॥ ৩ ॥
বিমলভূষণকে লিফট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে গিয়েছিল কৌশিক। ফিরে এসে বলল, “বাবা রে বাবা! সোনা নয়, এপো নয়, হিরে! তাও আবার একটা নয়, একজোড়া! দাম কত হবে, মামাবাবু?”
ভাদুড়িমশাই বললেন, “তা কী করে বলব? কত ক্যারাট, তা-ই তো জানি না। তবে হ্যাঁ, যদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল হিরে হয়তো খুববেশি দাম না-হওয়াই সম্ভব।“
আমি বললুম, “আপনি তা হলে কালই ওখানে যাচ্ছেন?”
“যাওয়াই উচিত।” অরুণ সান্যাল বললেন, “গাড়িতে করে গেলে চন্দননগরে পৌঁছতে কতক্ষণই বা লাগবে।”
কৌশিক বলল, “মেরেকেটে ঘণ্টা দেড়েক। অবিশ্যি যদি জি.টি. রোডে জ্যাম না থাকে। যা মামাবাবু, ঘুরেই এসো।
ভাদুড়িমশাই বললেন, “আর তুই এখানে বসে ছুটি কাটাবি আর মায়ের রান্না করা ভালমন্দ খাবি, কেমন?”
“ও কতা কইবেন না, ওকতা কইবেন না,” সদানন্দবাবু বললেন, “খাওয়ার কতাই যদি বলেন, তো আমি বলব, খাওয়ার জিনিস চন্নননগরেও কিছু কম নেই। সুজ্যি ময়রার জলভরা তালশাঁসের নাম শুনেছেন?”
অরুণ সান্যাল বললেন, “সেটা আবার কী বস্তু?”
“সন্দেশ। বাইরে ছানা, ভেতরে পিওর নলেন গুড়। অবিশ্যি এখন চত্তির মাস, নলেন গুড়ের টাইম নয়, তাই গুড়ের বদলে ক্ষীর দেবে। পাতলা ক্ষীর।”
“খেতে খুব ভাল?”
শুনে এমনভাবে সদানন্দবাবু অরুণ সান্যালের দিকে তাকালেন যে, তাতেই বোঝ গেল, এর চেয়ে হাস্যকর প্রশ্ন তিনি জীবনে কখনও শোনেননি। বললেন, “ভাল কী বলচেন মশাই, সে তো দেবভোগ্য জিনিস। একবার যদি খেয়েচেন তো বাদবাকি জীবন তার সোয়াদ আপনার মুকে লেগে থাকবে।”
“ওরেব্বাপ রে, কৌশিক হেসে বলল, “চন্দননগর বলতে আমাদের তো একদিকে যেমন দুপ্লের নাম মনে পড়ে, অন্যদিকে তেমনি মনে পড়ে বীর বিপ্লবী কানাইলাল দত্তের কথা। আপনি সেখানে মিষ্টির খবরও রাখেন দেখছি। এতসব ডিটেলস জানার সময় পান কোথায়?”
যেমনভাবে অরুণ সান্যালের দিকে তাকিয়েছিলেন, আস্তে আস্তে মুখ ঘুরিয়ে ঠিক তেমনিভাবেই এবারে কৌশিকের দিকে তাকালেন সদানন্দবাবু। তারপব বললেন, “ওহে ছোকরা, আমাকে দুপ্লে দেকিয়ো না। এই শ্যালদায় থাকি বটে, কিন্তু আসলে আমি কোতাকার লোক?”
ঘাবড়ে গিয়ে কৌশিক বলল, “কেন, তারকেশ্বরের।”
“অ্যান্ড হোয়্যার ইজ তারকেশ্বর?”
এইভাবে যে তার ভূগোল জ্ঞানের পরীক্ষা নেওয়া হবে, কৌশিক তা ভাবতে পারেনি। একটু থতমত খেয়ে মাথা চুলকে বলল, “হুগলি জেলায়। ভুল বললুম?”
