সামবেদ ০১।০৩

সামবেদ
পুর্বার্চিকঃ ছন্দ আর্চিকঃ

প্রথম অধ্যায়ঃ
আগ্নেয় কাণ্ডঃ অগ্নিস্তুতি

তৃতীয় খণ্ড : মন্ত্র সংখ্যা ১৪ ॥
মন্ত্রের দেবতা অগ্নি ॥ মন্ত্রের ছন্দ গায়ত্রী ॥
মন্ত্রের ঋষিঃ
১ প্রয়োগ ভার্গব;
২।৫ ভরদ্বাজ বার্হস্পত্য;
৩।১০ বামদেব গৌতম;
৪।৬ বসিষ্ঠ মেত্রাবরুণি;
৭ বিরূপ আঙ্গিরস;
৮ শূনঃশেপ আজীগর্তি;
৯ গোপবন আত্রেয়;
১১ প্রস্কন্ব কাণ্ব;
১২মেধাতিথি কাণ্ব
১৩ সিন্ধুদ্বীপ আন্বরীষ বা ত্রিত আপ্ত্য;
১৪ উশনা কাব্য॥

মন্ত্রঃ- (২১) অগ্নিং বো বৃধন্তমধ্বরাণাং পুরুতমম্। অচ্ছা নপ্ত্রে সহস্বতে ॥১॥
অর্থঃ- (২১) তোমাদের সন্তানের জন্য, বলের জন্য অহিংসিত যজ্ঞের বধর্নকারী অতিব্যাপ্ত অগ্নিকে প্রাপ্ত হও।

মন্ত্রঃ- (২২) অগ্নিস্তিগ্মেন শোচিষা যংসদ্বিশ্বং ন্যত্ত্রিণম্। অগ্নির্নো বৎসতে রয়িম্ ॥২॥
অর্থঃ- (২২) অগ্নি তীক্ষ্ণ জ্যোতিশিখাদ্বারা বিশ্বধন নিয়ন্ত্রণ করেন। অগ্নি আমাদের ধনদাতা॥

মন্ত্রঃ- (২৩) অগ্নে মৃড় মহাঁ অস্যয আ দেবয়ুং জনম্। ইয়েথ বর্হিরাসদম্ ॥৩॥
অর্থঃ- (২৩) হে অগ্নি, আমাদের সুখী কর; তুমি মহান। দেবকাম ব্যক্তিকে অনুগ্রহের জন্য যজ্ঞাসনে উপবেশন কর॥

মন্ত্রঃ- (২৪) অগ্নে রক্ষা ণো অংহসঃ প্রতি স্ম দেব রীষতঃ। তপিষ্ঠৈরজরো দহ ॥৪॥
অর্থঃ- (২৪) হে অগ্নি, আমাদের পাপ হতে রক্ষা কর। হে দেব, হিংসকদের হাত থেকে রক্ষা কর। তোমার তপের তাপে স্তুতিহীনদের দহন কর॥

মন্ত্রঃ- (২৫) অগ্নে যুঙ্ ক্ষ্বা হি যে তবাশ্বাসো দেব সাধবঃ। অরং বহন্ত্যাশবঃ ॥৫॥
অর্থঃ- (২৫) হে অগ্নি, তোমার যে সকল সৎকর্মপরায়ণ আলোকরশ্মিদের নিজরথে যুক্ত কর যে ক্ষিপ্রকর্মকুশলেরা তোমাকে সর্বত্র বহন করে॥

মন্ত্রঃ- (২৬) নি ত্বা নক্ষ্য বিশ্‌পতে দ্যুমন্তং ধীমহে বয়ম্। সুধীরমগ্ন আহুত॥৬॥
অর্থঃ- (২৬) তোমার প্রতি গমনশীল আমরা, হে জনগণপালক সুবীর আহূত অগ্নি, দীপ্যমান তোমাকেই ধ্যান করি॥

মন্ত্রঃ- (২৭) অগ্নির্মুর্ধা দিবঃ ককুৎপতিঃ পৃথিব্যা অয়ম্। অপাং রেতাংসি জিনবতি ॥৭॥
অর্থঃ- (২৭) অগ্নি দ্যুলোকের মস্তক, এক পৃথিবীরও শীর্ষস্থানীয়। তিনি বারিধারায় সকলকে প্রীত করেন॥

মন্ত্রঃ- (২৮) ইমমু ষু ত্বম্ স্মাকং সনিং গায়ত্রং নব্যাংসম্। অগ্নে দেবেষু প্র বোচঃ॥৮॥
অর্থঃ- (২৮) হে অগ্নি, গায়ত্রীছন্দে রচিত নবতর স্তুতি আমাদের এ উপহার তুমি দেবগণের মধ্যে প্রচার কর॥

মন্ত্রঃ- (২৯) যং ত্বা গোপবনো গিরা জনিষ্ঠদগ্নে অঙ্গিরঃ। স পাবক শ্রুধী হবম্ ॥৯॥
অর্থঃ- (২৯) যে তোমাকে গোপবন ঋষি স্তবে তুষ্ট করলো সেই তুমি হে অগ্নি, হে অঙ্গির, হে পাবক, আমাদের আহ্বান শোন॥

মন্ত্রঃ- (৩০) পরি বাজপতিঃ কবিরগ্নির্হব্যান্যক্রমীৎ। দধদ্ রত্নানি দাশুষে ॥১০॥
অর্থঃ- (৩০) অন্নবলপতি কবি অগ্নি সকল হব্য বহন করেন; হব্যদাতার জন্য রত্নধারণ করেন॥

মন্ত্রঃ- (৩১) উদূ ত্যং জাতবেদসং দৈবং বহন্তি কেভবঃ। দৃশে বিশ্বায় সূর্যমা ॥১১॥
অর্থঃ- (৩১) যিনি প্রাণিমাত্রকেই জানেন সেই সূর্যরূপী অগ্নিদেবকে বিশ্বের দর্শনের জন্য রশ্মিগণ ঊর্ধ্বে বহন করেন॥

মন্ত্রঃ- (৩২) কবিমগ্নিমুপ স্তুহি সত্যধর্মাণমধ্বরে। দেবমমীবচাতনম্ ॥১২॥
অর্থঃ- (৩২) হে স্তোতা, অহিংসিত যজ্ঞে কবি সত্যধর্মা ব্যাধিনাশক দ্যোতমান অগ্নিকে স্তব কর॥

মন্ত্রঃ- (৩৩) শং নো দেবীরভিষ্টয়ে শং নো ভবন্তু পীতয়ে। শং যোরভিস্রবন্তু নঃ ॥১৩॥
অর্থঃ- (৩৩) আমাদের অভিলাষ পূরণের জন্য আমাদের সুখকর পালনের জন্য সকল জলদা-শক্তি কল্যাণবারি বর্ষণের দ্বারা আমাদের সুখী করেন॥

মন্ত্রঃ- (৩৪) কস্য নূনং পরীণসি ধিয়ো জিন্বসি সৎপতে। গোষাতা যস্য তে গিরঃ॥
অর্থঃ- (৩৪) কার বহুকর্মকে পুরণ কর হে সৎপতি? ‒তোমার উদ্দেশ্যে যার স্তুতি সর্বধনকর॥

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *