ঋগ্বেদ ০৭।০৬৮

ঋগ্বেদ ০৭।০৬৮
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৭ম মণ্ডল সূক্ত ০৬৮

অশ্বিদ্বয় দেবতা। বসিষ্ঠ ঋষি।

১। হে দীপ্ত, সুন্দর অশ্ববিশিষ্ট অশ্বিদ্বয়! আগমন কর। তোমরা শত্রুনাশক, যে তোমাদের কামনা করে, তাহার স্তুতি সেবা কর, আমাদের সম্ভূত হব্য ভক্ষণ কর।

২। হে অশ্বিদ্বয়! তোমাদের জন্য মদকর অন্ন রহিয়াছে, তোমরা আমার হবিঃ ভক্ষণার্থ শীঘ্র গমন কয়, শত্রুর আহ্বান শ্রবণ না করিয়া আমাদের আহ্বান শ্রবণ কর।

৩। তোমরা সূৰ্য্যের সহিত রথে বাস কর, মনের ন্যায় বেগশালী ও অপরিমিত রক্ষাবিশিষ্ট তোমাদের রথ আমাদের জন্য প্ৰাৰ্থিত হইয়া, লোক সকলকে অতিক্রম করিয়া আগমন করিতেছে।

৪। তোমাদিগকে দেবতা করিতে অভিলাষ করি, তোমাদের নিমিত্ত সোমাভিষবকারী এই প্রস্তর যখন উন্নত হইয়া শব্দ করে, তখন হে সুন্দর অশ্বিদ্বয়! বিপ্র হব্যদ্বারা তোমাদিগকে আবর্তিত কর।

৫। তোমাদের যে চিত্রধন আছে তাহা আমাদের দাও। যিনি প্রিয় হইয়া তোমাদের দত্ত সুখ ধারণ করেন, সেই অত্ৰি হইতে মহিষ্বৎকে ঋবিসকে পৃথক কর।

৬। হে অশ্বিদ্বয়! তোমাদের স্তুতিকারী জীৰ্ণ হব্যদায়ী চ্যবনের জন্য যেরূপ এদিকে আনিয়া দান করিয়াছিলে, তাহা তাঁহার প্রতিগমন করিয়াছিল।

৭। আরও দুষ্টবুদ্ধি সখাগণ যে ভুজ্যুকে সমুদ্রমধ্যে ত্যাগ করিয়াছিল, তোমরা তাহাকে পার করিয়াছিলে। সে তোমাদিগকে কামনা করিয়াছিল এবং বিরুদ্ধাচরণ করে নাই।

৮। বৃক যখন ক্ষীণ হইয়া যাইতেছিল, হে অশ্বিদ্বয়! তোমরা কর্ম এবং সামর্থদ্বারা তাঁহাকে ধন দিয়াছিলে। আহূয়মান হইয়া শযুকে শ্রবণ করিয়াছিলে। নদী যেরূপ জলদ্বারা পূর্ণ করে, সেইরূণ নিবৃত্তপ্রসবা গাভীকে দুগ্ধদ্বারা পুর্ণ করিয়াছিলে।

৯। সেই স্তোতা, সুমনা হইয়া ঊষার পূর্বে জাগরিত হইয়া সূক্তদ্বারা স্তুতি করিতেছে, উহাকে অন্নদ্বারা বর্ধিত কর, দুগ্ধদ্বারা বর্ধিত কর, এবং ইহার গাভীকে বর্দ্ধিত কর। তোমরা সর্বদা আমাদিগকে স্বস্তিদ্বারা পালন কর।