“না না, ভুল বলবে কেন, সদানন্দবাবু বললেন, “কারেক্ট আনসার দিযেচ। দশে দশ। তবে কিনা, তারকেশ্বর জায়গাটা হুগলি জেলার মদ্যে হলেও উইদিন দি জুরিসডিকশন অব দি সাবডিভিশন অব চন্নননগর। আর সেদিক থেকে দেকতে গেলে আমি তো চন্নননগরেরই বাসিন্দে হে।”
অরুণ সান্যাল বললেন, “তা তো বটেই।”
সদানন্দবাবু বললেন, “তবেই বুজুন। তা আমি যদি না সেখেনকার হাডিৰ খপর রাকি, তো কে রাকবে। চনননগরের মিষ্টি তো ভালই, সেখেনকার গঙ্গাব তোপসে আর ইলিশও অতি চমৎকার।..আর হ্যাঁ, চাপাকলা থেকে যে ওয়াইন এখেনে সেব করে, তা তো কোনও তুলনাই হয় না।
ভাদুড়িমশাই বললেন, “খেয়ে দেখেছেন?”
“রামশ্চন্দ্র!” জিব কেটে সদানন্দবাবু বললেন, “বাপ-ঠাকুদ্দা খেতেন, তেনাদের কাছে নিচি। শুনে লোভ হয়েছিল বলে একবার এক বোতল ওই ওয়াইন জোগাড় করে বাড়িতে যে নিয়ে আসিনি, তাও নয়। কিন্তু আমার ওয়াইফকে তো চেনেন, রেশনের ব্যা; থেকে বোতলটা বার করতেই তিনি এমন হল্লা জুড়ে দিলেন যে, সে আর কহতব্য নয়।…না না, পয়সাটা স্রেফ জলে গেল, পয়সা দিয়ে যা কিনে আনলুম, তা আর আমার খাওয়া হয়নি।”
“বোতলটা কী হল? মিসেস বোস সেটা আছড়ে ভাঙলেন?”
“তা হলেও তো বুজতুম।” সদানন্দবাবু কাতর গলায় বললেন, “কিন্তু তাই-ই বা তিনি ভাঙলেন কোতায়। পরের দিন তার ছোট ভাই আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এয়েছিল। দিদির বাড়িতে এক থালা সন্দেশ রসগোলা সাঁটিয়ে যখন বিদেয় নিচ্ছে, তখন বোতলটা তার হাতে তুলে দিয়ে বললে, এটা নিয়ে যা, তোর জামাইবাবু তোরই জন্যে নিয়ে এয়েচে, খুব পষ্টিকর জিনিস।…একচোকোমি আর কাকে বলে।”
ভাদুড়িমশাই বললেন, “ও নিয়ে আব দুঃখ করবেন না বোসমশাই, আমার সঙ্গে চন্দননগরে যাচ্ছেন তো?”
“তা তো যেতেই হবে, তা নইলে ওখানকার রাস্তাঘাট আপনি চিনবেন কী করে? ও তো বলতে গেলে আমারই জায়গা।”
“ঠিক আছে, ওই চাপালার ওয়াইন তা হলে ওখানেই আপনাকে খাইয়ে দেবখন।” ভাদুড়িমশাই হাসতে হাসতে বললেন, “আমি অবশ্য ওই জন্যে চন্দননগরের কেসটা হাতে ‘নিইনি। সন্দেশ কিংবা তোপসে আর ইলিশের জন্যেও না।”
“তা হলে?”
“ওখানে আমার এক বন্ধু আছেন, অনেক দিনের পুরনো বন্ধু, কিন্তু অনেক কাল দেখা হয় না। বিমলভূষণের কাজটা নিতে যে এক কথায় রাজি হয়ে গেলুম, সেটা আসলে এই বন্ধুটির টানে।”
জিজ্ঞেস করলুম, “চন্দননগরে কি ওই বন্ধুর বাড়িতেই উঠবেন আপনি?”
