলব উচ্চ স্বরে পূর্ণ স্বাধীন চাই
সহিব না আর কোনো অবিচার
করিব এবার সত্যেরই লড়াই
দেশপ্রেমিক যে জন তাকে করব সমর্থন
পুরবে আকিঞ্চন করিব বাদশাই ॥

আর থেকো না ঘুমে আর পড় না ভ্রমে
চল নিত্যধামে ওরে চাষী ভাই
স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রেরই বিধান
সকলই সমান ছোট বড় নাই ॥

দেশের জন্য প্রাণ করে দাও কুরবান
উড়াও জয়নিশান কোনো ভয় নাই
আবদুল করিম কয় কারে করি ভয়
করিব বিলয় অন্যায়ের বাদশাই ॥

.

জয় জয় বলে এগিয়ে চল হাতে লয়ে সবুজ নিশান
জাগ রে মজুর কৃষাণ।
কত কষ্ট সাধনাতে বাঁচিলাম গোলামি হতে
মিস্টার জিন্নার উসিলাতে পেয়েছি এই পাকিস্তান ॥

মিষ্টার জিন্না লিয়াকত আলী পাকিস্তান করিয়া খালি
যখন তারা গেলেন চলি আমরার উপর এই নিদান ॥

হও হুঁশিয়ার পড় না ভ্রমে জাগো জাগো সব থেক না ঘুমে
যাইব মোরা আনন্দধামে দলে দলে কর যোগদান ॥

ঘুচলে ভ্রান্তি আসবে শান্তি রবে না আর এই দুর্নীতি
আমরা একে অন্যের হয়ে সাথি করব কার্য সমাধান ॥

বাঁচব বন্যার কবল হতে সরকারেরও সাহায্যেতে
ধরব কুদাল আপন হস্তে কাটব মাটি বাঁধব বান ॥

সবাই বল স্পষ্ট স্পষ্ট সহিব না আর এত কষ্ট
আমরা রাজা আমরার রাষ্ট্র আমরা চাই দেশের কল্যাণ ॥

রোগে ঔষধ শিক্ষার ব্যবস্থা চলবার জন্য চাই ভালো রাস্তা
যারা ভরে ঘুষের বস্তা তাদের দিব না স্থান ॥

বিদেশী সাম্রাজাবাদী এই দেশেতে থাকে যদি
আমরা হারাব পাকিস্তান নিধি করিম কয় হও সাবধান ॥

.

জাগ রে কৃষাণ শ্রমিক মোদের এগিয়ে চল এই বার
জ্বলুক আগুন আন্দোলনে সব এক হয়ে চলার দরকার ॥

স্বাধীন স্বাধীন, স্বাধীন কইয়া কত দুঃখ-ক্লেশ সহ্য করিয়া
মোদের বুকের রক্ত দিয়া পাকিস্তান করলাম তৈয়ার
ব্রিটিশ গেল রাজ্য ছাড়ি শান্তির আশা সবাই করি
এখন কাক শৃগালের বাবুগিরি মোদের নাই রে অধিকার ॥

কৃষক মরে হা-হুঁতাশে চোর গুণ্ডারা মুচকি হাসে
রক্তমাংস নিল চুষে আসল চোরের নাই বিচার ॥

দরিদ্র মজুর যারা খোরাক বিনে অর্ধর্মরা
পরতে পায় না জামাজোড়া এই স্বাধীনের কী দরকার ॥

ন্যায় অন্যায় নাই বিচার গরম হয়েছে ঘুষের বাজার
স্বার্থ বিনা কথা কয় না যারা যারা হল লিডার ॥

করিম কয় শান্তি পাব সব ভাই যদি এক হইব
দুঃখ যাবে জয়ী হব হক্কের হাকিম পরওয়ার ॥

.

আমরা স্বাধীন দেশে থাকি
খাবার বেলা ভাত মিলে না তবু আমরা সুখী ॥

না জানি কোন কর্মফলে হইলাম দরিদ্রের ছেলে
পেটের ক্ষুধায় অঙ্গ জ্বলে আল্লা বলে ডাকি
ভাঙা ঘর, চালে ছানি নাই কাঁদে প্রাণপাখি
আকাশের তারা দেখা যায় শুয়ে শুয়ে দেখি ॥

শান্তি পাব আশা মনে বাড়ে দুঃখ দিনে দিনে
কৃষক মরে খোরাক বিনে মজুরের উপায় কী?
সাহায্য পাবার আশে যদি রাজ দরবারে লিখি
ধনী-মানীর কুঁচকি ভরে আমরারে দেয় ফাঁকি॥

বাউল আবদুল করিম বলে কইতে দুঃখ অঙ্গ জ্বলে
বসিয়া সদায় নিরলে ঝরে দুটি আঁখি
দেশের যত রাড়ি বুড়ি তারা সার করেছে ঢেঁকি
গ্রামে গ্রামে চাউলের মিশিন, রাড়ি-বুড়ির উপায় বা কী ॥

.

