একজন জেদী বুড়ো অন্য এক বুড়োকে বিছানা
থেকে টেনে তুলে
বলে, ‘চল যাই, এই বিকেলের রঙ
মগজের অভ্যন্তরভাগে
ভ’রে নিয়ে আসি, চল যেখানে যুবক যুবতীরা
গল্প ক’রে, তর্ক ক’রে ভালবেসে সময় কাটিয়ে
দেয়, আজ সেখানেই যাই। তবু তাকে আলসেমি,
অবসাদ ধ’রে রাখে ঘরে।
‘শোনো বন্ধু,’ চটপটে বুড়ো অন্য বুড়োটিকে
বলে অন্তরঙ্গ কণ্ঠস্বরে, ‘বসো গিয়ে
লেখার টেবিলে
এখনই, নচেৎ কবিতার ছুটিষ্কাল কাটবে না
কস্মিকালেও, দেখছ না
বাঁধানো খাতার সাদা পাতাগুলি খরা
পীড়িত চোখের মতো তাকিয়ে রয়েছে
প্রতীক্ষায়, না হয় লিখেই ফেলো চিঠি দয়িতার কাছে।
‘কে দয়িত? কে আমাকে তার যৌবনের
সরোবরে ডুব দিতে দেবে
অবেলায়? কে আছে এমন এ শহরে
বৃদ্ধের চুম্বন আর আলিঙ্গনে পাবে সুখ, আমার ভেতরে
জাগিয়ে তুলবে যুবককে?’ অবসাদগ্রস্ত বুড়ো
নিশ্চুপ ঝিমোয় নিশ্চেতন অন্ধকারে, ডোবে মৃত্যু ভাবনায়। জেদী বুড়ো
প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে সুহৃদকে নিজেই বৃদ্ধের
ভেতরে প্রবেশ করে। পাতা ফুঁড়ে আদিম কোকিল স্বতঃষ্ফুর্ত ডেকে ওঠে।