[‘চিকাগো সাণ্ডে হেরল্ড’ (২৪ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৩) পত্রিকায় প্রকাশিত বক্তৃতার রিপোর্ট]
এই ধর্ম-মহাসম্মেলনে প্রদত্ত বক্তৃতাগুলির সাধারণ সিদ্ধান্ত এই যে, মানবজাতির সৌভ্রাত্রই বহু-আকাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য। স্বভাবসিদ্ধ অবস্থারূপে এই ভ্রাতৃত্ব সম্বন্ধে অনেক কথা বলা হইয়াছে, কারণ আমরা সকলেই এক ঈশ্বরের সন্তান। অনেক ধর্মসম্প্রদায় ঈশ্বরের অর্থাৎ সাকার ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। যদি আমরা ঐ-সকল ধর্মসম্প্রদায়কে আমল দিতে ইচ্ছা না করি—এবং তাহা হইলে আমাদের সৌভ্রাত্র সর্বজনীন হইবে না—সমগ্র মানবজাতিকে আলিঙ্গন করিবার মত প্রশস্ত মিলনভূমি আমাদের থাকিবে। এই মহাসম্মেলনে বলা হইয়াছে যে, মানবজাতির হিতসাধন করা আমাদের কর্তব্য, কারণ মন্দ বা নীচ কর্ম-মাত্রই কর্মকর্তার উপর প্রতিক্রিয়ারূপে ফিরিয়া আসে। প্রথমে আমরা নিজেরা, পরে আমাদের ভ্রাতারা—এই ভাবটিতে দোকানদারির ভাব আছে বলিয়া মনে হয়। আমি মনে করি—ঈশ্বরের পিতৃত্বে আমরা বিশ্বাস করি বা না করি, ভ্রাতাকে আমাদের ভালবাসা উচিত, কারণ প্রত্যেক ধর্ম ও প্রত্যেক মতবাদ মানুষের দেবত্ব স্বীকার করে। মানুষের মধ্যে যে দেবত্ব আছে, উহা যেন কোন প্রকার ক্ষুণ্ণ না হয়, সেইজন্যই কাহারও কোন অনিষ্ট করা উচিত নয়।