আর ঘুমে থেকো না চাষি ভাই
কর্তব্য কাজ সাধন কর আমরার আর দরদি নাই ॥

আঁখি খোলো মাথা তোলো
পাকিস্তান জিন্দাবাদ বল রে
একবাক্যে সকলে বল আমরা সবে শান্তি চাই ॥

আনলাম স্বাধীন শান্তির তরে
প্রাণ বাঁচে না অত্যাচারে রে
পাকিস্তানের ঘরে ঘরে হাহাকার রব শুনতে পাই ॥

যা ইচ্ছা তার শাসন-বিচার
ঘুষ বিনে চলে না কারবার রে
ধনী-মানীর রঙের বেপার গরিবের কপালে ছাই ॥

মুখের বোল নিতে চায় কেড়ে
মনের দুঃখ বলব কারে রে
ন্যায্য বিষয় দাবি করে প্রাণ বাঁচাইবার শক্তি নাই ॥

লীগ সরকার বলল প্রস্তাবে
রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে রে
আমরা দাবি করলাম তবে আমরার কি অধিকার নাই ॥

তখন বাংলা কইলে মারে-ধরে
বেশি কইলে জেলে ভরে
থাকিয়া জেলের ভিতরে তবু বলছি বাংলা চাই ॥

অবশেষে গুলি চালায়
এমএস-সি বরকতের মাথায়
কয়েকজন ছাত্র মারা যায় এখনও সুবিচার নাই ॥

স্বাধীন দেশে এত অবিচার
পুড়িয়া হইলাম আঙ্গার রে
করিম কয় দেখব এবার যদি একটু সুযোগ পাই ॥

.

১০

কত দুঃখ সইব পরানে পাকিস্তানে
আর কত দুঃখ সইব পরানে
ঘরে পুড়া বাইরে পুড়া পুড়িয়া হইলাম আঙ্গারা
তবু আগুন বাড়ে দিনে দিনে ॥

চাঁদমুখ করে মলিন দুইশো বৎসর পরের অধীন
ছিলাম মোরা ব্রিটিশের অধীনে
নয় বৎসর হয় ঘুচল বিষাদ পূর্ণ হল মনোসাধ
আমরা হইলাম আজাদ অতি ভাগ্যগুণে ॥

সবাই করি শান্তির আশা কেন বা ঘটে দুর্দশা
বুঝি না হয় কোন বিধির বিধানে
ঘটল কত অঘটন ছয়শো টাকা লবণের মণ
থাকবে স্মরণ ভুলব না জীবনে ॥

জিনিস কিনতে যাই বাজারে দাম চায় যখন দোকানদারে
শুনলে পরে আগুন জ্বলে কানে
ঠেকছে দেশের রাড়ি-বুড়ি পাঁচ টাকায় মিলে না শাড়ি
মান সম্মান আর বাঁচাইব কেমনে ॥

ক্ষুধায় অন্ন না পাইয়া কাঁদে লোকে রাস্তায় পড়িয়া
কত লোক ছাই দেয় কুলমানে
বাউল আবদুল করিম কয় অন্তরে লেগেছে ভয়
না জানি কি হইবে সামনে ॥

.

১১

ও নওজোয়ান ভাই আমি সবারে জানাই
তোমরা কী সুখে রইয়াছ ঘরে বসে রে
দেশের জন্য প্রাণ ভাই রে করে দাও কোরবান
শান্তির বাতাস নি দেশে আসে রে ॥

জালিম ও দুশমন করিয়া শোষণ
দুর্নীতি এনেছে এই দেশে
দেশেরও মা বোন ঐ কাঁদিতেছে শোন
শত্রু দোতালায় বসে হাসে রে ॥

প্রাণ বাঁচাবার দায় এক মুঠ অন্ন ভিক্ষা চায়
দ্বারে দ্বারে ঘুরে কাঙাল বেশে
ছিড়া বসন গায় ভাই রে সম্মান ঢাকা দায়
কত দুধের শিশু মরে উপবাসে রে ॥

হিন্দু-মুসলমান আমরা এক মায়ের সন্তান
কেন বা মরিব বিদ্বেষে
এক হয়ে দাঁড়াও সবাই দেশের শান্তি চাও
আশা তরী নি মোদের ভাসে রে ॥

যাদের আছে বুদ্ধি বল তারা করিয়া কৌশল
দিনে দিনে সব নিয়েছে চুষে
ওরে সর্বস্বহারা একবার জাগ রে তোরা
পড়েছ কালের করালগ্রাসে রে ॥

আবদুল করিম কয় কারে কর ভয়
জেগে উঠ না কেন রোষে
সোনার পাকিস্তান হয়েছে শ্মশান
জুলুম শোষণ আর ঘুষে রে ॥

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *