৯
লাঞ্চে যে আমরা রুটি নয়, ভাত খাব, রঘুনন্দনকে সে-কথা আগেই বলে রাখা হয়েছিল। তাতে সে একগাল হেসে বলেছিল যে, সেও দুপুরে রুটি খায় না। আয়োজন যে বড় মাপের নয়, এটা দেখে স্বস্তি পাওয়া গেল। ভাত, ডাল, আলু-কপির একাটা ঝুরো সবজি আর চিকেন-কারি। টেবিলের উপরে আলাদা কয়েকটা পাত্রে সব সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দই।
সদানন্দবাবু এক নজরে সব জরিপ করে নিয়ে, দইয়ের প্লেটের দিকে আঙুল তুলে বললেন, “মিষ্টি?”
রঘুনন্দন বলল, “না, টক। এখানে দইটা খুব ভাল করে। খেয়ে দেখুন, খারাপ লাগবে না।”
আমি বললুম, “উপকারীও বটে। আর তা ছাড়া এই বয়েসে মিষ্টি যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল।”
এই বয়েসে কী খাওয়া ভাল আর কী খাওয়া ভাল নয়, প্রাথমিক কথাবার্তা তারই মধ্যে খানিকক্ষণ আটকে রইল। তারপর, মুরগির ঝোল দিয়ে ভাত মাখতে মাখতে ভাদুড়িমশাই-ই একসময় বললেন যে, এবারে বরং কাজের কথায় আসা যেতে পারে।
রঘুনন্দন বলল, “বেশ তো, কী বলতে চান বলুন।”
“আমি আর কী বলব,” ভাদুড়িমশাই হাসলেন, “বলার কথা তো আপনার। আমি এখানে কেন এসেছি, আমার কাজটা আসলে কী, তা-ই তো এখনও বুঝে উঠতে পারলুম না। ফোনে যখন আপনার সঙ্গে কথা হয়, তখনই আপনাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলুম। তাতে আপনি বললেন যে, এখানে এলেই সব জানতে পারা যাবে। তা কাল রাত্তিরে এখানে এসে পৌঁছবার পরেও তো সময় নেহাত কম গেল না, অথচ এখনও আমি কমপ্লিটলি ইন দ্য ডার্ক।…একটু খুলে বলুন দেখি, আমাকে আপনারা ডেকেছেন কেন?”
চামচে করে দই নিয়ে মুখ পর্যন্ত তুলেছিল রঘুনন্দন। ভাদুড়িমশাইয়ের কথা শেষ হতে চামচটা নামিয়ে রেখে বলল, “পরশু…মানে বেস্পতিবার সকালে যখন আপনাকে ফোন করি, দাদু তো তখন ভালই ছিলেন, তাই ভেবেছিলুম যে, আপনার কাজটা ঠিক কী হবে, সেটা তিনিই আপনাকে বুঝিয়ে বলবেন। কিন্তু সেদিনই রাত্তিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ফলে তাঁর সঙ্গে আপনার কোনও কথাই হতে পারল না। অবিশ্যি আপনি বলছেন যে, নার্সিং হোমে তিনি আপনাকে গুটি কয়েক কথা বলবার চেষ্টা করেছিলেন, তার মধ্যে তিনটে শব্দ আপনি ধরতেও পেরেছেন। কিন্তু তারই বা কী মানে? আমি তো কিছুই বুঝতে পারিনি!”
ভাদুড়িমশাই বললেন, “সে তো আমিও পারিনি। কিন্তু সে-কথা এখন থাক, বরং তার আগের কথায় আসুন। আপনার দাদু যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবার জন্যে আপনাকে কলকাতায় পাঠিয়েছিলেন, তার আগে আপনাদের এখানে দু’-দু’ বার চুরির অ্যাটেম্৳ হয়ে গেছে। একবার আপনাদের মিউজিয়ামে, আর একবার এই বাড়িতে।”
“চুরির অ্যাটেম্৳ কিন্তু তার পরেও একবার হয়েছে। সেও এই বাড়িতেই।”
“জানি।” ভাদুড়িমশাই হেসে বললেন, “গত বুধবার রাত্রে। ইন ফ্যাক্ট, তার পরিদিন সকালেই আপনি কলকাতায় ফোন করেন। সেও প্রোফেসর মিশ্রের কথাতেই করেছিলেন। আপনি চেয়েছিলেন থানায় খবর দিতে। কিন্তু আপনার দাদু তাতে রাজি হননি। তাই না?”
