ঋগ্বেদ ০৭।০৬৬

ঋগ্বেদ ০৭।০৬৬
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৭ম মণ্ডল সূক্ত ০৬৬

চতুর্থ ঋক হইতে ত্রয়োদশ পর্যন্ত আদিত্য দেবতা; চতুর্দশ হইতে ষোড়শ পর্যন্ত সূর্য দেবতা; আদির ও অন্তের তৃচ দুটির মিত্র ও বরুণ দেবতা। বসিষ্ঠ ঋষি।

১। বারংবার আবির্ভূত মিত্র ও বরুণের সুখকর ও অন্নবান স্তোম গমন করুন।

২। শোভন বলবিশিষ্ট, বলপালক, প্রকৃত তেজোবিশিষ্ট মিত্র ও বরুণকে দেবগণ বলের জন্য ধারণ করিয়াছিলেন।

৩। সেই মিত্র ও বরুণ গৃহ পালক ও শরীর পালক। হে মিত্র! হে বরুণ! তোমরা স্তোতাগণের কর্ম সাধন কর।

৪। অদ্য সূর্য উদিত হইলে পাপহন্তা মিত্র, সবিতা, অর্য্যমা ও ভগ যে ধন আমাদের জন্য অপেক্ষিত তাহা প্রেরণ করুন।

৫। হে শোভন দানশীলগণ! তোমরা আমাদিগের পাপ দূর কর, তোমাদের আগমন হইলে সেই নিবাস সুরক্ষিত হউক।

৬। মিত্ৰাদি ও অদিতি হিংসারহিত ব্রতের ঈশ্বর, তাহারা মহা ধনেরও ঈশ্বর।

৭। সুৰ্য্য উদিত হইলে মিত্র, বরুণ ও শত্রুভক্ষক অৰ্য্যমাকে স্তব করিব।

৮। এই স্তুতি হিরণ্য ধনের সহিত আমাদের অহিংসনীয় বলের নিমিত্ত হউক।

৯। হে দেব বরুণ! হে মিত্র! আমরা সূরিগণের সহিত তোমার স্তোতা হইব, অন্ন ও জল ধারণ করিব।

১০। মহান সূৰ্য্যের ন্যায় দীপ্ত, অগ্নিজিহ্ব, যজ্ঞবৰ্দ্ধক, যে মিত্ৰাদি তিন ব্যাপ্ত স্থান পরিভবকর কৰ্ম্মম্বারা প্রদান করেন।

১১। যাঁহারা শরৎ, মাস, দিন, যজ্ঞ, রাত্রি ও ঋক সৃষ্টি করিয়াছেন, সেই বরুণ, মিত্র ও অৰ্য্যমা শোভমান হইয়া অপ্ৰাপ্ত বল লাভ করিয়াছেন।

১২। অদ্য সূৰ্য্য উদিত হইলে, সূক্ত দ্বারা তোমাদিগের নিকট সেই ধন যাচঞা করিব, যাহা জলের নেতা মিত্র, বরুণ, অর্য্যমা ধারণ করেন।

১৩। তোমরা যজ্ঞবান, যজ্ঞার্থ উৎপন্ন, যজ্ঞবর্ধক, ভয়ানক ও যজ্ঞহীনের দ্বেষকারী। তোমাদিগের সুখতম ধনের জন্য অন্য যে সূরিরা আছেন, তাঁহারা ও আমরা নেতা হইব।

১৪। সেই সেই দৰ্শনীয় বপুঃ অন্তরিক্ষের সমীপে উদিত হইতেছে। শীঘ্রগামী হরিতবর্ণ অশ্বগণ সকলকে সম্যক দর্শনার্থ উহাকে ধারণ করিতেছেন।

১৫। মস্তকেরও মস্তক, স্থাবর জঙ্গমের পতি, রথন্থ সূৰ্য্যকে কল্যাণের জন্য সপ্তসংখ্যক গমনশীল হরিতগণ সর্বলোকের সমীপে বহন করিতেছে।

১৬। সেই চক্ষুঃস্বরূপ, দেবগণের হিতকর, নির্মল, সূর্য্যমন্ডল উদিত হইতেছেন। আমরা যেন শত শরৎ দেখিতে পাই, শত শরৎ বাঁচিয়া থাকি(১)।

১৭। হে বরুণ! তুমি ও মিত্র অহিংসনীয় ও দ্যুতিমান। তোমরা স্তোত্র প্রযুক্ত সোম পানার্থ আগমন কর।

১৮। হে মিত্র! তুমি ও বরুণ দ্রোহরহিত। তোমরা দ্যুলোকের স্থান হইতে আগমন কর, শত্রুদিগের হিংসাকর হইয়া সোম পান কর।

১৯। হে নেতা মিত্র বরুণ! আহুতি সেবা করতঃ আগমন কর। হে যজ্ঞবর্ধক! তোমরা সোম পান কর।

———–

(১) মনুষ্যের পরমায়ুর সীমা শত বৎসর।