ঋগ্বেদ ০৮।০১৪

ঋগ্বেদ ০৮।০১৪
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৮ম মণ্ডল  সূক্ত ১৪
ইন্দ্র দেবতা। কণ্বগোত্রীয় গোসূক্তি ও অশ্বসূক্তি নামক ঋষি।

১। হে ইন্দ্র! যেরূপ একমাত্র তুমিই ধনস্বামী, সেইরূপ যদি আমি ঐশ্বৰ্য্যযুক্ত হই, তবে আমার স্তোতা যেন গোযুক্ত হয়।

২। হে শক্তিমান! যদি আমি গোপতি হই, তবে এই স্তোতাকে দান করিতে ইচ্ছা করিব এবং প্রাৰ্থিত ধন দান করিব।

৩। হে ইন্দ্র! তোমার সত্যপ্রিয় এবং প্রবৰ্দ্ধক স্তুতিরূপ ধেনু সোমাভিষবকারীকে গাভী ও অশ্ব দান করে।

৪। হে ইন্দ্র! তুমি স্তুত হইয়া ধন দান করিতে ইচ্ছা কর, তখন তোমার ধনের নিবারক দেবতা নাই, মনুষ্যও নাই।

৫। যজ্ঞ ইন্দ্রকে বৰ্দ্ধিত করিয়াছে, যেহেতু তিনি দ্যুলোকে মেঘকে শয়িত করতঃ পৃথিবীকে বৃষ্টি দানে বিবর্তিত করিয়াছেন।

৬। হে ইন্দ্র! তুমি বৰ্দ্ধমান এবং শত্রুগণের সমস্ত ধনের জেতা, আমরা তোমার রক্ষা লাভ করিব।

৭। সোমজনিত মত্ততা হইলে ইন্দ্র দীপ্তিমান অন্তরিক্ষকে বৰ্দ্ধিত করিয়াছেন, যেহেতু তিনি বলকে ভেদ করিয়াছেন।

৮। তিনি গুহা মধ্যে লুকায়িত গাভীসমূহ প্রকাশিত করতঃ অঙ্গিরাগণকে প্রদান করিয়াছিলেন এবং বলকে অধোমুখ করিয়াছিলেন।

৯। ইন্দ্র দ্যুলোকের নক্ষত্রসমূহকে দৃঢ়াবয়ব ও দৃঢ় করিয়াছেন, দৃঢ় নক্ষত্র সকলকে কেহ স্থানচ্যুত করিতে পারে না।

১০। হে ইন্দ্র! সমুদ্রের উৰ্ম্মির ন্যায় তোমার স্তোত্র সকল শীঘ্র গমন করে, তোমার প্ৰমত্ততা বিশেষরূপে দীপ্তি পায়।

১১। হে ইন্দ্র! তুমি স্তোত্রদ্বারা বৰ্দ্ধনীয়, তুমি উকথদ্বারা বৰ্দ্ধনীয়, তুমি স্তোতাগণের কল্যাণকর।

১২। কেশরবিশিষ্ট হরিদ্বয়, সোমপানাৰ্থ শোভনদানযুক্ত ইন্দ্রকে যজ্ঞের নিকট বহন করিতেছে।

১৩। হে ইন্দ্র! তুমি জলের ফেনাদ্বারা নমুচির মস্তক ছিন্ন করিয়াছিলে ও সমস্ত শত্রুগণকে জয় করিয়াছিলে।

১৪। হে ইন্দ্র! তুমি মায়াদ্বারা সর্বত্র প্রসরণশীল, দ্যুলোকে আরোহণেচ্ছু দস্যুগণকে নিমাভিমুখে প্রেরণ করিয়াছিলে।

১৫। হে ইন্দ্র! তুমি সোম পান করতঃ উৎকৃষ্টতর হইয়া সোমাভিষবহীন জনসংঘদিগের পরস্পর বিরোধীকরতঃ(১) বিনাশ কর।

 ————
(১) সোমাভিষববিহীন লোক বোধ হয় যজ্ঞবিরোধী অনার্য্যগণ।