“হ্যাঁ। দাদু হ্যাজ আ ভেরি পুয়োর ওপিনিয়ন অভ আওয়ার পোলিস। তার ধারণা, পুলিশ কিছুই করতে পারবে না, এ-ব্যাপারে আদৌ যদি কেউ কিছু করতে পারে তো আপনি পারবেন।”
“কিন্তু আমিই বা কী করব? যদি কিছু চুরি হয়ে থাকত, তো সেটা উদ্ধার করার চেষ্টা করতে পারতুম। কিন্তু আপনিই তো বলেছেন যে, অন্তত এখনও পর্যন্ত কিছু চুরি হয়নি। তা হলে?”
একটুক্ষণ চুপ করে রইলেন ভাদুড়িমশাই। তারপর বললেন, “অবিশ্যি এখনও কিছু চুরি হয়নি বলে যে কখনওই হবে না, তাও নয়। ইন ফ্যাক্ট, এমনও হতে পারে যে, একটা কোনও পার্টিকুলার জিনিসের খোঁজ করছে তারা। কিন্তু ওই যে তারা মিউজিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করেছিল, তারপর—যে-কোনও কারণেই হোক—তাদের ধারণা হয়েছে যে, ওখানে সেটা নেই। ফলে, মিউজিয়াম ছেড়ে এখন তারা বাড়িতে হানা দিচ্ছে। এখানে অবিশ্যি তারা ঢুকে পড়তে পেরেছিল।”
“তা পেরেছিল ঠিকই,” রঘুনন্দন বলল, “দাদুর লাইব্রেরি-রুমটাকে তো তছনছ করে ছেড়েছে। তবে এখান থেকেও তারা কিছু সরায়নি। আই মিন কোনও-কিছু খোয়া গেলে দাদু ঠিকই বুঝতে পারতেন।”
“কিন্তু কী তারা সরাতে চায়, আপনার দাদু কি সেটাও আন্দাজ করতে পারেননি?”
“তা আমি জানি না।” রঘুনন্দন বলল, “হয়তো আন্দাজ করেছিলেন, কিন্তু তা-ই নিয়ে অন্তত আমাকে কিছু বলেননি। হয়তো ভেবেছিলেন যে, একমাত্র আপনাকেই সেটা বলবেন। কিন্তু তার আগেই তো তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন।”
খাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভাদুড়িমশাই বললেন, “ঠিক আছে, এখন আর তা হলে ও নিয়ে কোনও আলোচনা করে লাভ নেই। তা ছাড়া, আপনাকে তো এখন ফের একবার মিউজিয়ামে যেতে হবে। আপনি উঠে পড়ুন। আমি বরং ব্যাপারটা নিয়ে একটু ভেবে দেখি। মিউজিয়াম থেকে আপনি কখন ফিরবেন?”
“এই ধরুন ছ’টা নাগাদ। ফেরার পথে নার্সিং হোমেও একবার খোঁজ করে আসব।… তার মধ্যে রাধাও হয়তো এসে যাবে।”
“আপনার স্ত্রী?”
“হ্যাঁ।”
“ঠিক আছে, আপনি ফিরে আসুন, তখন আবার কথা হবে।”
টেবিল ছেড়ে আমরা উঠে পড়লুম। রঘুনন্দন আর উপরে উঠল না। হাত-মুখ ধুয়ে একতলা থেকেই বাগানের ধারের ড্রাইভে নেমে গিয়ে তার গাড়িতে ঢুকে পড়ল। আমরা ধীরেসুস্থে দোতলায় চলে এলুম।
ভাদুড়িমশাইকে একটু চিন্তিত দেখাচ্ছিল। দোতলায় উঠে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন, “প্রোফেসর মিশ্রের চিঠিটা তো আপনাকে দিয়েছি। ওটা আমাকে একবার দিন তো।”
পকেট থেকে চিঠিটা বার করে তাঁকে দিলুম। ভাদুড়িমশাই সেটা ফের নিজের পকেটে ঢুকিয়ে বললেন, “চিঠিখানা আর-একটু ভাল করে পড়ে দেখতে হবে। মেবি আই হ্যাভ মিসড আউট অন সামথিং।… আপনারা যান, বিশ্রাম করুন, আমি একটু ভেবে দেখি।…বিকেল চারটেয় একবার চা দিতে বলেছি। আপনাদের ঘরেই চা দেবে। তখন আমাকে ডেকে নেবেন।”
“এর মধ্যে আবার কাকে চায়ের কথা বলে এলেন?”
“জনার্দনকে।”
‘সে আবার কে?”