“একা আমি কেন, আমরা তিনজনেই উঠব।” ভাদুড়িমশাই বললেন, “তবে কোথায় উঠব, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। আগে তো চন্দননগরে যাই, বিমলভূষণের সঙ্গে কথা বলি, তারপর যদি দেখি যে, কাজের সুবিধের জন্যে শিবমন্দিরের কাছাকাছি থাকা দরকার, তো তাই বুঝে বিমলভূষণ যেখানে ব্যবস্থা করেন, সেখানেই থাকা যাবে।”
এক মুহূর্ত চুপ করে রইলেন ভাদুড়িমশাই। একটা সিগারেট ধরালেন। তারপর দেশলাইয়ের জ্বলন্ত কাঠিটাকে শূন্যে বার দুই-তিন ঝাঁকি মেরে, নিবিয়ে, অ্যাশট্রেতে ফেলে দিয়ে বললেন, “পরমেশের…আই মিন আমার এই চন্দননগরের বন্ধুটির..বাড়িটি ভারি সুন্দর। স্ট্যান্ডের খুব কাছেও বটে।…ওরে কৌশিক, তুই কখনও চন্দননগরে গেছিস?”
কৌশিক মাথা নাড়ল। “না, মামাবাবু।”
“পণ্ডিচেরিতে?”
এবারেও কৌশিককে দু’দিকে মাথা নাড়তে দেখে ভাদুড়িমশাই বললেন, “তাও না? তবে আর তুই জানবি কী করে যে, ওয়াটারফ্রন্টকে ফরাসিরা কত সুন্দরভাবে কাজে লাগায়। অন্তত এই একটা ব্যাপারে আমি তো ওদের কোনও তুলনাই খুঁজে পাই না।”
সদানন্দবাবু উশখুশ করতে শুরু করেছিলেন। গলা খাকরে বললেন, “একটা কতা জিগেস করব?”
“স্বচ্ছন্দে।”
“এই ওয়াটারফ্রন্ট জিনিসটা কী?”
প্রশ্ন শুনে কৌশিক হোহো করে হাসতে শুরু করেছিল। ভাদুড়িমশাই তার দিকে তাকিয়ে ছোট্ট একটা ধমক দিলেন। “বাঁদরামো করিস না।” তারপর মুখ ফিরিয়ে সদানন্দবাবুকে বললেন, “সমুদ্র, নদী কিংবা হ্রদের ধার। ওই মানে যেখানে যেটা পাওয়া যায় আর কি। তো সেটাকেই অতি সুন্দর করে ওরা সাজিয়ে তোলে।”
আমি বললুম, “কত সুন্দর করে, পণ্ডিচেরির সমুদ্রের ধারটা দেখলেই সেটা বোঝ যায়। বিকেলে গিয়ে বেড়াবার পক্ষে একেবারে আদর্শ জায়গা।”
ভাদুড়িমশাই বললেন, “চন্দননগরে গঙ্গার ধারে স্ট্যান্ডটাই কি কিছু কম সুন্দর? এখন অবশ্য একটা মন্দির বানিয়ে গঙ্গার ভিউটাকে এক জায়গায় একটু আটকে দিয়েছে। ওটা ওখানে না বানালেই পারত।”
“কই,” সদানন্দবাবু বললেন, “চন্নননগরে তো এককালে প্রায়ই যেতুম, বিশেষ করে সেখেনকার জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়, কিন্তু স্ট্র্যান্ডে অমন মন্দির তো একবারও আমি দেকিনি।”
সদানন্দবাবুর কথা শুনে এতক্ষণ আমার মনে হচ্ছিল যে, চন্দননগর সম্পর্কে তিনি একজন অথরিটি, ওটা তাবই জায়গা, ওখানকাব যাবতীয় ব্যাপার তার নখদর্পণে। কিন্তু তার এই শেষ কথাটা শুনে মনে হল, দীর্ঘকাল তিনি ওদিকে যাননি। মনে হবার কারণ আর কিছুই নয়, বছর তিনেক আগে আমাকে একবার চন্দননগরে যেতে হয়েছিল, স্ট্র্যান্ডের মন্দিরটি তখন আমারও চোখে পড়েছে। অথচ সদানন্দবাবু ওটা দেখতেই পাননি?