“বাঃ, খুব তো সারাক্ষণ চা-চা করছেন, এদিকে সকালে আর দুপুরে যে-লোকটি চা দিয়ে গেল, তার নামটা পর্যন্ত জেনে রাখেননি? ওই হচ্ছে জনার্দন। দুপুরে যে চা পেলেন, তার কথা আমিই ওকে বলে রেখেছিলুম। সেই সঙ্গে তখনই জানিয়ে রেখেছিলুম যে, বিকেল চারটেয় ফের চা দিতে হবে। … লোকটির বয়েস কত হবে, আন্দাজ করুন তো।”
জনার্দনের চেহারা একটু পাকানো গোছের। এই ধরনের চেহারার লোকেদের বয়েস আন্দাজ করা সহজ কাজ নয়। তবু অন্ধকারে ঢিল ছোড়ার মতন করে বললুম, “কত আর হবে, এই ধরুন ষাট-পঁয়ষট্টি।”
“পাক্কা আশি বছর। প্রোফেসর মিশ্রের চাইতে মাত্র সাত বছরের ছোট। পুরনো লোক, ছেলেবেলা থেকেই মিশ্র-ফ্যামিলির সঙ্গে রয়েছে। ওকে একটু কালটিভেট করুন তো।”
“কেন?”
“মনে হচ্ছে, ওর কাছে কিছু খবর হয়তো পাওয়া যাবে।”
ভাদুড়িমশাই আর-কিছু বললেন না, ঘরে ঢুকে গেলেন। আমরাও আমাদের ঘরে চলে এলুম।
ঘরে এসে বিছানায় চিতপটাং হয়ে শুয়ে পড়লেন সদানন্দবাবু। ভেবেছিলুম, ঘুমিয়ে পড়বেন। কিন্তু ঘুমোলেন না। সিলিংয়ের দিকে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে রইলেন। তাতে মনে হল, ভদ্রলোক একটু চিন্তায় পড়ে গেছেন। বললুম, “কী হল মশাই, ঘুম আসছে না?”
“কী করে আসবে?” সদানন্দবাবু বললেন, “জনার্দনকে কালটিভেট করতে হবে না?…আচ্ছা কিরণবাবু, কীভাবে ওকে কালটিভেট করব বলুন তো?”
“ওই একটু খাতির জমিয়ে নেবেন আর কি। ওর বাড়ি কোথায়, ছেলেপুলে আছে কি না, তারা খেতির কাজ নিয়ে আছে না চাকরি-বাকরি করে, ছুটিছাটায় ও বাড়ি যায় কি না, তাদের বিয়ে-সাদি হয়েছে কি না, এইসব জিজ্ঞেস করবেন। তারপর যখন এইসব কথাবার্তার ভেতর দিয়ে একটু খাতির জমে উঠেছে, তখন আসবেন এই বাড়ির কথায়। প্রোফেসর মিশ্রের কথা জিজ্ঞেস করবেন, তা ছাড়া প্রোফেসর মিশ্রের একমাত্র ছেলে হরিনন্দনকেও ও নিশ্চয় কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে, তার কথাও জিজ্ঞেস করবেন। এইভাবেই দেখবেন যে, ওর কথার ভিতর দিয়ে এমন দু’-একটা খবর বেরিয়ে আসছে, যা আমাদের…আই মিন ভাদুড়িমশাইয়ের জানা দরকার।”
সদানন্দবাবু বললেন, “আরে মশাই, ওকে যে একেবারেই কিছু জিজ্ঞেস করিনি, তা ভাবচেন কেন? আজ সকালেই তো জিজ্ঞেস করেছিলুম যে, ওর বাড়ি কোথায়। তাতে কী বলল জানেন?”
“কী বলল?”
“বলল যে, যেখানে রয়েচি সেটাই আমার বাড়ি। বলে আর দাঁড়াল না, কিচেনের দিকে চলে গেল। আপনি খাতির জমাবার কতা বলছিলেন না? কী করে জমাব বলুন দিকি। ও তো কতাই কইতে চায় না। শুদু মিচকি-মিচকি হাসে।”
জনার্দনের হাসির মধ্যে যে একটা চালাকির ভাব রয়েছে, এটা আমারও নজর এড়ায়নি। বললুম, “পুরনো চাকর, অনেক কাল ধরে এ-বাড়িতে আছে, বিস্তর দেখেছে-শুনেছে, কিন্তু লয়্যালটি বলেও একটা ব্যাপার আছে তো, তাই বাইরের লোকের কাছে এরা চট করে মুখ খুলতে চায় না। ওকে দিয়ে কথা বলাতে পারলে কিন্তু কিছু-না-কিছু জরুরি খবর পাওয়াই যেত।…আপনি হাল ছাড়বেন না, মশাই, ট্রাই করে যান।”
“ট্রাই করে তো ওই হল।” সদানন্দবাবু দু’ হাত উলটে বললেন, “বাড়ির কতা জিজ্ঞেস করতে দিব্যি সেটাকে এড়িয়ে গেল। এখন তা হলে কী নিয়ে কতা বলব? একটা কোনও সাবজেক্ট তো চাই।”