ব্যাপারটা ভাদুড়িমশাইও ধরতে পেরেছিলেন। বললেন, “এককালে ওখানে প্রায়ই যেতেন বলছেন। তা এককাল মানে কতকাল আগে?”
সদানন্দবাবু একটুক্ষণ চিন্তা করে বললেন, “অত তো হলপ করে বলতে পারব না, মশাই, সন-তারিখ সব ঠিকঠাক মনেও নেই। তবে লাস্ট কবে গেসলুম, সেটা বলতে পারি।”
“কবে?”
“সেই যে কলকাতায় জাপানি বোমা পড়ল, সেই বার। হাতিবাগান বাজারে বোমা পড়েছেল না?”
“ওরেব্বাবা, ভাদুড়িমশাই হেসে বললেন, “সে তো আর্লি ফর্টিজের ঘটনা। চন্দননগরে তখন পুরোদর ফরাসি শাসন চলছে। সে কি আজকের ব্যাপার?”
“তাতে কী হল?”
“কী আর হবে, স্ট্র্যান্ডের এই মন্দির তখন হয়ইনি। তা হলে আর আপনি দেখবেন কী করে?”
আমি বললুম, “চন্দননগর স্বাধীন হয়েছে বাদবাকি ইন্ডিয়ার পরে। আমরা স্বাধীন হলুম সাতচল্লিশে, আর এখানকার ফ্রেঞ্চ কলোনিগুলি স্বাধীন হল ফিফটিতে। স্বাধীন হল মানে ডি ফ্যাকটো ট্রান্সফার অব পাওয়ার হয়ে গেল। ফ্রান্সের ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লিতে সেটা পাস হতে অবিশ্যি আরও দু’দুটো বছর লেগে গেল। যা-ই হোক, এই মন্দির তারও অনেক পরের ঘটনা। গঙ্গার ভিউটা আটকে না দিয়ে ওটা অন্য কোথাও করলেই ভাল হত।
সদানন্দবাবু বললেন, “ফরাসিরা থাকলে ওটা এখেনে হতে পারত না বলচেন তো? ঠিক আছে, সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। তবে কিনা গঙ্গার পাড়টা সুন্দর করে বাঁদিয়ে দিয়েছে বলেই যে সব ব্যাপারে তারা সায়েবদের চেয়ে ভাল ছিল, তা কিন্তু ভাববেন না।”
অরুণ সান্যাল বললেন, “সাহেবদের চেয়ে মানে? ফরাসিরা সাহেব নয়?”
“আহাহা, সদানন্দবাবু বললেন, “তা বলছি না, তা বলছি না, আসলে…ওই মানে….” বলে আর কথাটা শেষ করলেন না।
কৌশিক বলল, “বুঝেছি। বোস-জেঠু আসলে বলতে চান যে, ফরাসিরাও সাহেব বটে, তবে বোস-জেই যেখানে চাকরি করতেন, সেই জেনিস অ্যান্ড জেস্কিন কোম্পানির বড়সাহেবের মতো কুলীন-সাহেব নয়।”
“বটেই তো৷” সদানন্দবাবু একটু মিইয়ে গিয়েছিলেন, এবারে ফের তেড়ে উঠে বললেন, “ব্যাটারা ব্যাং খায়।”
ভাদুড়িমশাই বললেন, “শুধু ব্যাং কেন, খরগোশও খায়।”
“আহাহা, খরগোশের কতা হচ্ছে না। খাক না, যত খুশি খরগোশ খা। কিন্তু তাই বলে ব্যাং ও কি একটা খাবাব মতো জিনিস হল?”
“নয় কেন?” ভাদুড়িমশাই বললেন, “ফ্রান্সে থাকতে আমি প্রচুর ব্যাং খেয়েছি। খেতে যে খুব খারাপ, তাও বলতে পারছি না। কী বলব, ব্যাঙের ঠ্যাং অনেকটা মুরগির ঠ্যাঙের মতোই। তবে কিনা আরও সফ্ট।”
সদানন্দবাবু ফুঁসে উঠে বললেন, “আপনি খেতে পারেন, তবে ইংরেজরা খাবে না। কভি নেহি। খিদেয় মরে গেলেও খাবে না।”
ভাদুড়িমশাই হেসে বললো, “এই সেঞ্চৱিব গোড়ার দিকেও খাস লন্ডনের গলিতে গলিতে কী বিক্রি হত জানেন “
“কী বিককিরি হত?”
“আমাদের এখানে ফিরিওয়ালারা যেমন দুপুরের দিকে ঝাঁকা মাথায় গলিতে গলিতে হেঁকে বেড়ায় ‘ভেটকি মাছের কাটা চাই,’ ওখানে তেমনি ফিরিওয়ালারা হেঁকে বেড়াত ‘ক্যাট মিট’। হ্যাঁ, বেড়ালের মাংস।”
শুনে চোখ গোল হয়ে গেল অকণ সান্যালেরও। অবিশ্বাসের গলায় বললেন, “সত্যি?”
“ষোলো আনার উপরে আবও দু’আনা চড়িয়ে বলছি, আঠারো আনা সত্যি।“ ভাদুড়িমশাই বললেন, “ব্রিগস সাহেবের নাম শুনেছ?”
কৌশিক বলল, “তিনি আবার কে?”
“এস ব্রিগস। ইতিহাসের অধ্যাপক। অক্সফোর্ডে পড়াতেন। কথাটা তিনিই বলেছেন।”
“রামশ্চন্দ্র!” সদানন্দবাবু নাক কুঁচকে বললেন, “ইংরেজরা বেড়ালের মাংস খেত?”
ভাদুড়িমশাই হেসে বললেন, “আপনাদের কোম্পানির বড়সাহেব মিঃ জেঙ্কিনসের মতো পয়সাওয়ালা ইংরেজরা কেন খেতে যাবে। না না, তারা খেত না। তবে গরিব ইংরেজরা খেত।…আরে মশাই, না খেয়ে যাবে কোথায়? শীতের দেশ, শরীর গরম রাখার জন্যে মাংস তো খেতেই হবে, তা গোরু-ভেড়ার মাংস খাবার মতো রেস্তো যখন নেই, তখন বেড়াল না খেয়ে উপায় কী?”
অরুণ সান্যাল বললেন, “ওই যে কথা আছে না মধ্বভাবে গুড়ং দদ্যাৎ, এ তো দেখছি তা-ই।”
“ঠিক তা-ই।” ভাদুড়িমশাই বললেন, “কারে পড়লে মানুষ কী না খায়। সাপ, ব্যাং, ইঁদুর, বেড়াল, সবই তখন তার ভোজ্য। তবে হ্যাঁ, ফরাসিরা যে পয়সার অভাবে ব্যাং খায়, তা কিন্তু নয়। ওদের মেনুতে ওটা একটা ডেলিকেসি।”
“তার মানে বেশি পয়সা দিয়ে ওরা ওটা খায়?”
ভাদুড়িমশাই বললেন, “বেশ আয়েস করে খায়।”
কথাটা আর এগোল না। কেন না, কাজের মেয়েটি এসে জানিয়ে দিল যে, আমাদের খেতে দেওয়া হয়েছে। সদানন্দবাবু সোফা ছেড়ে উঠতে-উঠতে বললেন, “যা সব আলোচনা হল, তাতে আর খেতে বসতে বিশেষ উৎসাহ পাচ্ছি না।”
.