“এই যে এ-বাড়িতে দু-দু’ বার চোর ঢুকেছিল, তা-ই নিয়েই তো কথা বলা যায়। ওকে জিজ্ঞেস করুন, কত রাতে চোর এসেছিল, ও তখন জেগে ছিল না ঘুমিয়ে ছিল। যদি ঘুমিয়ে থাকে, তো পরদিন সকালে উঠে ওর রি-অ্যাকশনটা কী হয়। এ-বাড়িতে ওরই ঘুম বোধহয় সবচেয়ে আগে ভাঙে। সে-ক্ষেত্রে, আগের রাতে যে চোর এসেছিল, ওরই তো সেটা সবচেয়ে আগে টের পাবার কথা। তা টের পেয়ে ও কী করেছিল। চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছিল কি না।…আরে মশাই, জিজ্ঞেস করলে তো অনেক-কিছুই করা যায়। ওর বাড়ি কোথায়, এই প্রশ্ন করে যখন কোনও লাভ হয়নি, তখন লাইন পালটে অন্য লাইন ধরে এগোন।”
এত যে কথা বললুম, সে তো সদানন্দবাবুকে উৎসাহিত করার জন্যেই। কিন্তু তিনি যে বিশেষ উৎসাহ বোধ করছেন, এখন মনে হল না। বললেন, “দেখি।” তারপর পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়লেন। অগত্যা আমিও আবার টেনে নিলুম সেই না-পড়া স্পাই-থ্রিলারটিকে। কিন্তু কয়েক পাতা পড়ার পরে আমারও মনে হতে লাগল যে, চারটের সময় তো চা আসবে, তার আগে একটু ঘুমিয়ে নিলে নেহাত মন্দ হয় না। থ্রিলারটা যে কখন আমার হাত থেকে খসে পড়েছে, তাও আমার মনে নেই।
তবে ঘুমটা বিশেষ গাঢ় হয়নি। দরজায় টোকা পড়তেই তাই ধড়মড় করে উঠে পড়লুম। হাতঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলুম, চারটে বাজে। বিছানা থেকে নেমে বললুম, “কাম ইন।”
জনার্দন নয়, পর্দা ঠেলে, হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে বছর পঁচিশ বয়সের এক তরুণী এসে ঘরে ঢুকলেন। মাথায় ঘোমটা নেই, সিঁথিতে সরু রেখার সিঁদুর, সপ্রতিভ চেহারা। সোফার সামনেকার নিচু টেবিলের উপরে হাতের ট্রে নামিয়ে জোড়হস্তে বললেন, “নমস্তে। আমি রাধিকা। এ-বাড়ির বউ লখনউ থেকে তিনটে নাগাদ এখানে এসে পৌঁছেছি। আপনাদের কোনও অসুবিধে হচ্ছে না তো?”
সদানন্দবাবুও উঠে পড়েছিলেন। বিছানা থেকেই বললেন, “না না, কিচ্ছু অসুবিদে হচ্চে না।”
আমি বললুম, “আপনাদেরই বরং অসুবিধে হবার কথা।…আমি হচ্ছি …”
রাধিকা বাধা দিয়ে স্মিত হেসে বললেন, “পরিচয় দিতে হবে না। বাড়িতে যে তিন জন মেহমান এসেছেন, এখানে ফিরে জনার্দনের কাছে সেটা জেনেছি। তা ছাড়া একটু আগে আমার স্বামীর ফোন পেলুম। আপনাদের পরিচয়টাও তাঁরই কাছে পাওয়া গেল।…চা কি আমি বানিয়ে দেব?”
সদানন্দবাবু বললেন, “না না, আমরাই বানিয়ে নিচ্চি। কিন্তু ভাদুড়িমশাইকে তো একটা খবর দেওয়া দরকার, চা তো তিনিও খাবেন।”
আমি উঠে পড়তে যাচ্ছিলুম। রাধিকা বললেন, “ওঠার দরকার নেই। চা নিয়ে মিঃ ভাদুড়ির ঘরেই আমি প্রথম গিয়েছিলুম, তিনিই এ-ঘরে চা দিয়ে যেতে বললেন। এখুনি তিনি এসে পড়বেন।
বলতে-না-বলতেই ঘরের দরজায় টোকা দিয়ে, পর্দা ঠেলে, ভাদুড়িমশাই এসে ঢুকলেন। রাধিকা বললেন, “আপনারা চা খান। যদি আর-কিছু লাগে তো জনার্দন রইল। আমি একটু বেরুব। বেরুবার আগে জনার্দনকে বলে দিয়ে যাচ্ছি, সে আপনাদের খবর নেবে।”
বললুম, “একটু আগেই তো লখনউ থেকে এসে পৌঁছলেন, এখন আবার কোথায় যেতে হবে?”
“মিউজিয়ামে। সেখানে থেকে আমার স্বামীর সঙ্গে একবার নার্সিং হোমে যাব।”
কথা শেষ করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন রাধিকা।